প্রয়াত নাস্তিক অভিজিৎ রায় ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামে একটা বই লিখেছে, কারণ অবিশ্বাসের ক্যানসারে তার বিশ্বাস মরেগিয়েছিল। তারপর সেই মরা বিশ্বাস পঁচে যে ভাইরাস উৎপন্ন হয়েছিল তাই নিয়ে অভিজিৎ ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ বইটা লিখেফেলেছিল। এখন কেউ যদি বিশ্বাসের ভাইরাস না দেখতে চান তাহলে তাকে অবশ্যই অবিশ্বাসের ক্যানসার খেকে আত্মরক্ষা করতে হবে। যে ভাবেই হোক বিশ্বাসটাকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। বিশ্বাস বেঁচে থাকলে উহা পঁচবেনা , তখন ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ আর দেখতে হবেনা।
অবিশ্বাসের ক্যানসার এতটাই জঘন্য যে, আক্রান্ত হুওয়ার সাথে সাথেই লোকে আবোল-তাবোল বকতে থাকে। অল্পতে চিকিৎসা নাহলে এ সব লোক খান্নাসে পরিণত হয়। এমন দু’জন জঘন্য খান্নাস হলো, নাস্তিক আলী দস্তি ও আরজ আলী মাতুব্বর। এরপর মুক্তমনা বাংলাব্লগে আছে এক পঁচা নাস্তিক যে ভবঘুরে নাম দিয়ে লেখে। এরা সব সাক্ষাৎ শয়তান। এদের অনেক যোগ্য চেলা রয়েছে, ক্বোরআনে এদেরকেই মানুষ শয়তান বলা হয়েছে। এরা যতদিন আছে ততদিন পৃথিবীতে আসল শয়তান না হলেও চলবে।
পোষ্টে যে ছবিটি দেখছেন, এটা আসলে বিশ্বাসের প্রতিক। বাস্তবে বিশ্বাসছাড়া মানুষের জীবন অচল। অবিশ্বাসের ক্যানসার মানুষের এ চিরন্তন বিশ্বাসকে হত্যাকরে। সভ্যতার বাতাসকে বিষাক্ত করতে চায়। এবার আপনারাই বলুন, আপনারা কি অবিশ্বাসের ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেননা? নাকি এর হামলায় আপনাদের বিশ্বাসকে মরতে দিবেন? আচ্ছা বিশ্বাস না থাকলে কি দু’জন মানুষ একত্রে জীবন যাপন করতে পারে?
বিশ্বাসের কারণেই অনেক সম্মানীতা নারী সতীন কবুল করেও মহানবীকে (সঃ) বিয়ে করে তাঁর সাথে ঘর সংসার করেছেন। এ দেখে খান্নছদের কি হিংসা। ওরাতো উল্টা-পাল্টা ব্যবহার করে ওদের যন্ত্র-পাতি সব বিকল করে বসে আছে। ওদের সাথে একটানারী/পুরুষ থাকতে চায়না। এরপর তারা সমকামিতার পথ বেচে নিয়েছে। তথাপি ওদের শান্তি নেই। শান্তির যন্ত্রই যদি খারাপ হয়, তবে শান্তি হয় কেমন করে? অথচ তাদের মহাশত্রুর এত শান্তি কেমন করে সহে, তাইতো মেজাজ বিগড়ে, কি বলতে কি বলে দিশ ঠিক করতে পারেনা।
#আল্লাহর পরিস্কার প্রমাণ
সাংস্কৃতিক পরিবেশের কোন কিছু নিজে নিজে হয় নাই, হচ্ছেনা এবং হবেওনা এটা সর্বজন স্বীকৃত সত্য। তারমানে সাংস্কৃকিত পরিবেশে নিজে নিজে নাহওয়াই নিয়ম। এ নিয়ম প্রাকৃতিক পরিবেশে এসে অনিয়মে পরিণত হবে এমন কোন যুক্তি আছে কি? বিবর্তন, বীগ ব্যাং জেনেটিক্স, ট্রিং থিওরী কোয়ান্টাম মেথড এগুলো সত্য হয়ে থাকলে এগুলো নিজে নিজে হওয়ার যুক্তি কি? নিজেদের কথার স্বপক্ষে কোন যুক্তি দাঁড় করাতে না পারলে নাস্তিকদের যুক্তিবাদী হওয়ার যুক্তি কি? নিজে নিজে না হওয়ার স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী, আস্তিকদের সিদ্ধান্ত হলো, প্রাকৃতিক পরিবেশের সব কিছু সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা নিজে