প্রথমে শুরু করি প্রাগৈতিহাসিক সময়ের একটা গল্প দিয়ে।
তখন ডাক্তার কবিরাজ পথ্যের চল ছিলো না। মোড়ে মোড়ে পীর বাবা মাশায়েখরা ছিলো অসুস্থ মানুষের শেষ ঠিকানা। তো হঠাৎ একদিন এলাকায় আবির্ভাব হলো বিশেষ এক বাবার আগমন: - পাঁদ বাবা। এই বাবার বিশেষত্ব ছিলো উনি রোগীকে একলা জানালা দরজা বন্ধ ঘরে নিয়ে যাবেন। বাবা থাকবেন এক কোনায় রোগী থাকবেন আরেক কোনোয়। রোগী ঘরের এক কোনায় বসে কিছু পাঁদ মারবেন বাবা আরেক কোনো থেকে তা শুখে বলে দেবেন কি অসুখ আর কি দাওয়াই। ব্যাপারটা ডিসগাস্টিং শোনালেও তার দাওয়াইয়ে কাজ হওয়া শুরু করলো। তার পেদো ফার্মেসীর একটা স্লোগানও আছে,"পেট ঠিক তো দুনিয়া ঠিক!" তার অসুধেরও একটা সিক্রেট আছে। অম্বলের জন্য থানকুনি পাতার জুড়ি নেই। সে থানকুনি পাতা, অরহর, অরলের পাতা আর অশ্বথ্থ গাছের ছালের স্ম্যাশ করে তার সাথে মধু আর মিসরীর পরিমান বাড়িয়ে কমিয়েই বিভিন্ন নামে বিভিন্ন অসুখের পথ্য হিসেবে বিক্রি করতো। প্রথম প্রথম ব্যবসা মন্দা থাকলেও তার ভাড়াটে লোকের মারমার গল্পের কাটকাট গুজবে চারিদিক থেকে অসুস্থ মানুষের লাইন লাগা শুরু করলো। সমস্যা হলো পাদঁ বাবাও মানুষ। একসময় তিনি লক্ষ করলেন দিনে ১৫-২০ জনের বেশী লোড নিতে পারতেছেন। এদিকে লাইনের এমন অবস্থা যে দিনে ৭০-৮০ জন রোগী হয়ে যাচ্ছে। এসিস্ট্যান্ট হিসেবে দুজন রেখেছিলেন। একজন সকাল বেলা কাজ শুরু করে দুপুর বেলাতেই হার্ট এ্যাটাক করে ভবলীলা সাঙ্গ করে। আরেকজন দুদিন কাজ করে তিনদিনের দিন নদীতে ঝাপ দেয়। তো লোকজনকে বুঝ দেয়া হইছে যে বৈবাহিক জীবনে সমস্যার কারনে হতাশা, আর সেই হতাশা থেকে এই মৃত্যু। পাছে না তার পাঁদ ফার্মেসির ব্যাবসা লাটে ওঠে।
এদিকে পাঁদ বাবার শারীরিক মানসিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। চিন্তা করলেন, মালপাতী ভালোই কামানো হইছে। জান বাচলে বাপের নাম, তাই সকাল বেলা সূর্য্য উঠার আগেই ভাগতে হবে। যেই না ভাবলেন তখনই দেখলেন দরজার সামনে বিশাল সেনাবাহিনী যার মধ্য মণিতে বসে আছে রাজা। রাজাকে দেখে ভড়কে গেলেন আমাদের গুনধর পাঁদবাবা। ঘটনা হলো রাজা কিছুদিন আগে পাশের রাজ্যে গিয়েছিলেন ঘুরতে। সেখানে জম্পেশ খাওয়া দাওয়া শিকার হয়। কিন্তু সেই