সারাবিশ্ব জুড়ে মুসলমানরা সাধারণত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকে। কারণ প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করাটা তাদের জন্য ফরয। যার ফলে এক ওয়াক্ত আদায় না করাও বিশাল পাপের কাজ এবং এটা ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু তাঁদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ কোরান কি বলে?

কোরানের কোথাও এক বারের জন্য ও বলা হয় নি যে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই আদায় করতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরবচ্চও তিন বারের কথা বলা আছে। কিন্তু তারপরেও সারা পৃথিবীজুড়ে মুসলিমরা পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকেন তাঁদের ধর্মের প্রতি খুব বেশি আনুগত্য এবং উৎসর্গ থেকে। তাহলে এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাহলে কিভাবে শুরু হল?

আমরা জানি সারা পৃথিবীজুড়ে মুসলিম সমাজ কিছু উপদলে বিভক্ত (শিয়া,সুন্নি ইত্যাদি), এর মধ্যে সবচে বড় উপদলটি হচ্ছে সুন্নি মুসলিমরা এবং ৯০% মুসলিম ই হচ্ছে এই সুন্নি উপদলের অনুসারি। এই সুন্নি মুসলমানেরা কোরানের পরে হাদিসের শিক্ষাকে সবচে বেশি গুরুত্ব প্রদান করে আর এই হাদিসের মধ্যেও বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। এবং এই সকল হাদিসের মধ্যে তারা বুখারি শরিফকেই সবচে বেশি বিশুদ্ধ মনে করে। আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের এই নিয়মটা এই বুখারি শরিফ থেকেই আসা। আর এই বুখারি শরিফ সংগৃহীত হয়েছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে (মুহাম্মাদের মারা যাওয়ার ও অনেক পরে) ছয়জন্ ব্যক্তি দারা এবং তাঁদের কেওই তখনকার আরাবিয়ান অঞ্চলের ছিল না। তাঁদের ভাষা, বেড়ে ওঠা, সংস্বকৃতি ছিল ভিন্ন। তারা প্রধানত এসেছিল ইরান এবং তুরকেমিস্তান থেকে। তারা ওইসময়ে মক্কা এবং মদিনাতে বেশ কিছুদিন অবস্থান করে এবং মানুষদের মুখে শুনে শুনে এই বুখারি শরিফ সম্পন্ন করে যেটা কিনা পরবর্তীতে সুন্নি মুসলিমদের জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। আর এই বুখারি শরিফের প্রায় ৭০% হাদিস বর্ণিত হয়েছে আবু হুরায়রা নামক ব্যক্তির থেকে ,যিনি মুহাম্মাদ জীবিত অবস্থায় সেখানে ছিলেন কিন্তু সেই সময় টা ছিল খুব ই অল্প। মজার বেপার হচ্ছে এই আবু হুরাইরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল শিয়া মুলিমদের দারা।