somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নোবেল পাওয়াই অমরত্ব নয় !

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বিশ্বের সব চেয়ে বড় এবং সম্মানের ‘নোবেল পুরস্কার’ কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটাও বির্তকের মধ্যে রয়ে গেছে, নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির কিছু লোক দেখলে আপনার আমারও নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ইচ্ছে মনে জাগতে পারে। এবং তা অযৌক্তিকও নয়।
সুয়েডীয় বিজ্ঞানী আলফ্রেদ নোবেলের ১৮৯৫ সালে করে যাওয়া একটি উইল-এর মর্মানুসারে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয়। নোবেল মৃত্যুর পূর্বে উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। এই তো আমাদের সবার জানা বিষয়। আগে ভাল কাজের সব চেয়ে পুরস্কার ‘নোবেল’ ভাবা হতো কিন্তু গত কিছু বছর আগ থেকে নোবেল পুরস্কারটা যেন হাসি মজার বিষয় হয়ে গেছে। দেখুন না শান্তির জন্য যাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে তার হাতে গণহত্যা হচ্ছে।
সব নোবেল পুরস্কারের ঘোষণা আসে সুইডেনের স্টকহোম থেকে। কিন্তু শুধু নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা আসে নরওয়ের অসলো থেকে।
সম্পূর্ণ আলাদা একটি কমিটি ঠিক করে দেয় কে পাবে শান্তিতে নোবেল। আর এখানেই হয় কুটিল ও স্বার্থের রাজিনীতি।
১৯০১ থেকে শুরু করে ১৯০৫ পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পায় ৫ জন। পরবর্তীকালে দুটি সংগঠনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। নোবেল কমিটির অধিকাংশ সদস্যই ওই দুটি সংগঠনকে সাপোর্ট করত। ফলে বিতর্কের ঝড় ওঠে বিশ্বজুড়ে।

থিওডর রুজভেল্ট ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধপ্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে আমেরিকাকে সামরিক শক্তির অন্যতম প্রধান হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। তার সময়ে ২৯ জন শর্টলিস্টে স্থান পায় এবং এদের মধ্য থেকে পরবর্তীকালে ৬ জনই নোবেল পুরস্কার পান, সালটা ১৯০৬।

শান্তিতে অশান্তি শুরুর সময় ১৯৩৫ সালে নোবেল কমিটির দু’জন পদত্যাগ করেন। তাহলে বোঝেন বিতর্কটা কত চরমে উঠেছিল। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়েই বিতর্কটা শুরু হয়েছিল। ওই বছর শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয় জার্মানির শান্তিবাদী লেখক কার্ল ভন ও জিতজকিকে।
১৯৩৯ সালে কমিটির এক সদস্য তিনি জার্মানির কুখ্যাত অ্যাডলফ হিটলারকে নোবেল দেওয়ার জন্য মনোনয়ন দিয়েছিলেন।

উত্তর ভিয়েতনাম ও আমেরিকান মদদপুষ্ট দক্ষিণ ভিয়েতনামের মধ্যে সংঘটিত হয় দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ (১৯৫৯-৭৫)। আমেরিকা যোগ দেয় দক্ষিণ ভিয়েতনামের হয়ে। দক্ষিণ ভিয়েতনাম তবুও এ যুদ্ধে হেরে যায়। উত্তর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট সরকারের অধীনে এক হয় দুই ভিয়েতনাম। যুদ্ধের ভয়াবহতা মুছে ফেলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ভিয়েতনামের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব লে দোউ থো ও যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেটের হেনরি কিসিঞ্জার সন্ধি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তাদের এরূপ অবদানে নোবেল ফাউন্ডেশন ১৯৭৩ সালে একই সঙ্গে দুজনকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন। কিন্তু লে দোউ থো পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন। ভিয়েতনামের যুদ্ধ নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। সমালোচকদের মতে, ‘কিসিঞ্জার শান্তি প্রয়োগ নয়, যুদ্ধবাজ ছিলেন।’

