somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাগেরহাটের খানজাহান আলীর মাজার ও ষাট গম্বুজ মসজিদঃ

১৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন থেকে লিখব লিখব ভাবছি, কিন্তু লেখা হয়ে ওঠে না। আজ কয়েক বছর পর স্মৃতি হাতড়ে লিখতে বসলাম বাগেরহাট ভ্রমনের ইতিবৃত্ত। তখন আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। ২০০৩ সাল। আমার একজন কাছের মানুষ তপনদা। কুমিল্লার ছেলে। চালনায় সেটেলমেন্ট অফিসে চাকরী করেন।তিনি প্লান করলেন বাগেরহাটে ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে যেতে হবে। আমি তখন দৌলতপুরে থাকি। এক শুক্রবারে প্লান আটলাম। চালনা থেকে খুলনা আস্তে দাদা ১১টা বাজিয়ে দিল। আমি সেই সকাল ৮টা-সাড়ে ৮টা থেকে তার জন্য গল্লামারি বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন আমার ফোন ছিল না। তাই এখনকার মত ঝটপট যোগাযোগ ও করা যেত না।



আমরা রিকশা করে রুপসা ফেরীঘাটে এলাম। খানজাহান আলী সেতু চালু হওয়ার আগে এই ফেরীঘাট এলাকা ছিল জমজমাট। আমরা ট্রলারে করে নদী পার হয়ে ওইপারে গেলাম। ওইপার থেকেই মূলতঃ বাগেরহাট বিভাগের সীমানা শুরু। বাগেরহাটের বাসে উঠলাম। আকাশ আঁধার করে মেঘেরা ছুটে এল। ভয় পেলাম। ঞ্জর বৃষ্টি এসে আমাদের বেড়ানোর আনন্দটাই না মাটি করে দেয়। বৃষ্টি নামল না। বাতাসে বৃষতির গন্ধ ভেসে এল। বাসে উঠলে আমি সবসময় জানালার পাশের সিটটা দখলের মতলবে থাকি। যথারীতি আজকেও আমার আশা পূরন হয়ে গেল। তখন পরযন্ত আমার বাইরের জেলায় বেড়ানোর অভিজ্ঞতা খুব কম। একমাত্র ক্লাস এইটে পড়ার সময় কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বেড়ানোর স্মৃতিটা জ্বলজ্বল করে মনের মাঝে। আমাদের খুলনার তুলনায় বাগেরহাটের এই এলাকাটা অনেক সবুজ। ঘন গাছপালা আমার সামনে মেলে ধরে অজানা সুন্দর এক পৃথিবী। আমি মুগ্ধ চোখে আকাশ দেখি, সবুজ নিবিড় গাছেদের সারি দেখি।

লোকাল বাস ঠাসা ভীড়। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে। বাসের যাত্রীরা বৃষ্টির ছাট আসছে বলে সবগুলো জানালার গ্লাস টেনে দিল। ঘামের গুমোট গন্ধে ভেতরের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। আমার খুব ইচ্ছে করছিল জানালার গ্লাস স্রিয়ে মুখে বৃষ্টির পরশ মাখতে। তপনদার ঠান্ডার সমস্যা। তিনি খুলতে দিলেন না।একটার কিছু আগে আমরা মাজারে পৌঁছে গেলাম। যদিও মসজিদ আগে পড়ে। কিন্তু আমাদের প্লানে আগে দিঘী দেখার প্লান ছিল। মাজারে ঢোকার পথটা তুওলনামূলকভাবে বেশ অপ্রশস্ত। দুইপাশে আগরবাতি, মোমবাতি ওয়ালাদের দোকান। তারা কান ঝালাপালা করে দিল। আমরা সবকিছু উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে থাকি। আমরাতো কোন মানত নিয়ে আসি নাই যে এওসব নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে। আমরা এসেছি বেড়ানোর আনন্দ নিয়ে। বৃষ্টিটা ধরে গেছে বলে রক

