ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মনিপুরের নিষিদ্ধ ঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ)-এর সভাপতি রাজকুমার মেঘেনকে গ্রেফতারের বিষয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে তার অবসান ঘটিয়ে স্বয়ং মেঘেন বলেছেন, তাকে বাংলাদেশে অপহরণ করে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। গতকাল গৌহাটির এক আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি এখানে গ্রেফতার হইনি। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আমাকে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী অপহরণ করে ভারতীয়দের হাতে তুলে দেয়।
গতকাল গৌহাটির আদালতে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) মেঘেনের রিমান্ড প্রার্থনা করলে আদালত ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ভারত সরকার বলছে, বিদ্রোহী নেতা মেঘেনকে ভারতে আটক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে মেঘেনকে বিহারের পূর্ব চাম্পারান জেলার মতিহারি থেকে বিদ্রোহী নেতা মেঘেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে নেপালে পালানোর চেষ্টা করছিল। আলোচনার টেবিলে বসাবার জন্য অনেক দিন থেকে চেষ্টা করছে ভারত। মনিপুরের যতগুলো স্বাধীনতাকামী সংগঠন রয়েছে তাদের মধ্যে ইউএনএলএফ বেশ শক্তিশালী। মেঘেনের নেতৃত্বে ইউএনএলএফ মনিপুরের স্বাধিকার আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ভারত সরকার এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং এর নেতা মেঘেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। দীর্ঘদিন ধরে মেঘেন বাংলাদেশে আত্মগোপনে ছিলেন। তেহেলকা এবং বিবিসির খবরে প্রথম জানা যায়, মেঘেনকে বাংলাদেশে গ্রেফতার করে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এ খবরের প্রতি একমত পোষণ করে ইউএনএলএফ জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়া এলাকায় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় ভারতের র’ এবং বাংলাদেশের র্যাবের সম্মিলিত বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। পরে বিশেষ বিমানে করে তাকে নয়াদিল্লী নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিচারের জন্য তাকে গৌহাটি পাঠানো হয়। বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টিও এক বার্তায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে জানায় মেঘেনকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে।