somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন জেনে নেই কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের । (দুর্বল হার্ট যাদের তারা এড়িয়ে চলুন) ।(পর্ব-১)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১) জোডিয়াক কিলার (The zodiac killer)


খুনী নিজেই জোডায়িক নামটি দিয়েছিলেন । তিনি ১৯৬০-১৯৭০ সালের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়াতে সিরিয়াল কিলিং করছিল ।তিনি বে এরিয়া প্রেসে বিদ্রূপাত্মক চিঠি পাঠাত জোডিয়াক নামে । তিনি ৪ টা চিঠিতে বিশেষ কোড পাঠিয়েছিল (সাইফার) ডিকোড করার জন্য ,তার নিজের সম্পর্কে । কিন্তু পুলিশ মাত্র একটা চিঠি ডিকোড করতে পারছিল । তার সর্বশেষ চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন মোট ৩৭ টি খুন করেছেন ।এই চিঠিটি সান ফ্রান্সিসকো পুলিশ ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু সংবাদপত্রে তার ৭ টি খুনের কথা প্রমানিত হয়েছে ।তার এই কেসটি এখনো ওপেন আছে ।


২) টেড বান্ডি (উন্মাদ নেক্রোফিল)



লাশের সাথে সেক্সের কথা কখনো শুনেছেন জীবনে ? না শুনে থাকলে টেড বান্ডির কাহিনী শুনে অবাক হবেন । তিনি ৩০ জন মহিলাকে হত্যা করেছেন জীবনে এবং হত্যার পর তাদের সাথে সেক্সুয়াল কাজ করতেন (যাকে ইংরেজীতে নেক্রোফিল বলে) । কত বড় মস্তিষ্ক বিকৃত জানোয়ার ছিল সে । সেও আমেরিকার সিরিয়াল কিলার ছিল । বান্ডি কমপক্ষে ১২ জনকে হত্যা করার পর তাদের শিরচ্ছেদ করছিল এবং তাদের মাথার ঘুলি তার আপ্যার্টমেন্টে সাজিয়ে রাখছিল (পিশাচ !) ।


৩)জ্যাক দ্যা রিপার ( হোয়াইট চ্যাপেল খুনী ) ।


সিরিয়াল কিলার নিয়ে কথা বলতে আসলে প্রথমে সবাই বলবে জ্যাক দ্যা রিপারের কথা। সাধারণভাবে মনে করা হয়, ১৮৮৮ সালে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন শহরের হোয়াইটচ্যাপেল ডিস্ট্রিক্ট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় এই খুনি সক্রিয় ছিল। জনৈক ব্যক্তি একটি চিঠিতে নিজেকে হত্যাকারী বলে দাবি করেছিল। গণমাধ্যমে প্রচারিত এই চিঠিটিতেই "জ্যাক দ্য রিপার" নামটি প্রথম পাওয়া যায়।

সংবাদপত্রে জ্যাক দ্য রিপারকে নিয়ে প্রচুর লেখালিখি হয়। রিপার আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে এবং সেই সঙ্গে কিংবদন্তিটিও দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৯১ সাল পর্যন্ত হোয়াইটচ্যাপেলের ১১টি নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে। কিন্তু সেগুলির সঙ্গে ১৮৮৮ সালের হত্যাকাণ্ডগুলির কোনো যোগসূত্র খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। পাঁচ জন নিহত—মেরি অ্যান নিকোলস, অ্যানি চ্যাপম্যান, এলিজাবেথ স্ট্রাইড, ক্যাথরিন এডোয়েস ও মেরি জেন কেলি—"প্রধান পাঁচ" ("ক্যাননিক্যাল ফাইভ") নামে পরিচিত। এরা খুন হয়েছিল ১৮৮৮ সালের ৩১ অগস্ট থেকে ৯ নভেম্বরের মধ্যে।

হোয়াইট চ্যাপেলের বাকস রো এলাকায় ১৮৮৮ সালের ৩১ শে আগস্ট রাত ৩ টার পর নিকলসের লাশ পাওয়া যায়। ধারালো চাকুর সাহায্যে গলায় দুটি আঘাত করা হয়েছে যার ফলে তা ফেড়ে গেছে। তলপেটের নিচের অংশ নিখুঁতভাবে কেটে নিয়েছিল খুনি।

তার ঠিক এক সপ্তাহ পরে হ্যানব্যারি স্ট্রিটের একটি বাড়ির পিছনের দরজায় ১৮৮৮ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর সকাল ৬ টার দিকে অ্যানি চ্যাপম্যানের লাশ পাওয়া যায়। তার গলাটিও ঠিক আগের হত্যাকাণ্ডের মতই একইভাবে দুটি আঘাত করে ফেড়ে ফেলা হয়েছিল। তার তলপেট কেটে উন্মুক্ত করা ছিল। পরে দেখা যায় তার জরায়ু পুরোটাই কেটে ফেলে দিয়েছিল খুনি।

এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর, ১৮৮৮ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর এলিজাবেথ স্ট্রাইড ও ক্যাথরিন এডোসের লাশ পাওয়া যায়। স্ট্রাইডের লাশ পাওয়া যায় দ্যূত-ফিল্ডস ইয়ার্ডে রাত একটায়। তার কাঁধে প্রধান ধমনীর বাম পাশ থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল।

এর পরে মিট্রে স্কয়ারে এডোসের লাশ পাওয়া যায়। বরাবরের মতই গলা কাটা এবং তলপেটে বাম কিডনি ও জরায়ু কেটে নেওয়া হয়েছে।

৯ই সেপ্টেম্বর সকালে নিজের রুমে মেরি ক্যালির লাশ পাওয়া যায়। গলা থেকে মেরুদণ্ড পর্যন্ত কাটা ছিল। তলপেটের কোন অঙ্গই ছিলনা, হৃদপিণ্ডটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এই হত্যাকাণ্ডগুলোর পর লন্ডনে কোন খুন হলেই সবাই ধরে নিত যে এটা জ্যাক দ্যা রিপারের কাজ। পুলিশ আদাজল খেয়ে মাঠে নামে। একটি বর দল এই খুনের তদন্তে নামে। প্রায় ২০০০ ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, ৩০০ জন লোকের উপর তদন্ত করা হয় এবং ৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয় এই হত্যাকাণ্ডের সুরাহা করার জন্য। হোয়াইট চ্যাপেলের সিআইডি পুলিশ, লন্ডন সিটি পুলিশ আর নামকরা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডও এর কূল কিনারা করে উঠতে পারেনি।

কে এই জ্যাক দ্যা রিপার তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সন্দিহান-ভাবে জানা যায়নি। এর জন্যই এই সিরিয়াল কিলার বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।

সোর্স ; স্কুপহুপ,উইকি ,ইন্টারনেট ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×