মাজারের গেটে গেলাম। মেটাল ডিটেক্টর হাতে নিয়ে বসে আছে একজন গেটের কাছে। ভাবলাম আমাদের বুঝি চেক করবে। তখনও আমি কোথাও মেটাল ডিটেক্টর নিজের চোখে কিভাবে ব্যবহার করা হয় তা দেখিনি। কিন্তু আমাদের চেক করার ব্যাপারে লোকটার কোন আগ্রহ দেখলাম না। শুধু মুখ তুলে জিজ্ঞেস করম কোন জায়গা থেকে আসছি, মানত আসে কিনা? বুঝলাম লোকটার পান্ডাটাইপের কিছু। গয়াকাশির পান্ডাদের কথা তখন আমি গল্পের বই পড়ে জেনে গেছি। তাই বুঝতে অসুবিধা হল না। মাজারের কাছে পৌঁছে গেছি। কিছুটা রোমাঞ্চিত হলাম। ছোটকাল থেকে জেনে এসেছি এই দিঘীর গল্প। নানীর অতি ভক্তির জায়গা এটা। বিয়ের দশ বছর প্রেও যখন বাচ্চা হলনা তখন নানী এসেছিলেন এই দীঘিতে মানত করতে। তারপর অনেক বিপদে আপদে তিনি এই দিঘীতে ছাগল মানত করেছেন।

ইতিহাসে খানজাহান আলী খলিফাতাবাদের শাসক হিসেবেই প্রসিদ্ধ। বাগেরহাট-খুলনার পুরাতন নাম ছিল খলিফাতাবাদ।সুলতান নসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) আমলে খান আল-আজম উলুগ খানজাহান সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে খলিফাবাদ রাজ্য গড়ে তোলেন। খানজাহান বৈঠক করার জন্য একটি দরবার হল গড়ে তোলেন, যা পরে ষাট গম্বুজ মসজিদ হয়। তুঘলকি ও জৌনপুরী নির্মাণশৈলী এতে সুস্পষ্ট। কিন্তু প্রচলিত লোকবিস্শ্বাসে খান জাহান হচ্ছেন আল্লাহর একজন অলি। যিনি জ্বীন পরীদের দিয়ে এক রাতের মধ্যে এই দিঘি খনন করেন।ইতিহাসের কচকচানি পরে করা যাবে। আগে আমি নিজের চোখের ক্ষুধাটাই মেটাই। আমার মূল আগ্রহ এই দিঘীটা নিয়ে। তাই পীরের মাজার পাশ কাটিয়ে ছুটে গেলাম দীঘির কাছে।

আমার চোখের সামনে ফুটে উঠল বিশাল জলরাশি। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি আবার শুরু হয়েছে। দীঘির অপর পাশ ঘোলাটে হয়ে দীঘির বিশালতাকে আরো বেশী করে ফুটিয়ে তুলেছে। আমার নবীন চোখ এই প্রথম এত বিশাল কোন জলরাশীকে থমকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। মুগ্ধ, আমি মুগ্ধ। দিঘীতে নামার যে সিড়িটা আছে ওটা মোজাইক করা। আমি সিড়িতে বসে পানিতে পা দুবিয়ে বসে থাকলাম অনেকক্ষন। বেশীর ভাগ লোক গোসল করছে। আমাদের কাছে বাড়তি পোষাক নাই। খুব আফসোস হল। কিছুটা পানি খেলাম দিঘী থেকে। এই দিঘীর পানিকে অনেকেই পবিত্র বলে গন্য করেন। হিন্দু-মুসলমান দের অনেকেই রোগমুক্তির আশায় দিঘীর জলে গোসল করতে আসে। পবিত্র জলে রোগের জীবানু কে ধুয়ে ফেলে বিশুদ্ধ জীবন ফিরে পেতে চায়।
দিঘীতে কালাপাহাড়, ধলাপাহাড় নামে দুইটি মিষ্টি পানির কুমির ছিল। সেই খানজাহান আলীর সময় থেকে। ধলাপাহাড় মারা গেছে। কালাপাহাড় তখনো জীবিত।

মনের মধ্যে ইচ্ছে ছিল কালাপাহাড় কে দেখব। বিশাল যে কুমিরের গল্প শুনেছি নানীর কাছে সেই কুমির কে দেখার ব্যাকুল আগ্রহ নিয়ে জলের দিকে চেয়ে থাকলাম। মাজারে খাদেম রয়েছে প্রচুর। একজন চিতকার করে মুরগী বিক্রি করছে। আমাদেরকেও মুরগী কেনানোর জন্য খুব জোরাজুরি করল। শীতকালে যেখানে বসে কালাপাহাড় রোদ পোহায় সেই জায়গাটা দেখলাম। কিন্তু কালাপাহাড়ের দেখা নাই। পানির মধ্য কিছুটা একটা ঘাঁই দিয়ে গেল। খুব আশা করছি , এখনি কালাপাহাড় ভূস করে ভেসে উঠবে। এই ঘাটের বাম পাশে পুরাতন ঘাটটি অবস্থিত। অই ঘাটটি এখন শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ব্যবহার করা হয়। আর পুরুষদের জন্য এই ঘাটটি।
তপনদার পিড়াপিড়িতে উঠতে হল। তার দাবি এক জায়গায় আর কতক্ষন বসে থাকব। এখনো দেখার অনেক কিছু বাকি আছে। দিঘি, দীঘি, দিঘী এই সব কয়টি বানানে বাংলায় দিঘি বানান করা হয়। আমি জানিনা কোনটা সঠিক। তাই ঘুরে ফিরে সবগুলো বানানই ব্যবহার করলাম। মাজারের দিকে এগিয়ে এলাম। মাজার ভবনটি একটি একগম্বুজ বিল্ডিং। গায়ে মুঘল আমলের টেরাকোটা করা। আমি স্থাপত্য বিদ্যার তেমন কিছু বুঝি না। তাই সেদিকে কিছু দেখিও নাই। বলছি ও না। মাজারের ভিতর ঢুকলাম। মাজার জিয়ারতের নিয়ত করলাম।


