কথায় বলে গরীবেরে কেউ ভালবাসেনা। যাদের পোষ্ট সামুর দৃষ্টিতে মানগত দৈন্যতায় ভুগছে, তাদের পোষ্ট পাঠকের পাঠের জন্য উত্থাপিত হয়না। এসব ব্লগার ব্লগে অবহেলিত হিসেবে বিবেচিত। তারা যদি চায় তাদের পোষ্ট কেউ পড়ুক। তাহলে তারা যা করতে পারে-
(১) অন্য ব্লগারদের পোষ্টে গিয়ে মনমুগ্ধকর মন্তব্য প্রদান করুন। এতে কৌতুহল বশত তারা আপনার ব্লগে বেড়াতে আসবেন। সেই সুবাদে তারা আপনার পোষ্ট পড়বেন, এমনকি তারা আপনার পোষ্টে মন্তব্য করারও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে
(২) চাঁদগাজী, ডঃ এম এ আলী, নাঈম জাহাঙ্গীর, সাদামনের মানুষ, প্রমানিক, নতুন নকিব,ওমেরা এসকল ব্লগারের ব্লগে মন্তব্য করে ভাল ফল পেতে পারেন। এমনকি এরা আপনার পোষ্টে আপনার ভাললাগার মতো মন্তব্য করতে পারেন।
(৩) নিজের কিছু পরিচিত জনকে ব্লগার বানান। তাহলে ভালবাসার কারনে তারা আপনার পোষ্ট পড়তে পারে এবং মন্তব্য করতে পারে।
(৪) জনাব চাঁদগাজী বলেছেনঃ- যাঁদের পোস্টে পাঠক কম, তাঁদেরকে লেখার মান বাড়ানোর চেস্টা করতে হবে; ফলাফল হবে খুবই ভালো
(৫) জনাব কলাবাগান১ বলেছেনঃ- 'বিতর্কিত' কাজ করুন তাতেও আপনি নজরে আসবেন। উপরে মন্তব্য করা একজন ব্লগার কে কখনই নোটিশ করি নাই। উনি যখন প্যারিসে জংগী হামলা কে সমর্থন করে একজন পোস্ট দিলেন আর উনি সেই পোস্টে সহমত জানিয়ে এলেন, সেদিন থেকে ই লক্ষ্য রাখি উনি কোথায় কি পোস্ট করেন আর কি কমেন্ট করেন।
(৬) অনুচ্ছেদ নং ৫ অনুযায়ী মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সাবধান। 'বিতর্কিত' পোষ্ট করা ও তাতে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।
(৭) পোষ্ট সংখ্যা বাড়ানোর জন্য গড়পড়তা পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
(৮) সাদামনের মানুষ বলেছেনঃ- জনাব চাঁদগাজী বলেছেনঃ- যাঁদের পোস্টে পাঠক কম, তাঁদেরকে লেখার মান বাড়ানোর চেস্টা করতে হবে; ফলাফল হবে খুবই ভালো। .........নিজের ব্লগ হিট করতে হলে অন্যের পোষ্টে মন্তব্য বাড়ানোই সব থেকে ভালো উপায় বলে আমি মনে করি।
(৯) অসমাপ্ত কাব্য ২১ বলেছেনঃ- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুস্মরণ করে শুভ লগ্ন দেখে পোস্ট করা যেতে পারে !
এছাড়া মেধা-বুদ্ধি-প্রভাব বৃদ্ধির জন্য জ্যোতিষিদের পরামর্শ নিয়ে আংটি পাথর, ধাতু কিংবা তাবিজ ব্যবহার করলে নিঃশ্চিত সুফল পেতে পারেন কথাটার বৈজ্ঞানীক ভিত্তি না থাকলেও আপনি যদি মনে করেন এতে করে আপনি সাফল্য পেতে যাচ্ছেন, তবে এটা আপনার কাজের গতি বাড়িয়ে দেবে
(১০) হাতুড়ে লেখক বলেছেনঃ- ব্লগার শব্দটা উচ্চারণ করেও আপনি হিট হওয়ার সুযোগ রাখেন। কথাটা অমূলক নয়। কথাটা উচ্চারণের মাধ্যমে বিষয়টা আপনার মাথায় থাকবে। আপনি এটা ভুলে যাবেন না। এতে করে এ সংক্রান্ত ভুল-ত্রুটি কম হবে। এ জন্যই মহান আল্লাহ, ‘আল্লাহ’ শব্দের বেশী জিকির করতে বলেছেন এবং বলেছেন এতে সাফল্য আসবে। কাজেই যে বিষয়ে আপনি সাফল্য লাভ করতে চান সে বিষয়ের বেশী বেশী জিকির বা উচ্চারণ সে বিষয়ে সাফল্য লাভের চাবী কাঠি হতে পারে। সংগত কারণে পীর সাহেবগন জিকির বা উচ্চারণকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
