১) শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী না হলে মারা যাবে ১ লক্ষ লোক : বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল । (২০ আগষ্ট ,প্রথম আলো )
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘উত্তর দীঘলদি ইউনিয়ন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনের যাত্রা শুরু হলো। ২০০১ সালের পরের অবস্থায় যদি ফেরত যেতে না চান, তাহলে আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশন যে নির্বাচন দেবে, সেই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করার জন্য সবাই, মা-বোন এবং আপনারা ভোট দেবেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম দিনেই লক্ষ লোককে হত্যা করবে। কোনো মা-বোন ইজ্জত নিয়ে বাড়িতে থাকতে পারবে না।’
২) জাতীয় ঐক্যের নামে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ: ওবায়দুল কাদের । ( ২ সেপ্টেম্বর ,প্রথম আলো )
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ করতে পারে। জাতীয় ঐক্যের নামে বিএনপি এই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করছে।
রাজধানীর পলাশী মোড়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মবার্ষিকীর শোভাযাত্রা উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
৩) সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উৎপাটন করব: কাদের । ( ২৭ আগষ্ট ,প্রথম আলো )
আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ওবায়দুল কাদের। পরে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় কবি অসাম্প্রদায়িক ও মানবতাবাদী চেতনায় সমৃদ্ধ ছিলেন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ এখনো ডালপালা বিস্তার করে আছে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ উৎপাটনের অঙ্গীকার করেন মন্ত্রী।
৪) হঠাৎ ধরপাকড়ে আতঙ্ক, পুরোনো মামলা সচল । ( ৪ সেপ্টেম্বর,প্রথম আলো )
বিএনপির দাবি, তিন দিনে গ্রেপ্তার ৩০৪।
ঈদের পর থেকে গ্রেপ্তার ৭০৯।
নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক।পুলিশ বলছে, ধরপাকড় হচ্ছে না ।
৫) শান্তির জন্য দুটো বিয়োগ দরকার: তথ্যমন্ত্রী ইনু । ( ৩০ আগষ্ট ,প্রথম আলো )
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুটো বিয়োগ দরকার। রাজাকার এবং রাজাকারের পৃষ্ঠপোষক
খালেদা-বিএনপিকে বাদ দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে খালেদা ও রাজাকারের চূড়ান্ত বিদায় হবে।
৬)নির্বাচন নাও হতে পারে: ড. কামাল । ( ১ সেপ্টেম্বর ,বাংলাদেশ প্রতিদিন )
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি এমন হচ্ছে যে নির্বাচন নাও হতে পারে ।
ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘যারা দুই নম্বর বা চার নম্বরি করে ক্ষমতায় যেতে চায়, টিকে থাকতে চায় তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।’দেশের সব মানুষ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এমন একটা মানুষ দেখান যে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। যারা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছে না তাদের স্থান পাবনায় হতে হবে।’
কিছু কথা ;-
ড. কামাল হোসেনের কথাগুলো আমলে নিচ্ছিনা । এদেশের রাজনীতিতে তার সুবোধ বালকের কথার কেউ চারাআনা দাম দেবেনা ।
তথ্যমন্ত্রী ইনুর দুইজন বিয়োগের কথা তাদের স্বৈর রাজনৈতিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ । বিএনপি যাতে তীব্র আন্দোলন না করতে পারে সেজন্য ধরপাকড় হবে ,এই নীতিতেই তো দেশের রাজনীতি চলছে । যে দল ক্ষমতায় থাকবে বিপক্ষদলের নেতাকর্মীদের জেলে ভরতে হবে নির্বাচনের আগে ,এটা তো দেশে নতুন কিছু নয় । চিন্তার বিষয় হল , সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন উচ্চপদস্থ নেতারা । দেশে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বীজ বপন করা হচ্ছে নাতো ?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