কিভাবে অস্তিত্ব লাভ করেছেন, এ প্রশ্নের সমাধান করতে না পারলে আস্তিকদের যুক্তির দূর্বলতা থেকে যায়। আস্তিকদের মতের স্বপক্ষে আমি একটি থিওরী বা তত্ত্ব উপস্থাপন করেছি যা সৃষ্টিকর্তার নিজে নিজে অস্তিত্বলাভ এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের সব কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন- একথা প্রমাণে যথেষ্ট। নিম্নে এ সংক্রান্ত তত্ত্ব ও প্রমাণ উপস্থাপন করা হলো।
তত্ত্বঃ নিজে নিজে শুধু এক জন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করা অসম্ভব ।
প্রমাণঃ যে নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করে তার সৃষ্টিকর্তা, সীমার্ধারক, নিয়ন্ত্রক ও বাধাপ্রদানকারী নেই। সুতরাং সে ছোট হবেনা বরং সে বড় হবে । সে ছোট হবেনা কারণ তার ছোট হওয়ার যুক্তিসংগত কোন কারণ নেই। যেহেতু অসীম > সসীম সেহেতু সে অসীম হবে। বস্তু ও সসীম শক্তি অসীম হতে পারেনা বিধায় নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করেছে অসীম শক্তি। বস্তু অসীম হতে না পারলেও বস্তু অসীম হতে গেলে বস্তু এর পরমাণু থেকে ভেঙ্গে শক্তিতে পরিণত হয়ে অসীম শক্তিতে পরিণত হতে পারে। সসীম শক্তি অসীম হতে গেলে এর সীমানা ভেঙ্গে অসীম শক্তিরূপে অসীম হতে পারে। নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের ক্ষেত্রে কোন অসীম শক্তির কোন বাধা না থাকায় সকল অসীম শক্তি নিজে নিজে অস্তিত্বলাভ করেছে। কিন্তু কোন অসীম শক্তি পরস্পর আলাদা হতে পারেনি। কারণ আলাদা করতে গেলে সীমা দিতে হয়, আর সীমা দিলে আর অসীম থাকেনা। সুতরাং মহাজাগতিক প্রথম নিয়মে নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ করতে গিয়ে সকল বস্তু ভেঙ্গে অসীম শক্তি রূপে অস্তিত্ব লাভ করেছে। সকল সসীম শক্তি সীমা হারিয়ে অসীম শক্তিরূপে অস্তিত্ব লাভ করেছে। সকল অসীমশক্তি অসীমরূপে অসীমরূপে অস্তিত্ব লাভ করেছে। পরস্পর আলাদা হতে না পেরে সকল অসীম শক্তি একত্রে মিলেমিশে একাকার হয়ে একজন সর্বশক্তিমান হয়েছেন। অসীম প্রাণ শক্তি থাকায় তিনি জড় জাতীয় কিছু হননি। তিনি অসীম হয়ে মহাজাগতিক অসীম স্থান দখল করায়, নিজে নিজে আর কিছু হওয়ার কোন স্থান অবশিষ্ট থাকেনি। আবার নিজে নিজে কোন কিছু হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অসীম বাধা হওয়ায় যেহেতু অসীমকে অতিক্রম করা যায়না , সুতরাং নিজে নিজে আর কিছুর অস্তিত্ব লাভের সুযুগ থাকলনা। সুতরাং নিজে নিজে শুধূ একজন অস্তিত্বলাভ করতে পারে, একাধীক কোন কিছুর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভ অসম্ভব।(তত্ত্ব প্রমাণীত)
সর্বশক্তিমানের অনেক নাম মানুষ দিয়েছে, মুসলমানরা তাঁকে আল্লাহ বলে। আল্লাহ নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের পর নিজে নিজে অস্তিত্ব লাভের আর কোন সুযুগ না থাকায় আল্লাহই প্রাকৃতিক জগতের সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা।(প্রমাণীত তত্ত্বে প্রমাণীত)।
