somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষই পৃথিবীর এলিয়েন

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার কাছে কেন জানি মনে হয় মানুষই এই পৃথিবীর এলিয়েন - বৈজ্ঞানিক কোন ধারনা থেকে নয় এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারনা। বহুল প্রচলিত প্রাচীন ধর্মগুলোর ধারনা অনুযায়ী যেমন- ইব্রাহিমীয় ধর্ম (ঈহুদী, খ্রীষ্টান, মুসলিম) গুলোর বইতে উল্লেখ আছে স্বর্গ থেকে মানুষকে পৃথিবীতে পদার্পন করানো হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানে আবার কেউ কেউ মানুষ বানর জাতীয় প্রাণীর আপডেট ভার্শন বলতে চেয়েছেন কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে ও যথেষ্ট মতবিরুধ রয়েছে। এখানে স্বর্গ থেকে বলতে আমি ঐ পূর্ব পুরুষদের অজানা স্থানটিকেই বলছি।



এমনো তো হতে পারে - আমরা যেমন ইদানিংকালে মঙ্গলে আবাস সৃষ্টির জন্য কিউরিসিটি নামক যান পাঠিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা করছি, মহাকাশে যান পাঠিয়ে সৌর জগত ও তার বাইরের তথ্যে জ্ঞান আহোরনের চেষ্ঠা করছি তেমনি আমাদের পূর্ব প্রজন্ম এই কাজটিই পৃথিবীতে করেছে হাজার হাজার বছর আগে। তারা আবিস্কার করেছে মানব প্রজাতীর জন্য উপযুক্ত এক আবাসভূমি ও আমাদের পৌছে দিয়েছে এই পৃথিবীতে, যেমন আমরা টিকে আছি এখনে অন্তত ৪০ হাজার বছর ধরে।

আমরা এতদিন ধরে সক্ষমতা অর্জনের চেষ্ঠা করে চলেছি মাত্র। পূর্বপুরুষদের মতো আমাদেরও দক্ষ হতে হয়ত আরো কয়েক শতাব্দী লাগবে । তারপরও একদিন হয়তো আমরাও আমাদের মানব জাতীর পরবর্তী প্রজন্ম ও তাদের অস্থিত্বকে রক্ষায় একদিন খুঁজে পাব সঠিক কোন আবাসন ভূমি সেটা হতে পারে মঙ্গল কিংবা সৌরজগতের বাইরের কেপলার ১৮৬ গ্রহের মত কিছু।

সাম্প্রতিক কালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা আমাদের সৌরজগতে বাইরে কেপলার ১৮৬ নামক একটি গ্রহের সন্ধান পান যা দেখতে অনেকটাই পৃথিবীর মতই, ধারনা করা হচ্ছে সেখানে প্রাণের অস্থিত্ব আছে যদিও কেপলার ১৮৬ গ্রহে মানুষকে পৌছুতে হলে ছুটতে হবে আলোর গতিতে প্রায় ৯ শত বছর। এখনো মানুষের তীব্র প্রচেষ্ঠা চলছে সমগোত্রীয় ভীন গ্রহী জ্ঞানী কোন প্রানীর সন্ধানে, কিংবা তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন।

অনেক ধ্যান ধারনার পরেও প্রশ্ন থেকে যায় আমাদের পৃথিবীর মানবের জ্ঞান বিজ্ঞান ও সক্ষমতা নিয়ে, আমরা কি পৃথিবী ধংস হবার পূর্বে আমাদের মানব জাতীর অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে অন্য কোন গ্রহে সেটেল হতে পারবো ? নাকি অস্থিত্ব বিলিন হয়ে যাওয়া অন্যান্য প্রানীদের মত মানব প্রজন্মও একদিন বিলীন হয়ে যাবে।

ব্যাক্তি আমি হয়তো বেশী দিন বেঁচে থাকবো না, কিন্তু আমি আমার জীবনদশায় দেখে যেতে চাই - মানুষ পৃথিবীর বাইরেও তার জন্য আরেকটি নিরাপদ আশ্রয় খুজে পেয়েছে। সেটায় হবে আমার সমগোত্রীয়দের জন্য শুভ কামনা, মানবজাতি বেঁচে থাক অনন্ত কাল, রাজত্ব করুক এই ব্রহ্মান্ডে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×