খাওয়া দাওয়ায় রাজার পেটে গন্ডগোল শুরু হয়। রাজার বক্তব্য ষড়যন্ত্র করে বিষ খাওয়ানো হইছে। এ নিয়ে দুই রাজ্যের যুদ্ধ লাগে লাগে অবস্থা। এখন রাজার পেটের গন্ডগোলের ওপর নির্ভর করছে দুই রাজ্যের বাচা মরা আর এই বাচামরা ঠেকাতে পারে আমাদের পাঁদবাবা। ঘটনার ওজন আঁচ করতে পেরে পাঁদ বাবা চিন্তা করলেন আর মাত্র একজন রোগী, হোক না সে রাজা, সেও মানুষ, ব্যাপার না। রাজাকে নিয়ে গেলেন সেই বিশেষ কক্ষে। তো দুজন কক্ষে ঢোকার পর রাজাকে বলা হলো,"জাহাপনা, মন খুলে হাসুন, আর পেট খুলে পাদুন!" তো সময় অতিবাহিত হয় কিন্তু পাঁদ বাবা কিছু আচ করতে পারলেন না। এদিকে রাজা ভ্রূকুঞ্চিত চিত্তে জবাবের আশায় পাঁদবাবার দিকে তাকিয়ে আছেন। পাঁদবাবা হঠাৎ কিছু একটা বুঝতে পেরে রাজা মশাইকে শুধালেন,"হে জাহাপনা, আপনার সুগন্ধিযুক্ত রাজকীয় পোশাক ভেদ করে রাজকীয় পাঁদ বের হতে পারছে না এই ঘরের বায়ুমন্ডলে। জাহাপনার যদি আজ্ঞা হয় আপনার কটিদেশ আলগা করেন আর আমি কাছাকাছি এসে শুখে রোগ নির্নয় করিতে পারতাম!" অন্য সময় রানী অথবা হেরেমের খাস সুন্দরীভিন্ন অন্য কেউ তার কটিদেশ খুলতে বললে তৎক্ষনাৎ কল্লা কেটে সেটা দিয়ে ফুটবল খেলতেন। কিন্তু অবস্থা এখন শোচনীয়। তাই মহারাজা রাজী হলেন। যাই হোক , রাজা তার পশ্চাদ উন্মুক্ত করলেন এবং পাঁদবাবা তার নাক সে বরাবর ধরলেন। রাজা কিছুক্ষন চেস্টা করে আর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারলেন। পাঁদের সাথে আরো কিছু তিনি ছেড়ে দিলেন সরাসরি পাঁদবাবার মুখের ওপর সজোরে। আকস্মিক ভারী বর্ষনে পাঁদবাবা দম বন্ধ হয়ে ওখানেই খিচ মেরে পটল তুললেন।
ব্লগে প্রতিদিন যতগুলো পোস্ট হয় তার ৮০ শতাংশই কবিতাই। সামান্য বৃষ্টি পড়া থেকে শুরু করে, রাজনীতি, ভালোবাসা, ভালো লাগে না, কি করতাম ইত্যাদি বিষয়ে কবিতার অভাব নেই। আসলে কবিতা লেখাটাও সহজ। ছন্দের সাথে ছন্দ জুড়ে দিলেই কবিতা হয়ে যায় এ যেনো সবার মনের মধ্যে গেথে গেছে। আবার ৭০-৮০ এর দশক থেকে যে গদ্যকবিতা লেখার চল চালু করেছিলেন হেলাল হাফিজ, শামসুর রহমানেরা সে ধারায় অনেকে অনেক কিছু লিখে ফেলেন। সমস্যা হলো কাকের চেয়ে দেশে যদি কবির সংখ্যাই বেশী হয় তাহলে সবাই তাদের নাম জানছে না কেন?
