পদত্যাগকারী সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "এখানে মর্যাদা নিয়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেজন্য পদত্যাগ করেছি।"
আমরা দেখেছি বিগত সরকারের নিযুক্ত এটর্নি জেনারেল পদচুত্যির ভয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করেছিলেন। সরকারের ইচ্ছার পুতুল হয়ে বিগত অনেক এর্টনি জেনারেল কোর্ট প্রাঙ্গনকে হাস্যকর সার্কাসের জায়গায় রূপান্তরিত করেছিলেন।
গত কয়েকদিনের হাইকোর্টের মামলা স্থগিত আর জামিনের বহর দেখে মনে হচ্ছিলো কোন আম বাগানের পাঁকা আমগুলো একই সাথে ঝড়ে পড়ছে।
বিশেষ করে "জরুরী ক্ষমা আইনে" আটক নিজামীকে যেভাবে পাতানো জামিনে হাসপাতাল থেকে বাসায় পাঠানো হয়েছে - তখন সরকার সুপ্রীম কোর্টে না গিয়ে চোক কান বস্ধ করে - শিবির কর্মীদের জমায়েতের সুযোগ করে দিয়েছে।
মনে হচ্ছিলো - দেশের আইন- আদালতের জন্যে দুইটা নিয়ম কাজ করে - একটা সবার জন্যে আরেকটা জামাতি/রাজাকার/আলবদরদের জন্যে।
সরকারের এই গোপন রাজাকার তোষননীতির মাধ্যমে যেভাবে নিজেদের তৈরী আইনকে নিজেরাই ভেঙ্গেছে - তাতে যে কোন বিবেকবান মানুষই পীড়িত হবে।
গত দুই দিন যাবত ভাবছিলাম - বাংলাদেশের সব মানুষই কি নিরেট হয়ে গেল নাকি? রাজাকারদের কি এতোই মোহনীয় ক্ষমতা যে পুরো দেশটাকে অবশ করে ফেলতে পারে।
আজকের এই খবরটা পচনশীল দেশ থেকে একটু আলোর নির্দেশনা দিলো।
(২)
জানি না কোন দিন জনাব ফিদা এম কামালের কাছে অধমের এই বার্তাটা পৌছবে কিনা। যদি নাও পৌছে - তারপর একজন সাধারন মানুষ হিসাবে একটু সাদামাঠা অনুভূতিটা এখানে রেখে গেলাম।
সালাম আপনাকে ফিদা এম কামাল। আপনি একজন সাধারন প্রবাসী বাংলাদেশীর অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা নিন।
এটর্নী জেনারেল আমিনুল হকের পর আপনার নামটাই বাংলাদেশের আইন পেশায় সন্মানের সাথে উচ্চারিত হবে।
আবারো আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিবাদন।
(ছবি সূত্র - বিডি নিউজ ডট কম)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:২৯