গার্মেন্টেস আগুন কোন দুর্ঘটনা নয় - এইটা মানুষের সৃষ্ট একটা ঘটনা। যেখানে শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্যে যথেষ্ঠ কোড আর নজরদারীর ব্যবস্থা করেছে সরকার - সেখানে রাজনীতিবিদদের কাজ শেষ। দয়া করে রাজনীতিবিদরা এই ঘটনা থেকে দুরে থাকুন। টিভির ফটো-অপ করার অনেক সুযোগ পাবেন। দয়া করে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নামে ভীড় জমাবেন না - বিবৃতি দিয়ে মায়া কান্না আর কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে অপরাধীদের আড়াল করবেন না।
এই ঘটনা জন্যে দায়ী মালিক, ম্যানেজার আর সরকারী পরিদর্শক - যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন না করে এই গনহত্যা ঘটিয়েছে। কোন তদন্ত কমিটির নামে এই ক্রিমিনালদের আড়াল করার চেষ্টা করা উচিত হবে না। দ্রুত এই লোকগুলো নামে মামলা করে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করান।
আর বিজেএমই বা অন্য কোন এসোসিয়েশের লোকজন যেভাবে ১ লাখ টাকা বিনিময়ে মানুষের জীবন কিনতে চাচ্ছে - কামাল হোসেনদের উচিত পোড়া লাশের সামনে দাড়িয়ে কান্নার ভংগি না করে সোজা তাদের ক্ষতিপুরন মামলা করা। নিহতের স্বজনদের পাশে দাড়ানোর জন্যে মানবাধিকার সংগঠন আর মানবিক বোধ সম্পন্ন উকিলদের এগিয়ে আসা উচিত।
সাংবাদিক আর টকশোর কথকরা - দয়া করে ঘটনাকে করুন রসে জারিত করে মানুষের করুনা তৈরী চেষ্টা না করে ক্লিমিনালদের ছবি দেখান - তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে সহায়থা করুন।
একটা ঘটনা জন্যে দায়ী মালিক, ম্যানেজার আর সরকারী পরিদর্শক(যারা ৫০০০ টাকা পেয়ে শ্রমিকদের হত্যার পথ তৈরী করে) যদি দোষী সাব্যস্থ হয়ে শাস্তি পায় - তাহলে ভবিষ্যতে আর এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। মুনাফা লোভী মালিক, তাদের পোষ্য অমানুষ ম্যানেজার আর দূর্নীতিগ্রস্থ সরকারী পরির্দশকের এই ঘাতক চক্রের হাতে ১৯৯০ সালে থেকে শত শত শ্রমিক নিহত হয়েছে - আর নয়। এবার চাই শাস্তি। দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি।