আমি অন্য কোথাও ভ্রমণ করছি। তোমার চোখেরা আমাকে দেথেনা যেখানে,
তোমার মন কল্পনা করতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার।
এই যে পাশে দাঁড়ানো ঘোড়াটি, আমার দূরে থাকা চাঁদ,
সূর্যের গলিত শরীর, অস্বীকার করি। তোমার হাত আমার হাতের
হাড়ের গলিতে ঢুকে পড়লেও আমি তাকে ছুঁয়ে দেখি না।
মূলত আমি অন্য কোথাও ভ্রমণ করছি।
এখানে রূঢ় মাটি; সে ও তারা আমার প্রতি সন্দিহান
এবং কথা বলতে ইচ্ছাহীন- আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভিক্ষা পেলেও,
কথা পাইনি। কেবল ধুলির উপর শরীরকে ছেড়ে দিয়ে
ভেবেছি ভাষাহীন শূণ্য ভাবনা। আমি কাকে ভেবেছি ভুলে
গেছি। আমি কাকে খুন করে ফেলেছি নিরাসক্ত জিঘাংসায়-
মনে নেই। আমার ভাষাহীন শূণ্য ভাবনার কোনো দেয়াল ছিলো না।
আমি অন্য কোখাও ভ্রমন করছি। যেখানে এক কিশোর
আমার কাছে জল নিয়ে আসে। আমি তার হাতের
ভেতর এক সাধকের মৃতদেহ দেখতে পাই। সে আমার
ঠোঁটের উপর তার আঙ্গুল বুলিয়ে দেয়, আমি
জলকে এবং আমাকে ভুলে যাই। আমি তার শরীরের
পাশে একান্ত শরীর নিয়ে বসে থাকি। তার
ঠোঁটের ভেতর আমি শব্দ খুঁজি, তার চোখের ভেতর
হারিয়ে যায় আমারই ছায়া। ছায়াহীন আমি
কিশোরের ছায়া হয়ে যাই।
আমি ভাবি।
সেও ভাবে।
হে কিশোর! তোমার হাতের তালুতে নিয়ে চলো।
হে কিশোর! কাঁঠালচাপারা আসার আগে সঙ্গমে যাবো না
সাধকের সাথে।
কিশোরের ঠোঁট হেসে ওঠে। তার হাতের তালুতে দেখা যায়
বিশাল বিপুল অশত্থছায়া।
আমি ভুলে যাই, আমি অন্য কোথাও ভ্রমণ করছি।
কলোনী ৩ ০৭.১০.২০১০
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৫৭