somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসেন আবার খুঁটিতে গুড় লাগানোর গল্পটা শুনি ...

১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক দুষ্ট প্রকৃতির লোক তার কাজকর্ম দিয়ে গ্রামবাসীদের অতীষ্ট করে তুললে গ্রামবাসী তাকে গ্রাম থেকে বহিষ্কার করে। গ্রামের সীমানায় বসে যখন লোকটি ভাবছিলো কি করা যায় - সেই সময় এক সাধু সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো। লোকটির মাথা দ্রুত বুদ্ধি খেলে গেলো - সে সাধুর কাছে গিয়ে ভক্তিতে অবনত হয়ে সাধুর সংগী হতে চাইলো। সাধু লোকটির ভক্তিভাবে বিভ্রান্ত হয়ে কিছু শর্ত দিয়ে তাকে সাথে নিলো।

কিছু দুর গিয়ে তারা দেখলো এক বাড়ীতে ভোজের আয়োজন চলছে। সাধু সেখানে থেমে গেলো - সাথে লোকটিও। একসময় আয়োজকরা সাধু আর তার সংগীকে আমন্ত্রন জানিয়ে ভিতরে নিয়ে গেলো। সাধু বসে আছে আর দুষ্টলোকটি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে অ একসময় সাধুর অনুমতি নিয়ে সে উঠে গেলো এবং কিছুক্ষন পরে আবার এসে সাধুর সাথে বসে রইল।

এরই মধ্যে দেখা গেলো দুইটা কুকুর নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করেছে - তার রেশ ধরে ভোজের বাড়ীতে দুই দল নিজেদের মধ্যে মারামারি করে পুরো ভোজ পন্ড হয়ে গেলো। ক্ষুধার্ত সাধু বুঝতে পারলো তার নব্য শিষ্যটি নিম্চয় এমন কিছু করেছে - যার ফলে পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেলো। অনেক চাপাচাপির পর লোকটি যা বললো - তা হলো - মহারাজ, আমি তো কিছুই করিনি। আমার কোচরে এক টুকরা গুড় ছিলো - আমি গুড়টুকু খেয়ে শুধু খুঁটিতে হাত মুছলাম। সেখানে গুড় খেতে পিঁপড়া আসলো - পিঁপড়া খেতে আসলো টিকিটিকি - টিকটিকি খেতে আসলো বিড়াল। বিড়াল দেখে কুকুর আসলো - আর কুকুর দুইটা ভিন্ন পাড়া - তা মারামারি শুরু করলো - আর তার মধ্যে গ্রামের মোড়লে গায়ে গিয়ে পড়লো একটা কুকুর। সেই থেকেই মারামারি শুরু হলো।

(২)

ব্লগে সবাই নানান বিষয়ে লেখা লেখি করে - কিন্তু একদল নাস্তিক আছে যারা আচমকা এসে ইসলাম নিয়ে বা মুসলমানদের টিজ করে পোস্টায়। ভাব খানা এমন যে - এই আর কি করলাম - আমিতো শুধু মাত্র কোরানের একটা আয়অত দিলাম - তাতে ঝামেলা কি হলো! কিন্তু সেই পোস্টে গেলে দেখা যায় - সবাই কিভাবে কাছাখুলে নেমে পড়ে ঝগড়ায়।

এমনই একটা পোস্ট দেখলাম পহেলা বৈশাখের আগে - মুমিনবান্দারা নাচতে যাবে কি না ইত্যাদি নিয়ে। তার পর শুরু হলো ফতোয়াবাজী - পুরো দুইদিন দেখলাম এই বিষয়ে পাছড়া পাছড়ি। ভালই।

আজ আরেকজন (যিনি চেগিংশ খানের মুরিদ হিসাবে খ্যাত) একটা পোস্ট দিছে মুহাবিলা নিয়ে -

উনার পোস্টের অংশ বিশেষ -

মুবাহিলা: যখন দুইদল লোকের মাঝে ধর্ম বিষয়ে কোন অচলাবস্হা দেখা দেয় তখন তারা একযায়গায় জড়ো হয়ে একে অপরের ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবে এবং একে অপরকে অভিশাপ প্রদান করতে থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত না এক পক্ষের সৃষ্টিকর্তা অন্যপক্ষকে ধবংস না করছেন।

এখন দেখা কোরানে কি বলা আছে! সূরা আল ইমরানের ৬১ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেছেন: -

অনুবাদ ২: অতঃপর তোমার নিকট সত্য সংবাদ এসে যাওয়ার পর যদি এই কাহিনী সম্পর্কে তোমার সাথে কেউ বিবাদ করে, তাহলে বল-এসো, আমরা ডেকে নেই আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের এবং আমাদের স্ত্রীদের ও তোমাদের স্ত্রীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের আর তারপর চল আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। [৩]


- এবার দেখি ভাল করে এখানে নাস্তিকরা আসলো কেমনে? দুই দল বিশ্বাসী মানুষ ( বিশেষ করে খৃষ্টান এবং মুসলমান - যারা আল্লাহ উপর বিশ্বাস করে) তারা কখনই সৃষ্টিকর্তা থেকে অভিশপ্ত হতে চাইবে না। সুতরাং দুই দল বিশ্বাসীর মধ্যে সমযোতার জন্যে এইটা একটা পদ্ধতি - যা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে ভাল নয় কি?

এখানে চেংগিশ খানের শিষ্য কি ভাবে নাস্তিকদের ঢুকালো - বুঝতে অপরাগ।

এই হলো নাস্তিকদের কোরান পাঠের নমুনা। মিথ্যাচার বা মনগড়া কথা বলা জন্যে কারো কাছে দায়বদ্ধতা না থাকায় নাস্তিকরা মিথ্যা কের বলবে না - কেন সব কিছুই নিজের মতো ব্যাখ্যা করবে না - সেইটা প্রশ্ন।

এরা কোন সময়ই শাস্তি সহ্য করতে পারে না। বিশেষ করে মুসলমানরা হলো বাঙ্গীয় নাস্তিকদের টার্গেট - কারন এখানে অল্পজ্ঞানেই (অল্প গুড়েই) বড় বিবাদ লাগানো যায়।

পাঠক, আশা করি এই গুঁড় লাগানোর শিল্পীদের মনোরম কাজ দেখে বিভ্রান্ত হবে না।
১৩টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রম্য: টিপ

লিখেছেন গিয়াস উদ্দিন লিটন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৫




ক্লাস থ্রীয়ে পড়ার সময় জীবনের প্রথম ক্লাস টু'এর এক রমনিকে টিপ দিয়েছিলাম। সলজ্জ হেসে সেই রমনি আমার টিপ গ্রহণ করলেও পরে তার সখীগণের প্ররোচনায় টিপ দেওয়ার কথা হেড স্যারকে জানিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বৈশাখে ইলিশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪০



এবার বেশ আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে । বৈশাখ কে সামনে রেখে ইলিশের কথা মনে রাখিনি । একদিক দিয়ে ভাল হয়েছে যে ইলিশকে কিঞ্চিত হলেও ভুলতে পেরেছি । ইলিশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×