somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিক আস্তিক পর্যবেক্ষন: আধুনিক বিজ্ঞানকে বোগলদাবা করেই কিছুটা উদাসী বিশ্লেষন!

২৭ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলা বেশ ধর্ম কর্ম নিয়ে ভাবতাম, ভাবতাম কি একটা লাইফ, কিভাবে আসলাম কিভাবে যাবো? যদিও নামাজ কালামের নাই খবর, টুপি নিয়া টানাটানি! তার উপর হরেক রকমের গুনাহ তো আছেই ফলে জাহান্নাম শিওর!

একসময় নানা তত্ব, নানা যুক্তি মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে লাগলো, কিন্তু শেয়ার করার লোক পেতাম না সেরকম। একসময় আমাদের এলাকার ওয়াহিদ স্যারকে প্রশ্ন করে বসলাম," যদি কিছু মৌলিক পদার্থ একত্র করে নির্দিষ্ট পরিবেশে রেখে বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রোটিন তৈরী করে একটা জ্বীন তৈরী করা যায় আর কার্ল সেগানের দেখানো রাস্তায় এ্যামিনো এসিড, তাহলে কৃত্রিম ভাবে স্বতন্ত্র জীবন তৈরী সম্ভব না কেন?"
তিনি বললেন,"এটা অনেক আগেই করা হয়েছে কিন্তু জীবন তৈরী হয়নি। হয়তো অন্যকোন বৈশিষ্ট্যের অভাবে এটা হতে পারে তবে এটা প্রমানিত না।" সালটা ছিলো ১৯৯৫ সালের দিকে। তখন সবে মাত্র ক্রেগ ভ্যান্টার জেভিআইসির জন্য কাজ শুরু করেছে মাত্র।
যাই হোউক, আমি আরো পড়বার চেষ্টা করি, তখন ইন্টারনেট দূরে থাক কম্পিউটার কি জিনিস সেটাই দেখি নাই। তো সেসময় এলাকার পোলাপান যারা শিবির করতো, বিশেষ করে যারা ঢাকায় পড়াশুনা করতো আর শিবির করতো তাদের ভাবই থাকতো অন্যরকম, এলাকায় তারা এমন ভাব দেখাতো যে তারা সবজান্তা (এসলামিক আলোকে)। তো সেরকম একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, অনেক যুক্তির বিশ্লেষনের ব্যপারে জানতে চাইলাম, তো একসময় সে বললো," দেহের ভিতর থাকা ইলেক্ট্রিন গুলো সব ডান ঘূর্নীর আর এমনি যেসব মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তা বাম ঘূর্নীর!" আমার কাছে এই যুক্তিটা মোটামোটি একটা গ্রহন যোগ্যতা পেলেও আরও দশটা প্রশ্নের উদ্ভব ঘটে মনের মাঝে। কিন্তু ইন্টারে উঠে যখন পদার্থবিজ্ঞানের ঢাউস সাইজের বইয়ের সেকেন্ড পার্টের লাস্টের অংশ পড়লাম তখন মনে হলো সোজা ফরিদপুরের গাড়ি ধইরা ঐ শিবির ব্যাটাকে জুতাইয়া আসি!

আমার মনে হয় আমার পোস্ট টার প্রধান উদ্দেশ্য আগে থেকেই বলে রাখা উচিত। এই লেখা যদি আমি মৌলিক বিজ্ঞান আর এ পর্যন্ত হাতে পাওয়া যব থিওরী এবং ল্যাব রিপোর্টস নিয়ে বিশ্লেষন করি আর সেটা দিয়েই যদি আমরা ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমান করতে যাই তাহলে ধরা খেতে হবে। কিন্তু আস্তিকরা আবার এক কাঠি সরেস তারা এই অপরিপক্ক বিজ্ঞান নিয়েই এমন আস্ফালন করে যে তারা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমান করেই ফেলে যে আসলেই ঈশ্বর আছে (আসলে তারা যে কত বড় মাপের ছাগল) সেটাই ধরিয়ে দেয়া!

