আমার কাছে কেন জানি মনে হয় মানুষই এই পৃথিবীর এলিয়েন - বৈজ্ঞানিক কোন ধারনা থেকে নয় এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারনা। বহুল প্রচলিত প্রাচীন ধর্মগুলোর ধারনা অনুযায়ী যেমন- ইব্রাহিমীয় ধর্ম (ঈহুদী, খ্রীষ্টান, মুসলিম) গুলোর বইতে উল্লেখ আছে স্বর্গ থেকে মানুষকে পৃথিবীতে পদার্পন করানো হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানে আবার কেউ কেউ মানুষ বানর জাতীয় প্রাণীর আপডেট ভার্শন বলতে চেয়েছেন কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে ও যথেষ্ট মতবিরুধ রয়েছে। এখানে স্বর্গ থেকে বলতে আমি ঐ পূর্ব পুরুষদের অজানা স্থানটিকেই বলছি।
এমনো তো হতে পারে - আমরা যেমন ইদানিংকালে মঙ্গলে আবাস সৃষ্টির জন্য কিউরিসিটি নামক যান পাঠিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা করছি, মহাকাশে যান পাঠিয়ে সৌর জগত ও তার বাইরের তথ্যে জ্ঞান আহোরনের চেষ্ঠা করছি তেমনি আমাদের পূর্ব প্রজন্ম এই কাজটিই পৃথিবীতে করেছে হাজার হাজার বছর আগে। তারা আবিস্কার করেছে মানব প্রজাতীর জন্য উপযুক্ত এক আবাসভূমি ও আমাদের পৌছে দিয়েছে এই পৃথিবীতে, যেমন আমরা টিকে আছি এখনে অন্তত ৪০ হাজার বছর ধরে।
আমরা এতদিন ধরে সক্ষমতা অর্জনের চেষ্ঠা করে চলেছি মাত্র। পূর্বপুরুষদের মতো আমাদেরও দক্ষ হতে হয়ত আরো কয়েক শতাব্দী লাগবে । তারপরও একদিন হয়তো আমরাও আমাদের মানব জাতীর পরবর্তী প্রজন্ম ও তাদের অস্থিত্বকে রক্ষায় একদিন খুঁজে পাব সঠিক কোন আবাসন ভূমি সেটা হতে পারে মঙ্গল কিংবা সৌরজগতের বাইরের কেপলার ১৮৬ গ্রহের মত কিছু।
সাম্প্রতিক কালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকেরা আমাদের সৌরজগতে বাইরে কেপলার ১৮৬ নামক একটি গ্রহের সন্ধান পান যা দেখতে অনেকটাই পৃথিবীর মতই, ধারনা করা হচ্ছে সেখানে প্রাণের অস্থিত্ব আছে যদিও কেপলার ১৮৬ গ্রহে মানুষকে পৌছুতে হলে ছুটতে হবে আলোর গতিতে প্রায় ৯ শত বছর। এখনো মানুষের তীব্র প্রচেষ্ঠা চলছে সমগোত্রীয় ভীন গ্রহী জ্ঞানী কোন প্রানীর সন্ধানে, কিংবা তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন।
অনেক ধ্যান ধারনার পরেও প্রশ্ন থেকে যায় আমাদের পৃথিবীর মানবের জ্ঞান বিজ্ঞান ও সক্ষমতা নিয়ে, আমরা কি পৃথিবী ধংস হবার পূর্বে আমাদের মানব জাতীর অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে অন্য কোন গ্রহে সেটেল হতে পারবো ? নাকি অস্থিত্ব বিলিন হয়ে যাওয়া অন্যান্য প্রানীদের মত মানব প্রজন্মও একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
ব্যাক্তি আমি হয়তো বেশী দিন বেঁচে থাকবো না, কিন্তু আমি আমার জীবনদশায় দেখে যেতে চাই - মানুষ পৃথিবীর বাইরেও তার জন্য আরেকটি নিরাপদ আশ্রয় খুজে পেয়েছে। সেটায় হবে আমার সমগোত্রীয়দের জন্য শুভ কামনা, মানবজাতি বেঁচে থাক অনন্ত কাল, রাজত্ব করুক এই ব্রহ্মান্ডে।