ঘটনাটা ঘটেছিল এক বছর আগে ভাদ্র মাসে !! তখন আমি সিলেটে ছিলাম । প্রচন্ড রকমের গরম !!!
সেই মুহূর্তে আমার অনিদ্রা রোগ ছিল; প্রতিদিন দুই তিনটা করে ক্লোনাজেপাম .৫ খেলেও ঘুম আসতো না ।।
বিছানায় শোয়ামাত্রই ঘুমুতে পারতাম না, অজানা কিছু আতংক চারিদিক থেকে আমায় গ্রাস করতো, বুকের মাঝখানে সব আতংক ভর করতো ।
এ কাত থেকে সে কাত, আবার সে কাত থেকে এ কাত করতে হতো; অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে হতো এভাবে ।
যে রাতের কথা বলছি, সে রাতে অসহ্য গরম পড়েছিল । আমার বাসাটা ছিল একেবারেই পাহাড়ের গা ঘেসে । বাংলো টাইপের অসম্ভব সুন্দর একটা বাসা । ছাদ থেকে পুরো উচুঁ নিচু পাহাড় দেখা যেত । পাহাড়ে চা বাগান ছিল , মাঝে মাঝে শেয়াল এর ডাক শোনা যেত ।
সেই রাত টিতে অসহ্য গরমের কারণে আমি একা একাই ছাদে গেলাম । অনেকক্ষণ ছাদে হাঁটাহাটি করলাম । ছাদ ও তেতে ছিল । এক ফোঁটা বাতাস নেই । একটা ভেজা গামছা গায়ে জড়িয়ে রাত প্রায় ১ টা পর্যন্ত ছাদের রেলিং এ বসে রইলাম । শরীর টা হাল্কা শীতল হলো, তখন একটু ঝিমুনির মতো ধরল ।
বিছানায় এসে শুয়েছি, হঠাৎ পাশের ঘরে শব্দ হতে লাগল । আমার কলিগ আবার সেদিন মৌলভীবাজার এ ছিল । পুরো বাসাতে আমি একাই ।
আমি বেশ অবাকই হলাম , কারণ পাশের ঘর তালাবদ্ধ । আমার ঘর থেকে পাশের ঘরে যাওয়ার একটা দরজা আছে, কিন্তু সেই দরজা ভেতর থেকে বন্ধ । প্রথমে ভাবলাম ইঁদুর বা বেড়াল টেরাল হবে । কিন্তু কেন জানি ফিসফাস শব্দ আসছিল । মনে হচ্ছে দুই তিন জন মানুষ আছে ; আমার মনে হল আমি হাসির শব্দ ও শুনতে পেলাম ।
আমার শরীর ভয়ে আরো বেশি শীতল হতে লাগলো, একটু সাহস নিয়েই বললাম—কে ??? কে ওখানে ??? সঙ্গে সঙ্গে সব শব্দ থেমে গেল ।
আমি কৌতুহলী মন নিয়ে দরজায় হাত রাখলাম আর সাথে সাথে দরজা হালকা খুলে গেল ।।
ভেতরে যা দেখলাম ; তা দেখে আমি তো পুরাই থ.........