(১) বৃষ্টি বাসর
প্রকাশ্য দিবালোকে লোকচক্ষুর সামনে বাসর করেছি । যখন বৃষ্টি এসে আমার উঠোনে ডাক দিল তখন কি আর ঘরে মনে মানে ? দৌড়ে জাপটে ধরলাম সমস্ত দেহ দিয়ে । দৌড়ে দৌড়ে এলাকার সবার সামনে চুমু খেয়েছি বৃষ্টি রসের প্রতিটি ফোঁটায় । সে তার নৃত্যের তালে আমাকেও নাচালো । বাসরে আরও মধু ঢেলে দিল চায়ের কাপে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো । একটি করে ফোঁটা পরে কয়েকবিন্দু চা উৎরে উঠে হাতের কব্জিতে পড়ে যে শিহরণ জাগিয়ে দিল , তা তো আমার লক্ষ্মী বৃষ্টির ভালোবাসার পরশ । সেও আমাকে উপভোগ করছে তার দিব্যবাসরে । বাসর শেষের স্নান করিয়ে দিয়ে গেলো ।
(২)জমির নিলাম
নিশ্চিহ্ন জমির পরে আবার ফিরে ,
পাবে কি দাঁড়াবার অংশটুকু ?
ভোগ দখল করে চলেছে অন্যে ,
যা ছিল তাও গেছে তোমার ভাগের যতটুকু ।
আমার জমি বেদখল হয়েছে যেমনি ,
তেমনি তোমারটাও অন্যে করে চাষ ।
ফলন ভালোই , ফসলগুলো বেড়ে উঠেছে দেখনি ?
বল কোথায় দাঁড়াবে ? বাড়িওনা নাভীঃশ্বাস ।
দীর্ঘশ্বাস আর দহন তোমায় উপহার দিলাম ,
তুমি নিজেই যে করেছিলে , এই জমির নিলাম ।
০৬/০৬ ; রাত
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৬