আস্তিকদের জন্য:

আমাদের দেশের আস্তিকদের একটু হামবোড়া ভাব বেশী তারা দেখা যায় যেসব যুক্তিতে কথা বলে সেসব আধা দার্শনিক আধা ফিজিক্স বা বিজ্ঞান নিয়ে। দেখা যায় যেসব যুক্তি নিয়ে তারা এগুলো সেসব নিয়ে একজন ফিজিক্সের ছাত্রকে সরাসরি মনোঃপুত করা যায় না তেমনি দর্শন জানা লোকেরা একটু গভীর ভাবে ঘাটলে প্যারাডক্সের মধ্যে পড়ে যাবে।

এৃকসময় নামাজের খুতবায় বেশ বড় গলায় হতো যখন নাস্তিকতার কথা আসতো তখন বলা হতো,"যদি তারা পারে একটা মানুষ নিজেরা তৈরী করে দেখাতে।"

এর উত্তরের কাছাকাছি এখন মনে হয় নাস্তিকদের কাছে আছে। জেভিআইসির এই এক্সপেরিমেন্ট সেটারই প্রমান ব হন করে যদিও ক্রেগ ভেন্টার নিজেও একজন ক্যাথলিক। তার এটা ল্যাবরেটরিতে মানুষ সৃষ্টি করার ব্যাপার থেকে অনেক দূরে। সে যেটা দেখিয়েছেন, সেটা হলো প্রকৃতিক ভাবে যেসব কোষ তৈরী হয় তার মধ্যে জীবন তত্বটা আসলে বৈশিষ্ট্যিক ভাবেই পরিলক্ষিত হয় যেমনটা নিউক্লিয়াসের ভিতর থাকা ডিএনএ সেটা নির্ধারন করে। আমরা সবাই হয়তো ম্যাট্রিকে বায়োলজিতে পড়া জীবনের সংজ্ঞা সম্পর্কে জেনেছি এবং ক্রেগ ভেন্টারের ল্যাবে তৈরী কৃত ডিজিটাল সিকোয়েন্সিং (এটা মূলত ঐ প্রোটিন সম্বলিত ডিএনএতে ক্রেগ ভেন্টারের স হকারীরা এমন ভাবে সিকোয়েন্সিং করেছেন যেটা বিশ্লেষন করলে ঐ পুরো টিমের সিগন্যাচার ফুটে উঠবে) একটা এক কোষী মৌলিক ব্যাকটেরিয়াতে সেসব বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান। ক্রেগ ভেন্টারের এই এক্সপেরিমেন্টের আগে আরও কিছু এক্সপেরিমেন্ট যেমন এন ভিট্র নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিলো অনেক আগে থেকেই। এছাড়া এখন বিজ্ঞানীরা ন্যানোস্কেলে বায়লোজিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি তার সাথে কৃত্রিম অংগ তৈরী করার কাজেই হাত দিয়েছে।

তবে এসবের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্বকে ডিফাই করা নয়, এর উদ্দেশ্য এটাই যে রোগ ব্যাধীর বিরুদ্ধে মানুষের দীর্ঘ দিনের যুদ্ধকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়া।

আস্তিকরা আরও যেসব মৌলিক প্রশ্ন করতে পারে সেটা হলো," মানুষ তাহলে অনু পরমানু লেভেলে কাজ করার কতটুকু ক্ষমতা রাখে? তারা কি সেরকম অনু পরমানু তৈরী করতে পারে? যদি পারে তাহলে সেটাও হয়তো শক্তির রূপান্তর মাত্র!"

এটার জন্য তাকে যদি কিছু ক্যালকুলেশন বা ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে কথা বলি তাহলে তারা কিছু বুঝবে না হয়তো তাদের গোয়াড়তুমি বেড়ে যাবে। তবে কিছু জার্নাল লিংক না দিয়ে পারছি না শুধু এটাই জানাতে যে আসলে বর্তমানে কোয়ান্টাম লেভেলে পার্টিক্যাল ফিজিক্স কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। কোলাইডার গুলোতে প্রতিনিয়ত উচ্চগতির প্রোটন- এন্টি প্রোটন সমূহের (টেভাট্রনের কোলাইডার) সংঘর্ষের মাধ্যমে প্রথমে মিউন, পজিট্রন তারপর সট্যাবল পরমানুর তৈরী করছে বাই প্রোডাক্ট হিসাবে। আসলে তারা ছুতে চাইছে চরম প্লাংক এনভায়রনমেন্ট তার সাথে বোসন কনার অস্তিত্বের সত্যিকার প্রমান। যদিওবা তাদের জার্নালে আস্তিকদের জন্য উষ্কে দেয়ার মতো কিছুই নির্দেশ করে না, পারলে জার্নাল লিংকে দেখতে পারেন । মনে হয় এখানে আস্তিকরা তাদের কাছে কিছু বদান্যতা শিখতে পারেন।

ব্লগের আস্তিকদের ব্যাপারে আমি যথেস্ট সন্দিহান কারন যারা সত্যিকার আস্তিক হয়ে এসব গোড়ামো করেন তাদের লেখা পড়ে মনে হয় তারা আসলে আজকে রাতে ঘুমাবার আগে চিন্তার সময় হঠাৎ একটা ভাবনা বা ক্লুর উপর ভর করে সেটা নিয়ে নাস্তিকদের খোচান। তারা বেসিকে যেতে অক্ষম একারনেই যে বাংলাদেশে মৌলিক শিক্ষাটা দেয়া হলেও আমরা বছরের পর বছর ছাত্ররা ধরতে পারি না, অথবা বুঝতে পারি না। হয়তো কিছু মাত্র ছাত্র ধরতে পারে তবে তারা এটা নিয়ে খুব বেশী ভাবেন না, আর যারা কিছুই ধরতে পারি না তারাই বেশী ফালাই। তবে ফালানোর লোকের সংখ্যা এখানেই সীমাবদ্ধ না, মাদ্রাসার ছাত্ররা যারা আসলে মৌলিক বিজ্ঞানের সম্পর্কে এৎাই কম জানে অথবা জানানো হয় যে তারা যখন অহংকারী মনোভাব নিয়ে জীবন যাপন পালন করতে যায় তখন সে তার জ্ঞানের গরীমা দেখাবার জন্য আশেপাশের মানুষকে খালি খুচায়!
ব্লগের একটা লেখা পড়লাম বেশ হিট লেখা হয়েছিলো সেটা অনেকটা এরকম যে টাইম মেশিন বানানো কেনো অসম্ভব। লেখাটা পড়ে প্রচন্ড হাসি এসেছে এ কারনে কারন এ লেখায় যে গাণিতিক ধারনার উপর প্রতিষ্ঠিত সেখানে প্রচন্ড ভাবে গোজামিল আছে আর সেসব গোজামিল সম্পর্কে অনেকেই দেখিয়ে দেবার পরও দেখি লেখকের সেটা নিয়ে কোনো বলিষ্ঠ যুক্তি দেখতে পাইনি, তবে আমি যেহেতু প্রতিটি থিওরীর প্রায়োগিক দিক নিয়ে ভাবি তার জন্য কয়েকটা দিক আমি তুলতে চাই।
১) জেটলেগ একটা রেগুলার ফেনোমেনা যেটা দ্বারা কিছুটা হলেও রিলেটিভিটির সাপেক্ষে তার ভবিষ্যতের দিকে টাইম ট্রাভেল হয় যেটা এ্যাটোমিক স্কেলে তাহলে তার সিদ্ধান্তটা এখানে বেশ অমূলক হয় কিভাবে? (যদিও সে একটা ব্যাপার বেশ ভালোভাবেই বুঝেছে উচ্চগতিতে বস্তু সাধারন ল মেনে চলে না: এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন)
২) কার সল্যুশন আর মফেটের জার্নাল অনুসারে তো দেখা যাচ্ছে আইনস্টাইনের আলোর ধ্রুবকত্ব আর থাকছে না আর সেই সাথে কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট আর কনস্ট্যান্ট নেই, সেক্ষেত্রে কজালিটি কতটা ব্রেক করবে?

