ধার্মিকদের সাথে ধর্ম নিয়া বিতর্ক করতে গেলেই দেখা যায় , তারা জানুক আর না জানুক ধর্ম কে ঠিক রাখার জন্যই হউক অথবা তর্কে জিতার জন্যই হউক এমন ভাবে মনের মাধুরী মেশানো শুরু করে যে ধর্মটাকে আরও বেশি হাস্যকর করে ফেলে। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাদের নিজস্ব ধর্মের ভবিষ্যৎবানী নিয়া যুক্তি দেখানো । তাদের প্রায়ই বলতে দেখা আমার ধর্মে এটা বলা আছে ওটা বলা আছে, যদি এটা আল্লাহ/দেবতাদের বানী না হত তাহলে এটা কিভাবে আসলো অথবা বলে এখনকার বিজ্ঞানে যা যা আবিষ্কৃত হয়েছে তা তাদের ধর্মে আগেই বলা ছিল বা তাদের নবী রাসুলরা আগেই বলে গিয়েছিল এইরকম আরও অনেক কিছু।
কিন্তু ইসলামের নবী মুহাম্মাদ কিন্তু ধরা খেয়েছিল। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে আল শানবা বিনতে এমর নামে এক মহিলা কে বিয়ে করেছিল এবং বিয়ের প্রথম রাতেই ওই মহিলা তাকে ভণ্ড নবী বলে আখ্যা দিয়েছিল এবং সে যে মিরাজে গেছে অথবা চাঁদ ভাগ করছে বলে দাবি করেছিল সেগুলিকেও মুহাম্মাদের ওই স্ত্রী মানতে নারাজ ছিল এবং যার ফলে বিয়ের প্রথম রাতেই এই আল শানবা বিনতে এমর কে মুহাম্মাদ তালাক দিয়েছিল। পরবর্তীতে সবাই যখন জানতে চাইলো বিয়ের প্রথম রাতেই তালাক কেন অথবা এখনকার মুসলমানরা বলবে ওই মহিলার বনি কুরাইসা গোত্রের সাথে সংযোগ/বন্দুত্ত ছিল, এই মহিলা ভাল ছিল না আরও অনেক কিছু। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে , মুহাম্মাদ যদি দ্বীনের নবী হয়েই থাকে সে কেন বিয়ের আগে বুজল না অথবা তার বন্ধু আল্লাহ কি তাকে আগে কিছু বলে নাই? এই ঘটনাটা কিন্তু হাদিসে পাওয়া যায় না তার কারন হচ্ছে যারা হাদিসগুলি সংগ্রহ করেছে তাঁরা ভেবেছিল এটাতে শিক্ষার কিছু নাই কিন্তু আসল কারন ছিল হাদিসে থাকলে দ্বীনের নবীর আসল রূপ টা বের হয়ে যেত আর সব জারিসুরি ফাঁস হয়ে যেত। (আল তাবারি, ভল ৯,১৩৬)
আল তাবারি সম্পর্কে জানতে এই লিঙ্কে যান: https://en.wikipedia.org/wiki/Al-Tabari
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৬