কেউ হজ্বে যাওয়ার সময় অনেকেই হজ্বযাত্রী ব্যক্তিটির নিকট আব্দার করেন তিনি যেন আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা মোবারকে তার একটা সালাম পৌঁছে দেন। এই যে সালাম পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারটা। অথচ সে যেখানে আছে সেখান থেকেইতো সালাম পৌঁছাতে পারে। আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের মাধ্যমে নবীজী সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে সালাম পৌঁছে দেন। আল্লাহ তায়ালাতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রেখে দিয়েছেন যেন উম্মতে মুহাম্মদীর সালাম পোঁছাতে কোন কষ্ট না হয়। যে কেউ, যেখান থেকে ইচ্ছা, যত খুশি আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাম পাঠাতে পারে। মান্ধাতার আমলের মানব মারফত ডাক প্রেরণ কি মুসলমানদের জন্য শোভা পায়? ঐ লোকটা কবে না কবে গন্তব্যস্থানে পৌঁছাবে, কবে সালাম পৌঁছাবে, পথে কত কি হতে পারে! তার চেয়ে একটা দরূদ শরীফ পড়লেই চোখের পলক ফেলার পূর্বেই সালাম নবীজী সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। সালাম পাঠানো উদ্দেশ্য ছিল, সালামও পাঠানো হলো, উপরি পাওনা হিসেবে আপনার দোয়া কবুল হবে। এ বিষয়টার ব্যাপক প্রচার দরকার মনে হয়। এ লেখা যারা পড়ছেন তারা বেশ কয়েকবার সালাম পাঠিয়ে ফেলেছেন, কারণ এখানে "সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লাম" দরূদ শরীফটি লিখা আছে। তবে উচ্চারণ সঠিকভাবে করতে হবে। 'সাল্লাল্লাহু'র উচ্চারণে ছোয়াদ (ص) দিয়ে করতে হবে। 'য়ালাইহি'র উচ্চারণ য়াইন (ع) দিয়ে করতে হবে। এগুলো বাংলায় লিখা যায় না। প্রসঙ্গক্রমে তাই বলে দিচ্ছি, এ কারণেই বাংলা হরফে কুরআন শরীফ পড়া জায়েজ নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫১