সৌদি আরবের নারীদের ৫ নিষিদ্ধ কাজের মধ্যে একটি গাড়ি চালানো যাবে না। বিশ্বের একমাত্র দেশ সৌদি আরব যেখানে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই এবং এ কারণে ক্ষোভও বাড়ছিল। 'মেয়েদের গাড়ি চালানোর মত বুদ্ধি নেই'- এক সপ্তাহ আগে একজন ধর্মীয় নেতার করা এমন মন্তব্য অসন্তোষ আরও উসকে দেয়।
অবশেষে বহু বছর ধরে চলা প্রচারণার প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের ইতিহাসে এই প্রথম মেয়েরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেতে যাচ্ছে।
সৌদি বাদশাহ সালমান এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি/ফরমান জারি করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম এ খবর দিচ্ছে।
দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের কাউন্সিল এই পদক্ষেপকে সমর্থন দিয়েছে। সৌদি আরবের চরম রক্ষণশীল সমাজে মেয়েদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার দাবিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার। গাড়ি চালানোর অভিযোগে অনেক নারীকে কারাগারেও যেতে হয়েছে।
সৌদি সরকারের নতুন এই উদ্যোগকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নাওর্ট বলেন, "আমি মনে করি সেদেশের জন্য এটি সঠিক দিক-নিদের্শনার মহান পদক্ষেপ। তারা যে এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে সেজন্য আমরা উচ্ছ্বসিত। আমি মনে করি এটি খুবই ইতিবাচক লক্ষণ"।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে রাজকীয় এই ডিক্রি মোতাবেক নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।
সূত্র-নিউজ
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১