somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জরুরিভাবে তোবা গার্মেন্টস-এর শ্রমিকদের জন্য মানবিক উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসুন

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগার ভাই ও বোনেরা,

ঈদের এই আনন্দের আবহের মাঝেও সচেতন ব্লগার ভাই ও বোনেরা কি লক্ষ করেন নাই, তোবা গার্মেন্টস-এর শ্রমিক ভাই বোনদের দুরঃবস্থা। ঈদের আগে তারা মজুরী বুঝে পান নাই, ৩ মাস যাবত বেতন বন্ধ। তারা কি খাচ্ছেন, বেচে আছেন কিভাবে, ভবিষ্যতে কি হবে? তারা অনশন ধর্মঘট করে চলেছেন, কিন্তু কারোরই যেন কিছু করার নাই। বিজিএমই-ওয়ালারা কোথায় কে জানে?

এই মূহুর্তে তাদের অনশনকারী শ্রমিক ভাই বোনদের প্রয়োজন মানবিক সাহায্য।

কিছু চাল-ডাল, আটা-তেল, সম্ভব হলে কিছু নগদ টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করে আমরা কি কিছুটা মানবিক দ্বায়িত্ত নিতে পারি না?

রানা প্লাজা দূর্ঘটনার সময় আমরাই তো ঝাপিয়ে পড়েছিলাম মানুষের বিপদে, এবারো কি আমরা পারি না এগিয়ে আসতে?

উদ্যোগী সংগঠকদের এখনি এগিয়ে আসার সময়।

বন্ধু কল্লোল মুস্তাফা-র ফেসবুক লিঙ্ক থেকে যারা ঊতসাহী তারা আরো কিছু তথ্য জানতে পারবেন।

https://www.facebook.com/kallol.mustafa

“আমি এই মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করিতেছি যে তোবা ফ্যাশন লি: এর সকল শ্রমিকদের এপ্রিল-২০১৪ ইং এর বেতন আগামী ২০/০৫/২০১৪ ইং তে লাঞ্চের পূর্বে পরিশোধ করিব এবং মে-২০১৪ ইং এর বেতন পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে প্রদান করিব”--মো: খালেকুজ্জামান, কারখানা ব্যবস্থাপক, তোবা ফ্যাশন লি:, ১৭/০৫/২০১৪।
এই রকম লিখিত অঙ্গীকার করে, মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিয়ে দিনের পর দিন শ্রমিকদের কাজ করানো হলো, কিন্তু মাস শেষে মজুরি দেয়া হলো না! শ্রমিকরাতো হুট করে অনশনে বসে নি। নিরুপায় হয়ে ঈদের আগের দিন থেকে আমরণ অনশনে বসার আগে মজুরির দাবীতে তারা বার বার রাস্তায় নেমেছে, কারখানার সামনে উত্তর বাড্ডার রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের মার খেয়েছে, রাবার বুলেটে আহত হয়ে বার বার হাসপাতালে গিয়েছে। বিজিএমইএ ঘেরাও করেছে, শ্রম মন্ত্রণালয়েও গিয়েছে। তখন কিন্তু তাদের ঠিকই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, কারখানার ব্যাবস্থাপকদের মতোই মৌখিক ও লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজিএমইএও শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মজুরী পরিশোধ করেনি।
[মালিক দেলওয়ার ছাড়া ২৬ কোটি টাকার বিশ্বকাপের জার্সি বানানোর কাজ করানো যায়, কিন্তু মজুরী দেয়া যায় না! মজুরি যদি নাই দিবি, তাহলে মজুরীর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শ্রমিকদেরকে মাগনা খাটালি কেন শুয়োরের বাচ্চারা? আগেই কারখানা বন্ধ করে রাখতি! শ্রমিকের মাগনা শ্রমে মুনাফা লুটতে খুব মজা না?]
সর্বশেষ গত ২৬ জুন ২০১৪ তারিখে শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ফয়েজ আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে তোবাগ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার(মিতা) সহ কারখানার ব্যাবস্থাপক এবং খোদ বিজিএমইএর প্রতিনিধি আব্দুল আহাদ আনসারী লিখিত ভাবে শ্রমিক প্রতিনিধিদের কাছে অঙ্গীকার করে যে- মে মাসের মজুরী ৩ জুলাই এর মধ্যে, জুন মাসের মজুরি ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এবং ঈদ বোনাস ও জুলাই মাসের ১৫ দিনের মজুরী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে প্রদান করা হবে।
আচ্ছা, উল্টো ঘটনা যদি ঘটতো- যদি শ্রমিকরা ৩ মাসের অ্যাডভান্স মজুরী নিয়ে কাজ না করতো, যদি শ্রমিক প্রতিনিধিরা শ্রম সচিবদের উপস্থিতিতে তাদের করা লিখিত অঙ্গীকার ভঙ্গ করতো- তাহলে কি ঘটতো? শ্রমিক প্রতিনিধিরা কি নিশ্চিন্তে ঘরে বসে ঈদ করতে পারতো? শ্রমিকরা অ্যাডভান্সের টাকা হজম করতে পারতো?
তাহলে লিখিত অঙ্গীকার করে শ্রমিকদের খাটিয়ে নিয়ে তারপর মজুরী না দেয়ার অপরাধে কারখানার মালিক- ব্যাবস্থাপক সহ বিজিএমইএ প্রতিনিধিদের ধরা হবে না কেন? কেন রাষ্ট্র দ্বায়িত্ব নিয়ে বিজিএমইএ ও মালিক প্রতিনিধিদেরকে বাধ্য করবে না তাদের লিখিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে?কেন শ্রমিকদেরকে ন্যায্য পাওনা আদায়ে অনশন করে মরতে হবে? কেন??
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×