একটা মানুষ যতোই খারাপ হউক , মৃত্যুর পর সেটা নিয়ে উল্লাস করার পক্ষে ব্যক্তিগত ভাবে আমি না । কিন্তু দেশে যে তার এতো শুভাকাঙ্খি সেটা এতোদিন বুজতে পারি নাই ।
কিছু কিছু লোক তাকে স্যার উপাধি দিয়ে কথা বলছে দেখি । আবার কিছু লোক তাকে ভাষা আন্দলোনের নায়ক বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এটার ইতিহাসটা একটু জেনে নিবেন ।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহন নিয়ে নিয়ে স্বয়ং গূ. আযমের বক্তব্য দেখা যাক ( দৈনিক পাকিস্থানের ১৯শে জুন ১৯৭০ সংখ্যায় প্রকাশিত) -"পশ্চিম পাকিস্তানের শুক্কুরে ১৮ই জুন (১৯৭০) এক সংবর্ধনা সভায় জামায়াত নেতা গোলাম আযম বলেন, উর্দু পাক ভারত উপমহাদেশের মুসলমানদের সাধারন ভাষা। তিনি বলেন, ৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তিনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা ভুল হয়েছিল।"(সূত্র - বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস - ড. মোহাম্মদ হাননান পৃষ্ঠা ৩৯৯)
.
.
তার ভাষা আন্দোলোনের বিরাট ভূমিকা সম্পর্কে নিম্মক্ত অংশটুকু পেশ করছি নুরুজ্মামান মানিকের ব্লগ থেকে
.
১৯৪৮ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ২৭ নভেম্বর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এক সমাবেশে ভাষণ দেন। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাকে একটি মানপত্র দিয়ে তাতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানানো হয়। এ মানপত্রটি পাঠ করেন ইউনিয়নের তৎকালীন সেক্রেটারি গোলাম আযম। আসলে এটি পাঠ করার কথা ছিল ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ বোসের। কিন্তু লিয়াকত আলীকে ভাষা আন্দোলনের দাবি সংবলিত মানপত্র পাঠ একজন হিন্দু ছাত্রকে দিয়ে করালে তার মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে এবং মুসলিম লীগ সরকার এ নিয়ে নানা প্রকার বিরূপ প্রচার শুরু করবে এ আশংকা থেকেই একজন মুসলমান ছাত্র হিসেবে সেক্রেটারি গোলাম আযমকে সেটা পাঠ করতে দেয়া হয়েছিল। এই হল ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের ‘বিরাট’ ভূমিকা।
.
এখন আসেন কেন সে এতো বছর বুক ফুলিয়ে এদেশে অবস্থান করেছেন এর পিছনে কারন হলো আওয়ামিলীগ ও বিএনপির লেজুড় ভিত্তিক অপরাজনীতি । এই দুই দলের জন্যই এদের মতো নেতা আজও এদেশে অবস্থান করেছে । এই দুই দলই দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে , পায়ে লুটিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য । গোলাম আযমরা যেমন অপরাধি তেমনি বিএনপি আওয়ামিলীগও অপরাধী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এদের প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য
.
জামায়াত ইসলাম তো আবার দাবি করে তিনি নাকি ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার । আসলে তাদের লজ্জা আছে কিনা তা জানি না কিন্তু এদেশের মানুষের যে লজ্জা নাই তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই । দল ভিত্তিক রাজনীতিকরতে গিয়ে এরা আজ দেশের ইতিহাস কে লুটিয়ে খাওয়াকে প্রশ্রয় দিচ্ছে ।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফট্যানেন্ট মতিউর রহমানকে পাকিস্তানীরা যেখানে কবর দেয়, সেই মাসরূর বিমান ঘাটির কবরস্থানের প্রবেশদ্বারে পাকিস্তানীরা মতিউরের ছবি টাংগীয়ে লিখে রেখেছিলো " গাদ্দার "। ৩৫ টা বছর জাতীর সেই শ্রেষ্ঠ বীর সেখানে সেভাবে অজত্নে অবহেলায় পড়ে ছিলেন। আর আমরা ? দেশ স্বাধীনতা বিরোধীদের সবোচ্ছ মর্যাদা দিতেও কার্প.ন্য করি না
যাই হোক মৃত্যুর পর তার ব্যাপারে উল্লাস প্রকাশ করার পক্ষে আমি নই । তার কর্ম অনুযায়ী বিচারটা আল্লাহ পাকই করবেন
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৮