মেনাহেম বেগিন তরুণ বয়সে ইহুদিবাদী জঙ্গি সংগঠন ইরগানের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ১৯৪৬ সালে জেরুজালেমে যুক্তরাজ্যের প্রধান কার্যালয়ে বোমা হামলার পেছনেও তার হাত ছিল। উল্লেখ্য, ওই হামলায় ৯১ জন নিহত হন। অথচ কী আশ্চর্য ওই একই ব্যক্তি (তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী) ১৯৭৮ সালে এসে বিতর্কিত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির জন্য মিসরের প্রেসিডেন্ট আনওয়ার আল সাদাতের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এই দুজনকে ডেকে নিয়ে এসে জোর করে একটা চুক্তি করায়- বিখ্যাত বা কুখ্যাত ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি। বিনিময়ে আনোয়ার সাদাতের হাতে ধরে দেওয়া হয় শান্তিতে নোবেল।
মিশর হল মুসলিম বিশ্বের উপরসারির শক্তিশালী দেশ। ব্যস, মিশর তারপর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা।
--------------------------------------------------------------
১৯৬২ সাল থেকে মিয়ানমারে সেনা শাসন, সবে সুচি মায়ের সেবা করার জন্য দেশে আসে (১৯৮৮ সালে) এবং গৃহবন্দি হয়ে যান, ১৯৯১ সালে এসে গৃহবন্দি আং সান সুচিকে শান্তির জন্য নোবেল দেয়া হয়, উদ্দেশ্য পশ্চিমা মদদপুষ্ট সুচিকে ক্ষমতায় বসানো।
১৯৯১ সালে অং সান সুচিকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে নোবেল কমিটির প্রেস রিলিজে যা বলা হয়েছিল-
১. নরওয়ের নোবেল কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৯৯১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার অং সান সুচিকে (মিয়ানমার) দেওয়া হবে। এটি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য তার অহিংস সংগ্রামের জন্য দেওয়া হচ্ছে।
২. তিনি নিপীড়নের বিরুদ্ধে একজন আদর্শ হিসেবে পরিণত হয়েছেন।
৩. ১৯৯১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার পাশাপাশি নোবেল কমিটি অং সান সু চিকে সম্মান জানাতে চায় বিশ্বের বহু মানুষের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম মানবাধিকার ও জাতিগত শান্তি বজায় রাখায় তার শান্তিপূর্ণ সমর্থন ও অবিরত প্রচেষ্টার জন্য।
এখন মিয়ানমারের পরিস্থিতি পাল্টেছে। সমালোচকরা বলছেন, যিনি বহু বছর ধরে নির্যাতিত মানুষের প্রতীক হিসেবে ছিলেন, তিনিই এখন ক্ষমতায়। আর তার সরকারই যখন রোহিঙ্গাদের নির্যাতন নিপীড়নের জন্য দায়ী তখন নিপীড়ক হিসেবে তার নামও চলে আসে।
রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতনের কারণে ২০১৬ সালেই সুচির নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি ওঠে। সে সময় অনলাইনে তার নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার জন্য এক আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। চেঞ্জ ডট অর্গে এই আবেদনটি করা হয়।
আবেদনে বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক শান্তি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষায় যারা কাজ করেন, তাদেরকেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের মতো সর্বোচ্চ পুরস্কার দেয়া হয়। সুচির মতো যারা এই পুরস্কার পান, তারা শেষ দিন পর্যন্ত এই মূল্যবোধ রক্ষা করবেন, এটাই আশা করা হয়। যখন একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শান্তি রক্ষায় ব্যর্থ হন, তখন শান্তির স্বার্থেই নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির উচিত এই পুরস্কার হয় জব্দ করা নয়তো ফিরিয়ে নেয়া।’ ২০১২ সালে সুচি তার পুরস্কার গ্রহণ করেন।



১৯৯৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পায় তিনজন। ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ইসরায়েলের ইযহাক রাবিন, শিমন পেরেজ।
যে ইয়াসির আরাফাত পশ্চিমাদের চোখে সন্ত্রাসী ছিল, তাকে হঠাৎ নোবেল দেওয়া হল!! কেন?
ইসরাইল জোর করে যে ফিলিস্তিন দখল করেছিল, এর প্রেক্ষিতে সৃষ্ট দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল কমিয়ে শান্ত করার উদ্দেশ্যেই আরাফাতকে নোবেল হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল। ব্যালান্স তৈরির জন্য দেওয়া হল ইসরাইলেরও দু’জনকে। তখন ইয়াসির আরাফাতকে নোবেল দেয়ায় নোবেল কমিটির একজন পদত্যাগও করেন।
এরপর জোর করে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চুক্তি করে দেওয়া হল- অসলো চুক্তি। ব্যস, সব ঠাণ্ডা। মাঝখান থেকে লাভের লাভ ইসরাইলের জোর করে দখল করে নেওয়া ফিলিস্তিনের সেই ভু-খন্ড।



২০ কক্ষের আলিশান প্রাসাদে গ্যাস ও বিদ্যুতের অতিরিক্ত অপচয়ের জন্য সমালোচিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আল গোর। অথচ তিনিই বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতনতা বিকাশে ভূমিকা রাখার জন্য ২০০৭ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
২০০৬ সাল... আমাদের ইউনুস সাহেব জড়িত সুদের সাথে। অথচ তাকে দেওয়া হল শান্তিতে নোবেল। এমন একটা সময় দেওয়া হল যখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল, প্রধান দুই দলের মধ্যে বিরোধ।
দুই নেত্রীকে সরাতে মাইনাস টু ফর্মুলা এপ্লাই করতে হলে তৃতীয় কোন শক্তিকে নিয়ে আসতে হবে। দেওয়া হল ড. ইউনুসকে নোবেল। দেশের পরবর্তী অবস্থা তো সবাই জানে।
ইদানীংকালে সবচেয়ে সমালোচিত হয়ে আসছে ২০০৯ সালের বারাক ওবামার নোবেল পুরস্কারটি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের মাত্র ১১ দিন পর মনোনয়ন বন্ধ করা হয়। অবশ্য সত্যিকারের মূল্যায়ন করা হয়েছিল পরবর্তী ৮ মাস। ওমাবা নিজেই জানান, ‘ওই পুরস্কারের যোগ্য তিনি নন।’ বিশ্বজুড়ে এটা নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করে তখন থেকেই।

