রাজকুমার হিরানির ফিল্ম মানেই অন্যকিছু।
ভরপুর কমেডি দিয়ে একটা সিরিয়াস জিনিসকে দর্শকের কাছে তুলে ধরতে তার জুড়ি নেই এবং ছবিতে অসাধারণ কিছু মেসেজ। সাঞ্জুর ট্রেইলার দেখে মাথা নষ্ট হয়ে গেছিল সত্যি কথা বলতে এত্ত জোস ট্রেইলার খুব কমই দেখেছি। এটা হচ্ছে "সঞ্জয় দত্তের" বায়োপিক আমি সাধারণত ইমরান হাশমির ফ্যান তার ছবি ছাড়া আর কোন ছবিই আমাকে এত্তটা টানেনা হোউক তার রিসেন্ট ছবিগুলার স্কিপ্ট বস্তাপচা থার্ডক্লাস। তবে সাঞ্জুর জন্য ও ব্যাপক এক্সসাইটমেন্ট কাজ করছিল।ছবিটা গতকাল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড রিলিজ হয়েছিল আর গতকাল রাতেই দেখে ফেলেছি হোউক সেটা চুরি করে। ছবিটাকে দুইটা ভাগে ভাগ করা যায়
'প্রথম ভাগ - সাঞ্জু বাবার ড্রাগস লাইফ'
'সেকেন্ড - ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বোম ব্লাস্টের সাথে জড়িয়ে পড়া , জেল জীবন ও এর থেকে মুক্তি।
এর থেকে বেশি কিছু বললে হয়ত স্পয়লার হয়ে যাবে। আসলে একজন মানুষের বায়োপিক হয়ত ১৬০ মিনিটের ভেতর পুরোপুরি তুলে ধরা সম্ভব না তবে হিরানি সাহেব অনেক তার জীবনের কন্ট্রোভার্সি গুলোই বেশি তুলে ধরেছেন। এই ছবিটা দেখলে হয়ত বুঝতে পারবেন কতটা বেপরোয়া জীবন যাপন করতেন সাঞ্জু বাবা আমার মনে হয় সাঞ্জু এখনও অনেকটাই তেমনই আছেন। ড্রাগস এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারবেন দেখতে পারবেন কিভাবে ব্যাকফুটে থাকা সাঞ্জু মুন্নাভাই দিয়ে আবার স্টারডম ফিরে পায়। এবং মুন্নভাই এর স্কিপ্ট সিলেকশন টা কিভাবে করেছিল। অভিনয়ের কথা আসলে পুরোটাই মাতিয়ে রেখেছিল রনবীর ও রাওয়াল সাহেব আপনি হয়ত ছবি দেখার মাঝখানে কনফিউশনে পড়ে যেতে পারেন স্কিনে কাকে দেখছেন এটা তো সত্যিকারী সাঞ্জু বাবা রনবীর দারুণ দেখিয়েছে লুকিং এর সাথে ভয়েস টাও অলমোস্ট সেইম। রকস্টার দেখেই বুঝেছিলাম রনবীরের অভিনয় স্কিল। কমিক ডায়লগের সাথে আবেগ মিলিয়ে ভাল হয়েছে তবে ওয়ান টাইম ওয়াচ লেগেছে এখন আমাকে পাগল বলতে পারেন এক মুভি আবার কয়বার দেখে একবারই তো মানলাম এখন বুকে হাত দিয়ে বলেন তো
থ্রি ইডিয়টস,পিকে,মুন্নাভাই কয়বার করে দেখেছেন?? রাজকুমারের ছবি মানে এক ছবি ১০০ বার দেখব এটাই প্রত্যাশা থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৯