একটা সময় আমি নিজেও কবিতা লিখতাম তবে তা অনেক আগের। তখন কম্পিউটারের দাম ছিলো লাখ টাকার ওপর এবং প্রসেসর ছিলো পেন্টিয়াম ২। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে লাখ টাকা খরচা করে কম্পিউটার কেনা সম্ভব নয় বলেই কবিতা লিখে রাখতাম খাতায়। এক সময় দেখতে দেখতে প্রচুর কবিতা জমলো। এবং কবিতা লিখতেও যেনো আলসেমী শুরু হলো। তখন আমাদের স্কুলের বাংলার শিক্ষক বার্ষিক ম্যাগাজিনে কবিতা বিষয়ক একটা প্রবন্ধ লিখলেন। ওখান থেকে জানতে পারলাম শামসুর রহমান তার গদ্য কবিতায় মাত্রার ভেতর দিয়ে শব্দের অনুপ্রাস এবং ভাবের অনুপ্রাস কিভাবে সৃষ্টি করেন। সেরকম কিছু স্যাম্পল কবিতার নাম দিলেন। আমি তার একটা বই জোগাড় করলাম। তখন দৈনিক জনকন্ঠে তার নিয়মিত নতুন কবিতাগুলো ছাপানো হতো। তখন দেখলাম তার শব্দের অনুপ্রাস শুধু গড়পড়তায় ধারাবাহিক ছন্দ মেলানো নয়। এর মধ্যে একটা বৃত্তিয় ছন্দের মিল আছে। তার মানে প্রথম তিন মাত্রায় যে ছন্দ দিয়ে উনি শুরু করেছেন শেষে উনি সেই মাত্রার মিল রেখেই শেষ করেছেন। আবার যেসব কবিতা বেশ সাধারন ভাবে শব্দের অনুপ্রাস অনুপস্থিত রেখে লিখে গেছেন তার মধ্যে ভাবের আন্তঃমিল প্রকট। এবং উনি এটা করেছিলেন কবিতাতে সাবলীলতা আর আভ্যন্তরীন যে অভিব্যাক্তি সেটাকে আরো সম্প্রসারিত করতে।
স্বভাবতই তার মতো এরকম ধারা যে আর কেউ লিখতে পারে সেটা জানা ছিলো না। কারন সব কবিরই নিজস্ব একটা ধারা আছে। শামসুর রহমান শব্দ, ভাবের আন্তঃমিল নিয়ে যে নিজস্ব গবেষনাকে একটা কাঠামোর ভেতর এনেছিলেন সেটা আবিস্কার করে মুগ্ধই হয়েছিলাম। সমসাময়িক উঠতি কবি ময়ূখ চৌধুরীর নাম না উল্লেখ করলেই নয় তবে উনি ছিলেন বেশ রূপক নির্ভর। এটা তার নিজস্ব একটা ধারা। আমি নিজেও সে ধারায় লিখতে চেস্টা করলেও আন্তঃমিল, অনুপ্রাস ঠিক রাখতে গেলে কবিতার সাবলীলতা থাকে না। আবার নির্দিস্ট একটা ঘটনার বর্ননার মধ্যে নিজের চিন্তা চেতনা বুনে দেয়া ব্যাপারটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিলো। তাই কবিতা লেখা বন্ধ রাখি। কারন কবিতা যদি আমি নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্কে বন্দি করি তাহলে সেখানে মনের ভাব রুদ্ধ হয় কিন্তু সে কবিতা অন্য কেউ পড়ে মজা পাবে না। কারন আমার মন তার মন এক নয় এবং মস্তিস্কের আলোড়ন ঘটাবে না। কিন্তু সেই কবিতা তখনই অন্যের জন্য সুখকর হবে যখন সেটা তার জন্য সুখপাঠ্য ও আনন্দদায়ক হবে।
এরপর ব্লগে এসে অনেকের কবিতা পড়লেও ব্লগার কাশাফউদ্দৌলার কবিতা আমাকে মুগ্ধ করেছিলো যদিও সে যখন ব্লগে সময় দিয়েছিলো তখন আমি বেশ অনিয়মিত ছিলাম। তার কবিতা ছিলো ভাববাচ্যে পাঞ্চলাইন নির্ভর। কথা ও শব্দের মুন্সীয়ানায় ছন্দের কোনো দরকার ছিলো। এই শিল্পটা রপ্ত করা হয়নি। যদিও কবিতার ভাষায় এসব পাঞ্চলাইনের অন্য নাম আছে, কিন্তু মূখ্য ব্যাপার হলো এসব শব্দের মুন্সিয়ানা বুননে পাঞ্চলাইন গুলো খুব জনপ্রিয় হতে সময় লাগেনি।
