একদেশে ছিল এক মা ছাগল। তার ছিল দুটি বাচ্চা। কালু আর ধলু। একদিন মা ছাগল বাচ্চা দুটিকে নিয়ে হাওয়া খেতে বের হল ইট বিছানো সরকারী রাস্তায়। বাচ্চাদের নিয় সে রাস্তাউ বেরুতে খুব টেনশান ফিল করে। মোটেও কথা শুনতে চায়না। ছাগল ছানার মত সব তিড়িং বিড়িং করে লাফাতে শুরু করে। মানুষগুলো কতসুন্দর বানরদের মত তাদের ছানাগুলো কোলে কাঁখে করে রাস্তায় বেরুয়। দেখে তার আফসোস হয়। ইশ তার যদি দুখান হাত থাকতো। তাহলে কালুর বাঁপের দাঁড়ি ধরে আচ্ছামতো ঝাকুনি দিতো।
কালুটা অনেক চঞ্চল। সে রাস্তায় পড়ে থাকা শুকনো পাতাদের সাথে খেলা করতে গিয়ে পেছনে পড়ে গেল। মা ছাগল তখন অনেক দূরে এগিয়ে গেছে। কালু ভয় পেয়ে গেল। সে মা মা করে দৌড় শুরু করল। এতটাই ভয় পেয়েছিল যে তার মা মা ডাক ঠিক ম্যাঁ ম্যাঁ শোনাচ্ছিল।
সে একসময় মাকে ধরে ফেলল। কালুর ক্লান্ত মুখ দেখে মা ছাগল তাকে দুধ খেতে দিলো।
কালু পেটপুরে দুধ খেল। অন্যসময় ধলুটা তার সাথে হিংসে করে পাল্লা দিয়ে দুধ খেতে আসে, ওর খিদে না থাকলেও আসে। খুব পঁচা সে। কিন্তু আজ আসছেনা কেন! গুনগুনিয়ে রবিঠাকুরের কবিতা গাইছে। খোশমেজাজে আছে মনে হচ্ছে!
তারপর ধলুর পাশে শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করল। ঠান্ডা বাতাসে তার চোখ বুজে আসতে চাইছে। একটা ঘুম দেয়া যাক। ঘুম থেকে উঠে ধলুর সাথে চোর-পুলিশ খেলা যাবে!
আর মা ছাগল তখন বাড়ীর ভেড়াটাকে গল্প করার জন্য ডাক দিল। ভেড়া বলল কিভাবে আসব দিদি। কালরাতে ঘাস খাওয়া বাদ দিয়ে বুড়ি ভেড়ার সাথে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে গেছিলাম লাল ষাঁড়দের বাড়ীতে। মালিক রাগ করে আমাকে আজ বেঁধে রেখেছে। শকুন্তলার বিয়েটা এই পর্বে হবে কিনা সেটা আর জানা হলো না। তুমি কি সিরিয়ালটা দেখেছিলে দিদি।
ছাগল মা উত্তর দিলো, না বইন, কারেন্ট ছিলো না তাই দেখতে পারিনি। ভাল কথা মনে করলে এখন তো ওটার পুনঃপ্রচার হবে। যাই দেখে আসিগে। ছাগল মা বাচ্চাদুটো নিয়ে চলে গেলো। ভেড়া বিরসমুখে সফেদাওতলায় বসে থাকলো। শকুন্তলার বিয়ে কি আগামী সপ্তাহে হবে! সে জাবরকাটা ভূলে ভাবতে বসে গেলো।
মডেলঃ আমার নানীর পোষা ছাগল ও ভেড়া।
ফটোগ্রাফীঃ এফ রহমান।
বন্ধুরা একটু অন্যরকমভাবে ছবিব্লগ হাজির করলাম আপনাদের সামনে আশাকরি ভাললাগবে। ভাললাগা মন্দ লাগা জানিয়ো।
পরের পর্বঃ গ্রামের কুরবানী।