যদিও এসব প্রশ্ন খুব একটা ভূমিকাও রাখে না এক প্রতিষ্ঠিত ধারনার পিছনে ছুটে চলাকে তবুও কিছু কিছু উত্তর হয়তো আগামিতে নতুন ধারনার জন্ম দেবার ক্ষমতা রাখে বলেই জিজ্ঞেস করা। আসলে ঈশ্বরকে বিশ্বাস মানে এই নয় যে নতুন চ্যালেন্জ্ঞিং কিছুকে কটুভাবে বাতিল করে দেয়া আর যদি সেটাই করা হয় তাহলে আমি বলবো সেটা অন্ধবিশ্বাস!

যাই হোউক, আস্তিকরা কিছু কিছু হামবোড়া প্রশ্ন করেও থাকেন যেগুলো আসলে বিজ্ঞান এখনও পৌছুতে পারেনি ঐ মাত্রায় যেটার একটা হলো এইডস বিষয়ক

আমি আসলে জীববিজ্ঞান বা প্রানরসায়ন বা মেডিক্যালের ছাত্র নই, তবুও আমি যেটা বুঝি সেটা হলো এইডস এর জীবানুটা আসলেই একটা প্যরাডক্স তাদের জন্য। এটাকে ডিটেক্ট করবার মতো এ সময়ে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হলো এলাইসা টে্স্টের ওয়েস্টার্ন ব্লক যদিও এর এ্যাকুরেসী ১০০% ছুতে পারেনি। তাই বিজ্ঞানীরা এখনও গবেষনা করছেন শরীরের যখন এইচআইভির জীবানু ঢুকে তখন সুপ্ত অবস্হায় কোথায় থাকতে পারে এবগন সেটাকে কিভাবে ডিটেক্ট করা যায়! গতবছরের শুরুর দিকে সায়েন্টিফিক আমেরিকার সম্পাদকিয়া লেখায় একজন গবেষক বেশ দুঃখ করেই বলেন, তারা আসলেই অক্ষম হয়ে পড়েছেন তাদের যাবতীয় অস্ত্র দিয়ে এইআইভির বিরুদ্ধে একটা কার্যকরী ভ্যাকসীন তৈরী করতে।
তবে আশার কথা হলো কিছু দিন আগে একটা প্রোটিন পাওয়া গেছে ট্রিম ৫ যেটা আসলে বান্দরের শরীরে এইচআইভি সংক্রমন প্রতিরোধ করে। মানব শরীরে যদিও এটা আছে কিন্তু এটার কর্মক্ষমতা এইচআইভির বিরুদ্ধে নয়। হয়তো আরও ৩।৪ বছর অপেক্ষা করলে গোড়া আস্তিকেরা এটারও উত্তর পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও আস্তিকেরা আরও নানা বিষয়ে উদ্ভট প্রশ্ন করে থাকেন যেমন প্রকৃতির ইন্টালিজেন্স অথবা এমনকোনো শূন্যের অবস্হান যেখানে থেকে এতবড় মহাবিশ্বের উদ্ভব অথবা তাদের শেষ অস্ত্র ডারউইনের বিবর্তনবাদ। বুঝে হোক না বুঝে হোক তারা এটা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগেন কিন্তু তাদেরকে যদি বলা ন্যাচারের বিন্যাস সমাবেশের মাধ্যমে র‌্যানডম সিকোয়েন্সের ব হুমাত্রক অপশনের ম্যাথমেটিক্যাল মডলে মোদ্দাকথা শ্রোয়েডিঙ্গারের সেই