আমার পাশে একজন ছিলেন তিনি জীবিত সন্তান চান না। মৃতদেহ সনাক্তকরতে এসেছেন।
চোখ জুড়ে একটাই প্রশ্ন, ময়মুনারে দেখেছেন?
কখন মানুষ স্বজনের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে?
স্তুুপীকৃত হাহাকার আর ক্রন্দনের ভিতর যদি কিছু মিল পেয়ে যায়।
অপেক্ষারতদের চোখ ঢুকে গিয়েছিল কোটরের ভিতর,
ন্যুজ হয়ে, বসে, একটানা হাতুড়ি দিয়ে দালান ভাঙার শব্দে
একই জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেছিল,
কেউ রব দিয়েছে আরেকজন!
চুলের কাটিন, মুখের উপরটা দেখে চিনতে পেরেছে তাকে,
আর তখনই প্রবল ঈর্ষায় হতাশ হয়েছে বাকিরা,
কতটা আশাবাদী হলে যা কিছু একটা উদ্ধার হয়েছে তাতেই মিল খুঁজে পায় স্বজনেরা,
আমি সে দৃশ্য ভাবতে চাই না।
আমি সে দৃশ্য ভাবতে চাই না।
আমি ভাবতে চাই না,
বরং দাবার ছকের মত বেওয়ারিশ মাটিচাপা হলেই হতো,
গোপনে সব সরিয়ে নেয়া হলেই হতো।
দাবার ঘরে গুটিদের সাজানো হয়
নিজেরা মরে রাজাদের বাঁচিয়ে রাখতে,
এখানে যারা আসতো প্রত্যেকেই বিশ্বস্ত থেকেছে আমৃত্যু,
বাইরে থেকে গেটটা তালা দেয়া, এভাবে মানুষ খুন হয়েছে
বার বার মনে করিয়ে দিতে চাই না।
আমরা কি জন্মসূত্রে কারো স্বজন নই?
কারো কোলে বড় হইনি। আবার কাউকে কোলে ধরে বড় করি,
মানুষ হলে আমরা এভাবে মানুষকে তুচ্ছ করতে পারতাম না,
কিন্তু সেই আকাঙ্খিত সাম্য! হায় সাম্য!
আমাদের চাওয়া এখন সন্ধ্যায় জীবন্ত ফিরে আসার মধ্যে সীমিত।
উপার্জনক্ষম ছেলেটি ভাল একটা ছবি রেখে যায় বাড়ির সদস্যদের কাছে। আবার কবে ছবি দেখে সনাক্ত করতে যেতে হবে।
কিছু বদলায় নি..
এখনো সকাল হতেই সারিবদ্ধ শ্রমিক বের হয়,আরেকটি বিপদ হবার আগ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন ইমারতে ওরা কাজ করে যায় ওরা।
-
ড্রাফট ১.২
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৫