somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজ্ঞানের খাতা-১০: এনেসথেসিয়া আবিষ্কার। চিকিৎসা জগতের মাইলফলক।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Anesthesia এনেসথেসিয়া আবিষ্কার চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য একটি মাইলফলক। এনেসথেসিয়ার আবিষ্কার না হলে আমাদের চিকিৎসাব্যাবস্থা হত নির্মম এবং কষ্টকর। রোগীরা সার্জিক্যাল অপারেশনে ছুরির নিচে নির্ভয়ে শুতে পারছে এই anesthesia ‘র কল্যাণে।

আমরা যখন anesthesia নিয়ে কথা বলব তখন ক্রাফোর্ড লং, উইলিয়াম মরটন, চার্লস জ্যাকসন এবং হোরাস ওয়েলস এর কথা স্মরণ না করে পারি না। এই মানুষগুলো কিছু ক্ষেত্রে ব্যাথা নিবারণের জন্য ইথার এবং নাইট্রাস অক্সাইড প্রথম ব্যবহার করেন। রসায়নের ছাত্ররা লাফিং গ্যাসে কথা ভালো করেই জানেন। যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি, লাফিং গ্যাস হলো নাইট্রাস অক্সাইড। এই গ্যাস মানব শরীরে প্রবেশ করলে সে অনবরত বিনাকারণে হাসতে থাকে তাই এই গ্যাসকে বলা হয় হাসির উদ্রেককারী গ্যাস বা লাফিং গ্যাস।

১৮০০ সালের দিকে এই উপাদানগুলো মূলত ব্যবহার করা হত মজা এবং আনন্দ দেয়ার জন্য। এই ধরণের অনুষ্ঠানগুলোকে বলা হতো “লাফিং পার্টিস”, “ইথার ফ্রোলিক্স” ইত্যাদি। ১৮৪৪ সালে হোরাস ওয়েলস একজন লোককে দেখেছিলেন। যে লাফিং পার্টিতে অংশ নিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছে। তার পা থেকে রক্ত ঝরতে লাগলো। সে জানালো যে সে কোণ ব্যাথা অনুভব করছে না। দূর্ঘটনা থেকে আবিষ্কৃত হলো মহান এক আবিষ্কার। পরবর্তীতে হোরাস নিজের দাঁত তুলে ফেলার সময় এনেসথেটিক কমপাউন্ড ব্যবহার করলেন। তিনি কোন ব্যাথা পেলেন না। তারপর থেকে মেডিক্যাল প্রোসিডিউর এবং সার্জারিতে anesthesia ব্যবহার শুরু হলো। ওয়েলস, মরটন, জ্যাকসন দন্ত চিকিৎসায় এনেসথেসিয়া ব্যবহার করতে শুরু করলেন। অন্যদিকে ক্রাফোর্ড ছোটখাট শল্যচিকিৎসায় এটা ব্যবহার শুরু করলেন। আপনার যদি কখনো এটার প্রয়োজন হয় তখনি আপনি বুঝতে পারবেন অপারেশনে anesthesia গুরুত্ব কতখানি।
১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×