somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৩৪তম বিসিএস : ফলাফল নিয়ে তুঘলকি কাণ্ডে বিক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম

০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেখানে কয়েক ঘণ্টায় ফলাফল দেয়া সম্ভব, সেখানে পিএসসি দীর্ঘ দিন সময়ক্ষেপণ করে গতকাল ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফলাফল প্রকাশ করেছে। ফলাফল ঘোষণায় কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অকৃতকার্য প্রার্থীরা। তারা বলেন, ১০০ নম্বরের মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ নম্বর পেলেও সাধারণ প্রার্থীদের পাস করানো হয়নি। কিন্তু কোটাধারীদের ৫৪ থেকে ৬০ নম্বরের মধ্যেই পাস করানো হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, অনেকে ভালো পরীক্ষা দিয়ে পাস না করা এবং তুলনামূলক কম ভালো পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ পরীক্ষায় শুধু যাদের মুক্তিযোদ্ধা কোটা আছে তাদেরকেই উত্তীর্ণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পদধারী ছাত্রলীগ প্রার্থীদের পাস করিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
প্রাথমিক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এরকম নজিরবিহীন অনিয়ম ও বৈষম্যের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইছে।

সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ৩৪তম বিসিএসের ফলাফল নিয়ে কিছু প্রতিক্রিয়া
ফেসবুকে Syed Tarik Hossain লিখেছেন, প্রিলিতে আমাদের অনেকে ৮০+ কারেক্ট করে টিকে নাই, আর এদিকে নাকি ৬২ তে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় টিকাইছে!! এ এক আজব জাতি, কিভাবে কাউকে সম্মান দিতে হয় এরা জানেনা। মুক্তিযোদ্ধারা কি এসব সুবিধা নিতে দেশ স্বাধীন করেছিল???

Alam বলেছেন, ৩৪তম বিসিএসের প্রিলির ফলাফল সুস্পষ্টভাবে সংবিধান ও মানবতাবিরোধী। মামলা করলেই তা বাতিল হয়ে যাবে।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জীবনের শেষ বিসিএস-এ প্রথমবারের মতো প্রিলিতে ফেল করলাম। কোথাও কোনো সমস্যা করেছি হয়তো। ৭৭ পেয়ে ফেল করব একবারও ভাবিনি। চাকরির বয়স আর কয়েক মাস থাকলেও এসময়ে আর বিসিএস পাবার আশা নেই। আগ্রহটাও কেন জানি আগের মতো নেই। সামনের মাসে শেষ বারের মতো বিসিএস ভাইভা দিয়ে হয়তো নিজেকেই বলব-

‘না পাওয়ার সব হিসেব করে
জীবন কি আর চলে?
বিসিএস তোমায় দিলাম ছুটি,
কাব্য চর্চা ছেড়ে বিদেশের পানে ছুটি’

Zinia Tabassum Epshita লিখেছেন, বিসিএস প্রহসন : আওয়ামীগের পতনের অন্যতম কারণ হবে:::

Pranab Chowdhury লিখেছেন, বৈষম্যের তোপানলে পুড়ে আমি অঙ্গার। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। পাস করে বের হতে হতে বয়স শেষ। এবারই ছিল শেষ বিসিএস। মা বাবা বিসিএস বলতে অজ্ঞান। মা বাবা ফোন দিয়েই বলে “বাবা এবার কিন্তু বিসিএস হতেই হবে, ভালো করে পড়াশুনা কর।” পড়াশুনা তো কম করিনি। মা বাবাকে কথা দিয়েছিলাম মা তোমরা টেনশন করোনা, এবার আমার বিসিএস হবে। আমি কথা রাখতে পারিনি। মা বাবাকে কি বলবো তার ভাষাও খুজে পাচ্ছিনা। তাদেরকে আমি কিভাবে বুঝাব- মা এখানে অনেক বৈষম্য, আমাকে ক্ষমা করে দাও।

Zakir লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা কেন দেশ স্বাধীন করেছিল? প্রধান কারণ ছিল পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যের হাত থেকে জাতিকে মুক্তি দেওয়া। কিন্তু আজ স্বাধীন বাংলাদেশর এই তীব্র বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি পাকিস্তানি আমলের বৈষম্যকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে….।। উল্লেখ্য- আমি ৩৪ প্রিলিতে chance পেয়েছি।

নাসির লিখেছেন, মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন?
জীবিত ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-পুতিদের জন্য চাকরিতে কোটা থাকলে ৩০ লাখ শহীদ পরিবারের সন্তান ও নাতি-পুতিদের জন্য নেই কেন?
সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট ৩২ লাখ না হয়ে মাত্র ২ লাখ কেন? (সম্ভবত এখানেই কবি নিরব!)

Mahbub লিখেছেন, সংবিধান তথা স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী দেশ ও মেধাবিনাশী অনিয়ম আর কতকাল চলবে?
চাকরিতে পাকিস্তান আমলেও এতটা বৈষম্য ছিল না! মেধাবীরা এতটা বঞ্চিত হতোনা। তখন সংখ্যাগরিষ্ট হওয়ার পরেও সিভিল সার্ভিসে আমাদেরকে কম নেওয়া হতো। তবে বৈষম্য থাকলেও ড. আকবর আলী কিংবা আসাফউদ্দোল্লাহর মতো মেধাবীরা বঞ্চিত না হওয়ায় জাতি অনেক জাঁদরেল ও পেশাদার আমলা পেত। কিন্তু পাকিস্তানিদের বৈষম্য থেকে বাঁচার জন্য তৈরি হওয়া স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা ১০০% চাকরি বাংলাদেশিরা পেলেও তার সবই হয় সংবিধান তথা স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কোটা কিংবা দুর্নীতির মাধ্যমে। কম-বেশি ঘুষ ছাড়া আজ একজন মেধাবীরও চাকরি হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের শাসনামলে ঘুষ না দেওয়ার কারণে বিসিএসসহ সব চাকরিতেই মেধা তালিকার শীর্ষে থাকার পরেও তাদের নিয়োগ আটকে রাখা হয়েছে।

নিউজইভেন্ট
৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×