হযরত খানজাহান আলী (রাঃ) (জন্ম ১৩৬৯ - মৃত্যু অক্টোবর ২৫, ১৪৫৯) ছিলেন একজন মুসলিম ধর্ম প্রচারক এবং বাংলাদেশের বাগেরহাটের স্থানীয় শাসক। তাঁর অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে উলুঘ খান, খান-ই-আজম ইত্যাদি।
হযরত উলুঘ খানজাহান আলী (রাঃ) ১৩৬৯ খ্রিস্টব্দে দিল্লীতে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আকবর খাঁ এবং মাতার নাম আম্বিয়া বিবি।[১] খানজাহান আলীর প্রাথমিক শিক্ষা তার পিতার কাছে শুরু হলেও তিনি তার মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন দিল্লীস্থ বিখ্যাত ওয়ালি এ কামিল পীর শাহ নেয়ামত উল্লাহর কাছে। তিনি কুরআন, হাদীস, সুন্নাহ ও ফিকহ শাস্ত্রের উপর গভীর জ্ঞানার্জন করেন।

খানজাহান আলী ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দে তুঘলক সেনা বাহিনীতে সেনাপতির পদে কর্ম জীবন আরম্ভ করেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রধান সেনাপতি পদে উন্নীত হন। ১৩৯৪ এ মাত্র ২৬/২৭ বছর বয়সে তিনি জৈনপুর প্রদেশের জাবিতান (গভর্ণর) পদে যোগ দেন। পরবর্তীতে সুলতান খানজাহানের নেতৃত্বে ৬০,০০০ সুশিক্ষিত অগ্রবর্তী সেনাদল সহ আরও দুই লক্ষ সৈন্য নিয়ে বাংলা আক্রমণ করলে রাজা গণেশ দিনাজপুরের ভাতুরিয়াতে আশ্রয় নেন। ১৪১৮ খৃষ্টাব্দে খানজাহান যশোরের বার বাজারে অবস্থান নেন এবং বাংলার দক্ষিণ পশ্চিম অংশে ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসার আরম্ভ করেন।

খানজাহানের প্রথম স্ত্রীর নাম সোনা বিবি। কথিত আছে সোনা বিবি ছিলেন খানজাহানের পীর নূর-কুতুবুল আলমের একমাত্র কন্যা। খানজাহানের দ্বিতীয় স্ত্রী রূপা বিবি ওরফে বিবি বেগনী ধর্মান্তরিত মুসলমান ছিলেন। খানজাহান আলী তাঁর দুই স্ত্রীর নাম অনুসারে সোনা মসজিদ এবং বিবি বেগনী মসজিদ নামে মসজিদ নির্মাণ করেন।

হযরত খানজাহান আলী (রাঃ) অক্টোবর ২৫, ১৪৫৯ তারিখে (মাজারশরীফের শিলালিপি অনুযায়ী ৮৬৩ হিজরী ২৬শে জিলহাজ্ব) ষাট গম্বুজ মসজিদের দরবার গৃহে এশার নামাজ রত অবস্থায় ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমার সময় খান জাহান আলীর মাজারে ওরস অনুষ্ঠিত হয় এবং লক্ষাধিক লোক তাতে সমবেত হয়।

ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেল টাইপ করে। আগামীতে খানজাহান আলীর অমর সৃষ্টি ষাট গম্বুজ মসজিদ ভ্রমনের অংশটুকু লিখব। অনেক গুলো বেসিক ইনফরমেশন দিতে হবে। ঐতিহাসিক তথ্যগুলো সাথে রাখার চেষ্টা করব।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×