আল্লাহর সৃষ্টি প্রক্রিয়াঃ মানুষের দৃষ্টিশক্তি সীমাবদ্ধ শক্তি বিধায় মানুষ সব কিছু দেখতে পায়না। তবে যন্ত্রদিয়ে মানুষ পরমাণু পর্যন্ত দেখতে পায়। পরমাণু ভেঙ্গে শক্তিতে পরিণত হলে মানুষ আর তা’দেখতে পায়না। কিন্তু অসীম দৃষ্টিশক্তির কারণে আল্লাহ শক্তিকেও দেখতে পান। তো তিনি যা বানাতে চান প্রথমে তিনি এর লিমিট বা সীমা প্রদান করেন। তারপর লিমিটে বা সীমায় প্রয়োজনীয় উপাদান যোগ করেন। এরপর তাঁর অসীম শক্তি তাড়িত করে হও বল্লে উহা হয়ে যায়। কোন শক্তি কণার সাথে কোন শক্তি কণা মিশালে কোন বস্তুর পরমাণু গঠিত হবে তা তিনি জানেন বিধায় সেভাবে তিনি পরমাণু গঠন করেন।
আমরা যে সব শক্তি উৎপাদন ও ব্যাবহার করে থাকি তার সবটাই সসীম শক্তি। আমরা এসব শক্তি উৎপাদন করতে পারলেও সৃষ্টি করতে পারিনা। আমরা শুধু রূপান্তর করতে পারি। এসব শক্তি আল্লাহর সৃষ্টি বিধায় এসবের বিনাশও আছে। তবে অসীম শক্তির বিনাশ নেই। সেই হিসেবে বিজ্ঞানের কথা ঠিক আছে।
সসীম শক্তির তাড়নায় কি হয় আমরা তা দেখি, যেমন ফ্যান ও চাকা ঘুরে। আর অসীম শক্তির তাড়নায় সৃষ্টি হয়। আমাদের অসীম শক্তি নেই বিধায় আমরা রূপান্তর করতে পারি, কিন্তু সৃষ্টি করতে পারিনা। সাহিত্যও আমাদের সৃষ্টি নয় বরং ভাষার রূপান্তর ঘটিয়ে আমরা সাহিত্য তৈরী করি। সুতরাং সৃষ্টিকর্তা শুধুই একজন। তিনি ছাড়া আর সব উৎপাদক ও তৈরী কারক।
পদার্থ এর মতো সসীম শক্তির মৌলিক ও যৌগিক অবস্থা রয়েছে। যেমনঃ বিদ্যুৎ মৌলিক শক্তি, কিন্তু অগ্নি যৌগিক শক্তি। অগ্নিতে রয়েছে দহন শক্তি, তাপ শক্তিি, আলোক শক্তি ও অগ্নি শক্তি। বৈদ্যতিক বাল্ব থেকে আলোক ও তাপ একত্রে পাওয়া যায়। চাঁদের আলোয় আলোক শক্তি পাওয়া গেলেও তাপ শক্তি পাওয়া যায়না। ইস্ত্রি ম্যাশিন থেকে শুধু তাপ শক্তি পাওয়া যায়। শুধু অগ্নি ও আলোক শক্তির যৌগ হলে দহন ও তাপ ঘটবেনা। এভাবে সসীম শক্তিতে বৈচিত্র রয়েছে। আর পদার্থ এর বৈচিত্রতো আমাদের প্রত্যক্ষ বিষয়। বিভিন্ন পদার্থ এর গ্যাসীয় রূপ ও বিভিন্ন সসীম শক্তির সহযোগে আল্লাহ নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন এবং বীগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরন ঘটিয়ে তিনি নক্ষত্রের অংশ ব্যাচ্ছেদের মাধ্যমে এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহানু পুঞ্জ ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন। তবে নক্ষত্র ব্যবচেছদে রূপায়ন,সীমা প্রদান ও অসীম শক্তি তাড়না পদ্ধতি অধিকতর সঠিক বলে মনেহয়। কারণ শক্তি তাড়না সম্পর্কীত বিষয় অধীক সহজ বোধ্য। তবে এসব সরাসরি সৃষ্টি আরো অধীক সহজ বোদ্ধ্য।
আল্লাহ মহাজগত ছয় সৃষ্টি করেছেন এর মানে এ নয় যে উহা আমাদের ছয় দিন। হাসরের মাঠের ছয় দিন হলে উহা আমাদের তিন লাখ বছরের সমান। আর যদি মহাজাগতিক ছয় দিন হয় তবে তা আমাদের কত বছরের সমান সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। বিজ্ঞান এ ব্যাপারে ধারণা ছাড়া যথাযথ প্রমাণ এখনো উপস্থাপন করতে পারেনি।
বিঃদ্রঃ ক্রমাম্বয়ে আরো তথ্য ও তত্ত্ব যোগ করা হবে - ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