এবার আসি ২০১৪ তে শান্তিতে নোবেল পাওয়া মালালা প্রসঙ্গে। যার পাওয়ার কথা ছিল অস্কার, সে পেল নোবেল পুরস্কার !!! তাও আবার শান্তিতে !!
আসলে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আক্রমণের একটা কারণ তৈরি করার জন্য মালালার ঘটনাটি পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর মাধ্যমে সাজানো হয়েছিল।
পাকিস্তানের একজন নোবেল পেল, ভারত আবার নাখোশ হবে। ব্যালান্স তৈরির জন্য ভারতের কৈলাস বাবুর হাতেও যৌথভাবে ধরিয়ে দেওয়া হল নোবেল।



এর আগে পার্বত্য শান্তিচুক্তি নিয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম শর্ট লিস্টে ছিল।
এবার মনোনয়ন বন্ধ হলেও আগামীতে উনার সম্ভাবনা বেশি। এর সম্ভাব্য কারণ হল, শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটো বড় অবদান যুক্ত হয়েছে।

এক, পার্বত্য শান্তিচুক্তি
দুই, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান।

এই দুটো ভুমিকাই নোবেল এর নির্বাচিত হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য যথেষ্ট। তবুও, নোবেল শান্তি পুরষ্কার এর পেছনে যেহেতু বিশ্ব মোড়লদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকে, সে হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরো কয়েকটি দিক চিন্তা করে নোবেল প্রদান করা হতেও পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উনাকে নোবেল দিয়ে মিয়ানমারের উপর আরো চাপ বৃদ্ধি করা, যা চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে এখন সম্ভব হচ্ছে না।
মিয়ানমারের আন সান সুচি শান্তিতে নোবেলজয়ী ছিলেন। কিন্তু এরপরেও তিনি রোহিঙ্গা নিধনে প্রত্যক্ষ ভুমিকা পালন করছেন। তাই, তার কাউন্টার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল দেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ যাতে দীর্ঘদিন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান করে ও তাদের বসবাসের স্থায়ী ব্যবস্থা করে, এই দিকে একটা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতেও প্রধানমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নোবেল প্রদান করা হতে পারে।
এর ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুরও একটা সমাপ্তি হবে, মিয়ানমারও শান্ত হবে, রাখাইনে বহুজাতিক পশ্চিমা ও চীনা কোম্পানিগুলোর তেল, গ্যাস ও খনিজের ব্যবসাও সুন্দরভাবে চলতে থাকবে।
তবে, একটা ব্যালেন্স তৈরি করার জন্য এর সাথে সিরিয়ার শরনার্থিদের আশ্রয় দেওয়ায় জার্মানির এঙ্গেলা মার্কেলকেও যৌথভাবে নোবেল দেওয়া হতে পারে।
তবে, বিশ্বরাজনীতির চাল অনেক মারপ্যাঁচে। কখন কার প্রতি বিশ্বমোড়লরা তুষ্ট থাকে বা বেজার হয়, তা বলা খুবই মুশকিল।
আসলে নোবেল শান্তি পুরস্কারটা ভীষণ বিতর্কিত একটি পুরস্কার। এটি দিনে দিনে এতই বিতর্কিত হয়ে উঠছে যে, পুরস্কারটি পেলেই বরং মানুষ সন্দেহ করে বসতে পারে, আপনাকে কেন এই পুরস্কার দেওয়া হলো? এর পেছনে উদ্দেশ্য কী? আপনি কোনো আন্তর্জাতিক পরাশক্তির দালালি করছেন না তো? তাই আপনি বরং খুশি হতে পারেন এই ভেবে, যে পুরস্কারটি হেনরি কিসিঞ্জার, শিমন পেরেজ, আইজাক রবিন এবং অং সান সুচির মতো ব্যক্তিরা পেয়েছে, সেটি আপনার আমার না পাওয়াই ভালো!
আগের দিনে মানুষ ভাবতো শুধু ভাল কাজ করে যাব লোক আমাকে মনে রাখুক বা না রাখুক। উনাদের সাদা মন ছিল, পৃথিবীতে সব কিছুর দাম বেড়ে গেল সাথেসাথে সাদা রঙ্গের দামটিও বেড়ে গেল কিন্তু সাদা মনের মানুষের দাম কমতে শুরু করলো সেই থেকে সাদা মনের মানুষ তৈরির মেশিনটিও মনে হয় অকেজো বা খারাপ হয়ে গেছে। অনেক দিন ধরে সেই সব মানুষের দেখা মিলছেনা, তবে এখন পৃথিবীতে হাতে গুনা কিছু লোক আছে কিন্তু তাদের মূল্য অনেকটাই কম।।

সূত্র- অনলাইন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×