বেসিক অনিশ্চয়তা তত্ব অথবা বিগ ব্যাং থিওরীর বদলে বিগ ক্রান্ঞ্চ অথবা মহাবিশ্ব যেখানে কোনো কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যন্ট্যের প্রয়োজন নাই (টেনসর এনালাইসিসের মাধ্যমে ধরে যে আলোর গতি এবং কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট সবকিছুই মহাবিশ্বের বিবর্তনের সাথে ভ্যারিয়েবল যেটা ৯০ দশকের রেডশিফটের প্রলম্বিত করন সমর্থন করে) তাহলে হয়তো তারা কোনো কিছু না বলে গোয়ার্তুমি শুরু করবে। কিন্তু দেখতে আশ্চর্য লাগে তাদের কিছু এই বিজ্ঞান নিয়েই উঠে পড়ে লাগে, ত্রিভূজের মতো একজন পিএইচপি ব্লগার বিগ ব্যাং থিওরী বসে যায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমান করার জন্য যেখানে খোদ বিগ ব্যাং কোয়ান্টাম গ্রাভিটেশনাল ল অনুসারে বাতিল খাতায়, তখন হাসা ছাড়া আর কোনো গতি থাকে না!
তবে গোড়া আস্তিকরা আসলেই হাসির পাত্র হয়ে যায় যখন তারা ভুল খুজে বের করে আধুনিক বিজ্ঞানের মেথডলজীতে কি ভুল আছে, তারা কিভাবে বিশ্বাস করবে অথবা তারা কিভাবে এগুবে সেগুলো নিয়ে। সেখানে দেখা যায় না কোনো ম্যাথমেটিক্যাল মডলে, দেখা যায় না বেসিক তত্বের দ্বারা তাকে ভুল প্রমানিত করার পায়তারা। তারা হয়তো এটা বুঝে না কথা ফুলঝুড়িতে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা যায় না বলে তারা চরম মাত্রার বোকা অথবা তারা আসলে গ্যান্জ্ঞাম সৃষ্টির লক্ষেই এটা করছে। অবশ্য ধর্ম নিয়ে হানাহানি, বিভেদ, কুষংস্কারে আচ্ছন্ন রেখে চার্চ বা মসজিদ বা মন্দিরের পুরোহিতরা শতাব্দির পর শতাব্দি শুধু অনাচার তৈরী করেছে বলেই আজ এই আধুনিক যুগে তারা দিনকে দিন অপাংতেয় এবং সমাজের এক বড় জন গোষ্ঠী দ্বারা ধিকৃতি হয়েও যাচ্ছে। তারা বুঝতে পেরেও না বুঝার ভান করে এগুচ্ছে বলেই বারংবার তারা একই ভাবে কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে তাদের যুক্তিগুলোকে প্রতিষ্ঠা করছে যার অনুসারীরার দেখা যায় তাদের মতো স্বল্পবিদ্যা যারা হয়তো নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বা যুক্তিগত দিক দিয়ে বিশ্লেষনের ক্ষমতা ডেভেলপ করতে পারে নাই। পঙ্গু মনের লোকেরাই আজ গোড়ামীর শিকার!

