ভার্সিটির প্রথম দিকের কোন এক সেমিস্টারে এক স্বস্বীকৃত সুন্দরী মহিলা কে টিচার হিসাবে পেলাম । মহিলার সমস্যা হল , মহিলা মহা স্বৈরাচারী , উনার নিজের যখন আদর করতে ইচ্ছা করে ছাত্রদের আদর করতেন , যখন খারাপ ব্যাবহার করতে ইচ্ছা করে মহিলা ঝাপিয়ে পরতেন আমাদের অপমান করতে । হিজাব আর মাথায় কাপড় দেয়া নিয়ে যত বাজে কমেন্ট করতেন তা মগাচিপ আর milf টাসলিমাও করে কিনা সন্দেহ । তো ওনার একদিন নিজের জীবন সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করলেন আমাদের সাথে । তার বক্তব্য হচ্ছে উনি নিজের জীবনে অনেক সুখী । সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়াশুনা ,ভালো রেজাল্ট , বাচ্চা কাচ্চা । সবই ঠিক আছে , কিন্তু উনি বললেন , আমি চেয়েছিলাম একটা টাকাওয়ালা ছেলে বিয়ে করতে অনেক টাকা । আমি ওনার চোখে লোভের ছায়া দেখছিলাম , সে ছায়া ছিল বড় ভয়ঙ্কর । তার ভাষ্যমতে পুরুষ হল টাকা বানানোর মেশিন । নারীর জীবন মাতৃত্ব দিয়ে পুর্ন হয় , পুরুষের জীবন কি আছে টাকা উপার্জন ছাড়া । আসলেই তিনি ঠিক । কিন্তু নারীবাদীরা কেন যে এভাবে ভাবে না ।আমার চুল না পাকা চির তরুন দাদা মাঝে মাঝে একটা কথা বলে "সংসারে দুইটা জিনিস , নাই আর আন"
কত সত্য কথা । বিনিময়ে পুরুষ কি শুনে জানেন?
" আমি বলেই তোমার সংসার করে গেলাম , অন্য কেউ হলে তোমার সংসারও করত না "
"তোমার সন্তান হওয়াটাই ভুল হয়ে গেছে , আমার বন্ধুদের কত কিছু আছে জানো ?"
অথচ এই মানুষটাই কিন্তু অফিসে দেয়া বিকালের নাস্তা টা স্ত্রীর জন্য নিয়ে আসেন ।
নিজের জুতাটা চারবার শিলাই করে পরে নেন , সন্তানের প্রেজেন্টেশনের জন্য জুতা , বাসায় পড়ার জুতা , খেলতে যাওয়ার জুতা কিনে নিয়ে আসেন ।
ছোট্ট একটা গল্প বলি
- বাবা , আমার ডিএসএলআর লাগবে , বন্ধু বান্ধবের সাথে গেলে মুখ দেখাতে পারি না।
- আমার ক্যামেরাটা কোথায় ?
-ঐ টার ফিল্ম কোথাও পাওয়া যায় না, ঐটা তো টোকাইরে দিলেও নিব না
-আচ্ছা যা কিনে দিব , আর কয়টা দিন । ভার্সিটি যা
ছেলে চলে গেলে , বাবা ফিরে যান যৌবনে ,আশির দশকে যখন ছিল বড় চুলের ফ্যাশন । তখন তিনি যে বাসায় লজিং থাকতেন , সেখানে কিনে আনা হল ক্যামেরা । আহারে মনে মনে চাইতেন কেউ যেন একটা ছবি তুলে দেয় । মুখ ফুটে বলা হয়না কাউকে । একদিন একটু ধরাতে ঐ ফকিন্নির পোলা , দেখছস এগুলা জীবনে
অনেক পরে একটা ইয়াশিকা ক্যামেরা কিনেছিলেন , কিন্তু কিছুদিন পর ডিজিটাল , তারপর ডিএসএলআর এর যুগ শুরু । আলমারি থেকে ক্যামেরাটা বের করে শুধু শুধু মুছে গলায় ঝোলালেন । থাক টোকাইয়ের নেয়ার দরকার নাই , এই পৃথিবীতে তার চেয়ে বড় টোকাই আর কি আছে