এতো গেলো বাংলা ভাষার কবিতা, ইংলিশটা আমার সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ হওয়াতে তার সাহিত্য একটু কম পড়া হয়েছে তবে টেড হিউজ কিছু পড়েছিলাম। এমিনেমের লিরিক্সে চোখ বুলিয়ে যখন তার ভেতরের আন্তঃমিল, যেগুলো কোনো ধারাবাহিক ছন্দ মেনে চলে না কিন্তু মিউজিক আর বিষয়বস্তুর জোর যার ওপর পড়ে, ঠিক তখনই একটা মিল এটা আমাকে ভাবতে বাধ্য করে যে লিরিক্স আগে না মিউজিকটা আগে তৈরী করেছিলো সে নাকি দুটোই যুগপৎ! এটা একটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার কারন গানের ক্ষেত্রে অবশ্যই লিরিক্সের ওপর সুরারোপ করা হয়। মাঝে মাঝে সুর আগে তৈরী করে গানটা বসানো হয়। গতানুগতিক নিয়ম এটাই। র্যাপের মধ্যে এরকম ভাব ও মিউজিকের মিলের ফিউশন এমিনেমের র্যাপগুলো চুম্বকের মতো আকর্ষন করে।
কিন্তু ব্লগে এখন যারা লিখছেন তারা না মানছেন সেই ব্যাকরন না মানছেন সেই সাবলীলতা। মাঝে মাঝে যুক্তাক্ষর যুক্ত করে পুরো কবিতার টেস্ট মেরে দেন। তবুও যে কেউ ভালো লিখছেন না তা নয়। বরংচ আমি বলবো কাশাফদ্দৌলার অভাব পূর্ন করতে না পারলেও কেউ কেউ তাদের নিজস্ব ঢং এ চেস্টা করে যাচ্ছেন। তবে বেশীর ভাগ চর্বিত চর্বন এবং দু লাইন পড়েই উগড়ে দিতে মন চায়। এসব কবিতার দুই ছত্র পড়ে আমার ব্লগের মডুর কথা মনে হয়। মনে হয় ব্যাটা এমন সারাদিন এসব চর্বিতচরন কিভাবে পড়ে হজম করে। তার সাথে ওপরের গল্পের আংশিক মিল পেলাম।
তবে তার মানে এই না যে ব্লগে কবিতা লেখা বন্ধ হবে। কারন যতই লেখা হবে সেগুলো একসময় নিজেই পড়বেন এবং বুঝতে পারবেন এটাকে আরো কিভাবে উন্নতি করা যায়। একসময় হুমায়ুন আহমেদ ইমদাদুল ছাড়া নতুন কোনো লেখক খুজে পাওয়া ছিলো দুস্কর। আর এখন হুমায়ুন আহমেদের জায়গা অনেকেই দখল করে নিতে চাচ্ছে। হয়তো কোনো একটা বই হিট হলে আমরা বলতে পারবো আমরা এ যুগের হুমায়ুন পেয়েছি। এবং ১০০ ভাগ নিশ্চিত যে আগামীর বেশীরভাগ লেখক তৈরী হবে এই ব্লগ থেকে।
আমার মনে হয় ব্লগে আরো বেশী সংখ্যক লেখা আসা উচিত শিল্প সাহিত্য নিয়ে। যদিও মডু বাবাজির স্বাস্থ্য হানী ঘটার সমূহ সম্ভাবনা আছে, কিন্তু একটি জাতীর সুকুমারবৃত্তীর বিকাশে এরকম একটা প্লাটফর্মের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সচলায়তন সহ বেশ কিছু ব্লগে এরকম লেখা কিছু পাওয়া যায় বৈকি!
তার আগে আরেকটা গল্প বলে নেই। একবার জানতে পারলাম কোনো একসময়, যার সাথে আমি ডেট করছিলাম সে নাকি ভালো গান গাইতে পারে। তার ফেসবুক ঘেটে পিয়ানো গীটারের ছবি দেখে তাই মনে হলো। মনে মনে প্রমাদ গুনলাম সেই ক্ষন কখন আসে। তো আমি ভুলেও গান বাদ্যের টপিকে যাই না। তো একদিন সেই বললো আমাকে গান গাইতে। আমি উত্তরে বললাম আমার না আছে গলা, না আছে সুর জ্ঞান না আছে স্কেলের কনসেপ্ট। তারপরও জোর করে গাওয়ালো। যখন গাইলাম দেখলাম আশপাশের লোকজন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। এমন ভাব যে পরিবেশ দূষনের জন্য পুলিশে কল করবে। আমি তো লজ্জায় লাল। সেও। আমি বললাম ফের যদি কইছো গান গাইতে।
তার পর সে কিছু অডিও দিলো। অডিও শুনে মনে হলো গানের ধর্ষন করেছিলাম আমি, আর সে করলো হত্যা। তাকে ইনডাইরেক্টলি জিজ্ঞেস করলাম একদিন তোমার এ্যাজমা আছে? সে না বললো। তারপর একদিন বললাম কিছু দিন জগিং করো। সে বললো টাইম নাই। যদিও সে বুঝলো না যে এসব করলে তার গলার গায়কীতে ভালো হতো। এরপরও তার গান ব হুবার শুনতে হয়েছে এবং শোনার পর আমি উদ্বাহু প্রশংসা করেছি। যদিও আমার নিজের কাছেই খারাপ লেগেছে যে আমি মিথ্যা বলেছি। কিন্তু তার কখনো বদনাম করিনি। ব্লগে আমার আচরন স্পস্টবাদী হলেও বাস্তব জীবনে আমি বেশ অন্তর্মূখী এবং শান্ত। হতে পারে এটা সুইডীশ কেতা!
সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও দেখতাম সে আগের মতোই গাচ্ছে, কোনো উন্নতি নেই। আগের চেস্টাটা হারিয়ে গেছে। হয়তোবা আমার বলা উচিত ছিলো এভাবে করো, এভাবে চেস্টা করো। উন্নতি কিছুটা হতো বা সে নিজে আরও ভালো করতে পারতো। কিন্তু একসময় সে গান গাওয়াটা বন্ধ করে দিলো। এতে হিতে বিপরীত হলো সে যখন ফ্রি হয় তখন চরম ডিপ্রেশন / এংজাইটিতে ভোগে। অনেকদিন পর লুকোচুরী করে তার প্রোফাইলে ঢুকে সমসাময়িক চেহারা দেখে আতকে যাই, জীবনে এমন কিছু ঘটছে যে সে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন হারাচ্ছে।
কিন্তু যদি সে ঐ গানটাকেই একটু ভালো করে গাইতো, সামনে এগোতে পারতো। জীবনের আপস এন্ড ডাউনে তাকে সাঙ্গ দিতেও সাহায্য করতো। যেটা তার হয়নি। এরকমই হয়। একসময় পরিবেশ বন্ধু নামের এক ব্লগার ছিলেন। একটু অন্যরকম, লোকে তাকে নিয়ে খুব মজা করতো। একবার তো মডু আর সামুকে কঠিন থ্রেট দিলো। সবাই ভয় পাবার বদলে চরম মজা করলো। লোকে তাকে অনেক সাঙ্গ দিলো। তিনি প্রচুর কবিতা লিখতেন। মাঝে মাঝে দুয়েকটা ভালোই হতো। কিন্তু এখন তিনি হারিয়ে গেছেন। জানি না কোথায় আছেন।
আমরা শখের বসে যাই করি না কেন একসময় এগুলো খুব বেশী কাজে দেয় যদি সেটাকে আমরা আনন্দ নিয়ে করি এবং এর উৎকর্ষতার দিকে মনোযোগী হই। আমরা যদি এগুলো শানিয়ে নেই, তাহলে জীবনের কোনো ডাউনটাইমে এগুলো খুব সহায়তা করতে পারে, এমনকি আপনার নিজের ব্যাক্তিত্ব ও ক্যারিয়ার জীবনে অন্য রকম মোড়ও ঘুরিয়ে দিতে পারে। এর জন্য উচিত শখের এসব জিনিস নিয়ে প্রচুর পড়া। এসব জ্ঞান, অভিজ্ঞতা একান্তই আপনার নিজের সম্পদ। কোনো কারনে জীবনের টানপোড়েনে সবকিছু হারিয়ে ফেলেন, দেখবেন আপনার এই শখের জিনিসটা কাজে দিয়েছে, নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে।
তাই লিখতে ভুলবেন না ভাত খেতে ভুলে গেলেও, বেশী বেশী লিখুন। যেদিন ব্লগের মডুকে পাঁদবাবা বানিয়ে দিতে পারবেন সেদিন মনে করবেন আপনারা সফল!
আর আপনারা যারা আধুনিক কবিতা রীতির কলা কৌশল, ভেতরের কারিগরী আর কবিদের সব গোপন টেকনিক সম্পর্কে অবহিত হতে চান তাহলে ফারিহান মাহমুদ ভাইয়ের এই লিংকে ক্লিক করুন। মোবাইল থেকে পেজটি নাও খুলতে পারে। মোবাইলে ফুল ভার্সন ব্যাব হার করলে পোস্ট টি দেখতে পাবেন নতুবা ডেস্কটপ বা ট্যাবে খুলে দেখতে পারেন।
হ্যাপী ব্লগীং!