নাস্তিকদের জন্য!

এ যুগে আধুনিক বিজ্ঞানের বদৌলতে নাস্তিক নামক ক্ষুদ্র জন গোষ্ঠী দোর্দন্ড প্রতাপে এগিয়ে চলেছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইউরোপে পা দিয়েই বুঝতে পারি এখনে ৮০% লোক ঈশ্বর আছে কি নেই সেটা জানবার আগ্রহ রাখে না, ৯০% নিজেদের ধর্মে ব্যাপটাইজ করে না। যদিও ইমিগ্রান্টদের মধ্যে ধর্মের প্রবনতা বেশ ভালো ভাবে আছে বলেই কালেবর্তে কিছুটা ধ্রম পালন করতে উদ্বুধ্ধ হয় এ মন। যাই হোউক, আমি সবচেয়ে শেষের দিককার এক্সপেরিমেন্টের ব্যাপারে আমি আলোকপাত করবো শুধু এটাই বলতে যে আধুনিক বিজ্ঞান আসলেই এখনো কতটা ইম্যাচিউর।

৯০ দশকের শেষের দিকে দুটো টিম তাদের অবজার্ভেশনে দেখান যে মহাবিশ্ব বাড়ছে ত্বরানায়িত গতিতে এবং যার ফলে রেড শিফট বেশ প্রলম্বায়িত হচ্ছে। এর ফলে বেশ কিছু নতুন প্রশ্নের সম্মুখিনন হতে হয়।
১) আলোর গতি আর কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট আর ধ্রুবক থাকছে না, মহাবিশ্বের বিবর্তনের সাথে এটা পরিবর্থনশীল হয়ে যাচ্ছে যা আইনস্ট্যানস্টাইনে রজেনারেল রিলেটিভিটিকে চরম ভাবে হুমকির মুখে ফলেছে!(মফেটের ১৯৯৩ সালের প্রকাশিত জার্নাল ফিজিক্যাল রিভিউ!)
২) এর ফলে এটা দেখা যচ্ছে মহাবিশ্ব আসলে লিক করছে, তার মানে যদি ডার্ক ম্যাটার যা আছে তাই ধরে নেয়া হয় (আসলে ডার্ক ম্যাটার বা এনার্জী আসলেই আছে কিনা সেটা নিয়েই আমার মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়), তাহলে মহাবিশ্বের টোটাল শক্তির নিত্যতার সূত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেন্জ্ঞ। কজালিটি ব্রেক ডাউন হবার সম্বাভবনা খুব বেশী ভাবে দেখা যায়।
৩) যদি উপরের সব সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে এগুনো যায় তাহলে গানিতিক ভাবে ধরে নেয়া যায় মহাবিশ্বের শুরু বা শেষ নাই। (এটার গানিতিক ব্যাখ্যা নিয়ে একটা স্বতন্ত্র পোস্ট দিবো বলে আশা করছি যদি আসলেই আমি এই গানিতিক মডেলকে সরল ভাবে বাংলায় প্রকাশ করতে সক্ষম হই)।

কিছু দিন আগে বৈজ্ঞানিকরা ধরেই নয়েছেন বিগ ব্যাং যাকে আমরা মহাবিশ্বের উদ্ভব বলেই ধরে নিচ্ছি আসলে সেটা এই বিশাল মাল্টিভার্সের মধ্যে ক্ষুদ্র ফেনোমেনা যেটা এই মাল্টিভার্সে অহরহই ঘটছে। তাহলে বিগ ক্রান্ঞ্চ তত্বটা (বজলোভের সুরে) খুব প্রবল ভাবে বাজার পায়। কিন্তু তাতেই কিছু নত্য সমস্যা বিদ্যমান থাকে।

ওপরের আলোচনা থেকে এটা খুব বিদ্যমান যে আমরা আসলেই এখনো ধরতে পারছি আমাদের মহাবিশ্বরে জন্ম স্বতন্ত্র ভাবে কিভাবে তৈরী হতে পারে। যার ফলে আমরা এখনো শিওর না সময় নামক প্যারামিটার আসলেই কোনো ডাইমেনশন হিসাবে ধরে নেয়া যায় কিনা। যদি সময়কে ডাইমেসনশন হিসাবে ধরে না নেই তাহলে আধুনিক ফিজিক্সের বেশ কিছু বেসিক তত্ব চরম ভাবে হুমকির মুখে পড়ে। তখন হয়তো সবকিছুই কোয়ান্টাম ফিজিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করতে হবে। তবে হতাশার কথা হলো এই মাত্র কিছুদিন আগে ফার্মি ল্যাবে শিওর হয়েছেন কোয়ান্টাম লেভেলের স্ট্রিং এবং গাট থিওরী ল্যাব এক্সপেরিমেন্টে সমর্থন করে। তার মানে এই লেভেল থেকে হিসাব কষা শুরু করতে আরও অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও সমস্যা আছে, আমরা যদি ডি-ব্রেন থিওরী অনুসারে এগুতে যাই তাহলে দেখা যাবে ৪ এর পর যত ডাইমেসনশন হবে তার সবকিছুই মাইক্রোস্কপিক। আসলে মাইক্রোস্কোপিক লেভেল বললেও ভুল হবে পিকো ন্যানো অথবা পেটা স্কেলে চলে যেতে হবে যেটা আমরা স্বচক্ষে দেখতে পারবো না। তবে আশার কথা হলো কিছু দিন আগে আমরা রিয়েল টাইমে একটা অনুর ভিতর থাকা তার পরমানু আর নিউক্লিয়াস কিভাবে আবর্তিত হয় সেটা দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেছি।
তার মানে দেখা যাচ্ছে আমরা সবে মাত্র কোয়ান্টাম ওয়ার্ল্ডে পা রাখতে যাচ্ছি যদিও আমরা তার চেয়ে বড় চ্যালেন্জ্ঞ হিসাবে দেখছি সেই ঐশ্বরিক কনা সমূহ বোসন কনা গুলো যার মধ্যে একটি বস্তু ভর প্রাপ্ত হয়। কিন্তু সমস্যা হলো এখনও অনেকে সন্দিহান আসলে এই বোসন কনা "ভৌতিক" কিনা। যদি সেটাই হয় তাহলে বাঙ্গালীর গর্ব বোস সাহেবেই বাতিল খাতায় চলে যাবেন। আমি সেটা দেখতে চাই না!