(১১) জনাব বিলিয়ার রহমান বলেছেনঃ- ব্লগে হিট হতে হলে তেমন কিছু করার দরকার নাই! কেবল নিজের লেখা নিজেই পাঠ করুন! দেখবেন এতেই আপনার লেখা আলোচিত ব্লগের সর্বাধিক পাঠিততে স্থান করে নিয়েছে! বিষয়টা কষ্টকর হলেও, নিজের লেখা নিজে পাঠ করে যদি সেটা সর্বাধীক পঠীত হিসেবে আলোচীত পাতায় আনা যায়। তখন তা’ অন্যরাও পড়বে।
(১২) কথাকথিবেথিকথন বলেছেনঃ তবে আরেকটা ত্বরিকা হলো, গুণী ব্লগারদের ( ভুলেও এদের মধ্যে কমেন্টে এবং আড্ডায় একটিভদের বাধ দেয়া যাবে না) গুণগান গেয়ে কিছুদিন পরপর বা পর্ব আকারে কিছু পোস্ট করুন ( আবার বেশি মিষ্টি করে ফেইলেন না, কারো ডায়াবেটিসের সমস্যা যেন না হয়, পরে দেখা গেল ডায়াবেটিস হলো উনাদের কিন্তু ইনসুলিন নিতে হচ্ছে আপনাকে ! তাই একটু একটু টক জাল মিষ্টি স্বাদের করবেন)। হজমে সমস্যা না থাকলে অতি শীঘ্রই হিট হয়ে যাবেন। গ্র্যান্টেড !! যতাযথ কথন। গুনীজনদের ভক্তকূল তাদের নিয়ে লেখা বেশ পছন্দ করেন এবং পড়েন। যদিও তাদের শত্রুকূল এটা পছন্দ করে না। যেহেতু ব্লগের সব লোক আপনার লেখা কখনই পড়বে না। কাজেই গুনীজনদের ভক্তকূলের জন্য এমন পোষ্ট দেওয়া যেতে পারে। তা’ছাড়া এতে উৎসাহিত হয়ে গুনী যদি আরো গুনী হয় বা গুনীর সমাদর দেখে যার গুন নেই সেও গুনী হতে চেষ্টা করে তবে এটা পৃথিবী বাসীর জন্য মঙ্গল জনক
(১৩) সামুর একটিভ ব্লগার এখন দশহাজার। সবার পোষ্ট যদি প্রথম পাতায় উঠে তবে কার পোষ্ট কতক্ষণ প্রথম পাতায় থাকবে? এ জন্য সামু নতুন পুরাতন মিলে কিছু সংখ্যককে প্রথম পাতায় রাখে। যাতে ব্লগের বৈচিত্র বজায় থাকে। যদিও আমাদের অনেকে সে কথাটি বুঝে না। কাজেই প্রথম পাতায় উঠা যায় ভাল লেখক হলে। আর টিকে থাকা যায় খুব ভাল লেখক হলে। মাঝারি মানের লেখকরা প্রথম পাতায় থাকতে পারে না। আর যাদের লেখায় এখনো ঘাটতি আছে তারা প্রথম পাতায় উঠতে পারে না। আর সেটা অবশ্যই সামুর দৃষ্টিতে। এখন কারো লেখাকে সে নিজে অথবা পাড়ার পাঁচ জন ভাল বল্লে কোন লাভ নেই। তাহলে প্রশাসকের মতের কি গুরুত্ব থাকে? আর তিন দিনের ব্যাপার হলো এর মধ্যে আপনাকে খুব ভাল পোষ্ট দিতে হবে। গোড়ায় গলদ হলে তো গোড়াতেই পড়ে থাকতে হবে। সুতরাং গাইড মেনে চলুন। ফল কিছুনা কিছু তো আসবেই- ইনশাআল্লাহ।
(১৪) জনাব কালীদাস বলেছেনঃ- সেফ হতে দেরি হয় কেন একজনের ব্লগারের সেটা বলতে পারি। অনর্থক এবং হাজারও নিত্যনতুন উপমার সাহায্যে ইনডাইরেক্টলি অন্যান্য ব্লগার এবং মডারেটরদের খোঁচাখুঁচি না করলে দ্রুত সেফ হওয়া যায়।
(১৫) জনাব লিটন বলেছেনঃ- আমার প্রথম পোস্টে প্রথম মন্তব্য এসেছিল এক বছর পর। পড়ার জন্যই মুলত ব্লগে এসেছিলাম তাই ওসব নিয়ে মাথা ঘামাই নি।
অথচ এবার তাঁর দু’টি বই প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং হতাশা নিরর্থক বিষয়।
বিঃদ্রঃ যারা গরীব দরদী তারা মন্তব্যে উপযুক্ত পরামর্শ প্রদান করলে আমরা পোষ্ট এডিট করে তা তাঁর নাম সহ গাইডের অন্তর্ভুক্ত করব- ইনশাআল্লাহ। বেচারা ব্লগারদের সহায়তায় বিদগ্ধজন এগিয়ে আসলে আশাকরা যায়, তাদের বেজার মুখে হাসি ফুটলেও ফুটতে পারে। সবার জন্য শুভ কামনা।
- দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন জেনারেল ব্লগার।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