তাহলে দেখা যাচ্ছে আমাদের আধুনিক ফিজিক্স যেই অবস্হানে আছে সেটা থেকে সামনে এগোতে প্রচুর মাত্রায় ট্রায়াল এন্ড ইরোর মেথডোডে এগোতে হবে কারন সবকিছুই ল্যাব এক্সেপরিমেন্ট নির্ভর আর নির্ভর করছে চরম ভাবে জটিলায়িত ম্যাথমেটিক্স মডেল যেখানে একসময় সবকিছু প্যারাডক্স বলেই মনে হয়।
আধুনিক ফিজিক্সের সামনে যেসব বড় চ্যালেন্জ্ঞ বেশ ভাবিয়ে তোলে তার প্রথমটা হলো ভরের রহস্য উদ্ঘাটন, এরপর আসে গ্রান্ড ইউনিফাইড থিওরেমের একটা শক্ত ভিত্তি তার সাথে টাইম সিমেট্রি বা এসিমেট্রি একটা বড় পিন্ঞ্চ, এস্ট্রনমারদের জন্য ডার্ক এনার্জী বা ম্যাটার তো অবশ্যই তার সাথে ব্লাকহোল আর ডার্ক এনার্জী সহ সকল বস্তুর পরিমান নির্নয় যার মধ্যে বোঝা যাবে আসলেই সৃষ্টি সম্পর্কে ফিজিক্সের বর্তমান থিওরেম গুলোর সত্যতা নির্নয়। এছাড়া আরও যে ব্যাপার সেটা হলো টাইমকে আসলেই সঠিক ডাইমেনশন ধরে এগুনো ঠিক হবে কিনা কারন কোয়ান্টাম স্টেটে টাইম বলতে কিছুই নেই। এছাড়া দূরত্বের সাথে মানুষের শক্তি ব্যাব হারের সামর্থের পরিমানটা কত গুনে বাড়ানো যায় সেটাও একটা বড় সমস্যা।

আর যদি এসব প্রশ্নের সমাধান না করা যায় তাহলে মানুষ নিজের গন্ডি মানে নিজের দ্বারা ধারনা অথবা পরীক্ষা থেকে লব্ধ জ্ঞান দিয়ে প্রচলিত ধারন গুলো নিয়েই সমস্যায় পড়ে যাবে। সেই অবস্হানে থেকে ঈশ্বরের অস্তিত্ব খোজাটা বামনের চাদ ধরতে যাবার মতোই একটা আস্পর্ধা মনে হয়। যদিও মানুষের চাদ পেরিয়ে তারা ছোবার বাসনা অনেক প্রাচীন, হয়তো একদিন পারবেও, তখন দেখা যাবে আজকে আমি যেসব সমস্যার দিকে আলোকপাত করছি সেগুলোর সমাধান পেয়ে যাবে কিন্তু তখন আরও বড় সমস্যা সামনে আসবে।
তাহলে এটা থেকেই কি বোঝা যায় না আসলেই আধুনিক বিজ্ঞান কতটা অপরিপক্ক এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য উন্মোচনে? আগে সৃষ্টির ঐ সময়টায় কি হয়েছে সেটা পরিস্কার হলেই তার আগে কি ঘটেছে বা কি তার অবস্হান সেটার প্রশ্ন তখনই আসবে!

আমার নিজের ভাবনা:

আমি আসলে অতিনিম্ন আইকিউ এর লোক, প্রায় সময়ই আবেগদ্বারা তাড়িত হই। ছোটবেলা্য খুব বিশ্বাস করতাম আমার আমি ভবিষ্যত থেকে এসে বলে যাবো আসলেই আমার ভবিষ্যতে কি লেখা আছে। ছোটবেলা পুরোটা কেটেছে টাইম মেশিন বানানোর ভাবনায়, এখনও ভাবি। ঈশ্বরের কথা বিশ্বাস করি কিন্তু মানতে পারি না, কারন আলসেমী। আমি নিজে আস্তিক আর আস্তিক বলেই মাঝে মাঝে ভয় হয় হয়তো একদিন আমারি সন্তান প্রচন্ড ভাবে জিজ্ঞাসু মন নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করবে ঈশ্বরকে কেন বিশ্বাস করি আর সেই সময় আমি যদি তাকে সেই ভাবে উত্তর দিতে না পারি তাহলে হয়তো তার সমস্ত গোনাহ বা কর্মের দায়ভার আমার কাধেও ঝুকবে।

ধরে নিলাম পরকাল বলে কিছু নেই, কিন্তু তবু মরবার আগে আমি একটা পরাজিত মন নিয়ে মারা যাবো, আর যদি পরকাল বলে কিছু কিন্তু তবু মরবার আগে আমি একটা পরাজিত মন নিয়ে মারা যাবো, আর যদি পরকাল বলে কিছু থাকেই তাহলেও আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রাইড ডিগনিটি অনার এগুলো খুব বড় মাপের বলে এসব নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত নই, আমি চিন্তিত শুধু একারনেই যে আমি মারা যাবার পর কজন মানুষ আমাকে বকবে কজন মানুষ আমাকে ভালোবাসবে!

আমি বিশ্বাস করতে চাই যুক্তির আলোকে এমনকিছু যেটার মাধ্যমে শ্লীল বা আদর্শিক ভাবে মহৎ কিছু বিদ্যমান। ঐশ্বরিক ভাবনা অনেকটা ধরা যেতে পারে যেহেতু বিজ্ঞান আমাকে পরিপূর্ন উত্তর দিতে অক্ষম সেহেতু আমি তার অস্তিত্ব মেনে নেবো এমন নয়, এটা এমন যে আমি বিশ্বাস করি আমার চারপাশে যাবতীয় সবকিছুর পিছনে তার ভূমিকা বিদ্যমান যদিও আমি আমার নিয়তের দিক থেকে আমি প্রচন্ডভাবে স্বাধীন!

শেষ কথার শেষ কথা

তবুও অনেকে বলবেন যেহেতু ঈশ্বরের থাকবার না থাকবার প্রমানও সে দেখতে পাচ্ছেন না আমি মনে করি তার দায়িত্বটা পুরোপুরি ঈশ্বর নামক এনটিটির হাতেই। কারন তিনিই তার হেদায়েত প্রাপ্তির দায়িত্ব নিয়েছেন। আর আমার লেখার এই ঈশ্বর বলতে আমি সকল ধর্মের ঈশ্বরকেই বুঝিয়েছি (কারন আমি সকল ধর্মকেই সমান ভাবে শ্রদ্ধা করি) আর আমার নিজের বিশ্বারের ক্ষেত্রে আল্লাহকেই (যেহেতু আমি মুসলিম) বুঝিয়েছি!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:২৬
৪১টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইরান ইসরাইলের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ আর আমাদের সুন্নী-শিয়া মুমিন, অ-মুমিন কড়চা।

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩০

(ছবি: © আল জাযীরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক)

শ্রদ্ধেয় ব্লগার সামিউল ইসলাম বাবু'র স্বাগতম ইরান পোষ্টটিতে কয়েকটি কমেন্ট দেখে এই পোষ্ট টি লিখতে বাধ্য হলাম।
আমি গরীব মানুষ, লেখতে পারিনা। তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯




আমরা পৃথিবীর একমাত্র জাতী যারা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য, নিজস্ব ভাষায় কথা বলার জন্য প্রাণ দিয়েছি। এখানে মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান চাকমা মারমা তথা উপজাতীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করে। উপমহাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×