এবারের সংগ্রাম
আমাদের স্বাধীণতার সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম
মুক্তির সংগ্রম
আর যদি একটি গুলি চলে
আর যদি এক জন বাঙ্গালীকে হত্যা করা হয়
তবে মনে রাখবা-
রক্ত যখন দিয়েছি, তবে রক্ত আরো দেব
তবু এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব – ইনশাআল্লাহ।
কবি পরিচিতিঃ
কবি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গি পাড়ায়, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ মৃত্যু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট। শৈশবে তাঁর নাম ছিল খোকা। তিনি দূরন্ত এবং গরীব দরদী ছিলেন। পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন আদালতের সেরেস্তা। মা সারাহ খাতুন গৃহিনী ছিলেন। কবি কন্যা সুসাহিত্যিক শেখ হাসিনার লেখা থেকে জানা যায়, কবির ভাবনায় সব সময় বিরাজ করতো দেশ এবং জাতি। সে জন্য তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে যান এবং অনেক জেল জুলুম ভোগ করেছেন। তাঁর সাথে তাঁর প্রিয়তমা ফজিলতুনন্নেছা মুজিব ও সন্তানেরা বহু কষ্ট ভোগ করে। কবি তার এ ভূবন জয়ী কবিতা ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দশ লক্ষ লোকের সামনে আবৃত করেন। যাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নয় মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
কবির দু’টি খেতাব রয়েছে, বঙ্গবন্ধু ও জাতির জনক। বাস্তবে বাংলাদেশী নামে কোন জাতি আগে কখনো ছিলনা। কবির মাধ্যমে এ জাতির উদ্ভব ঘটে বিধায় এটা অস্বীকারের সুযুগ নেই। আমার মতে এ কবিতা বাংলার সেরা কবিতা। সরকারে প্রতি বিনীত অনুরোধ মরনোত্তর হলেও কবিকে এ কবিতার জন্য একটা জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হোক। তাঁর সম্পর্কে এবজন কবি বলেছেন- যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা গৌরি বহমান – তত দিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
বিঃদ্র: আমি শুধু কবি কণ্ঠে একজন কবির কবিতার আবৃতি শুনেছি। কবিতাও বেশ। তো আমি যদি কবি শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত হই তবে আমাকে তাঁর দালাল কেন বলা হবে? অন্যদের ভক্ত হওয়ার ক্ষেত্রেতো দালাল বলা হয়না! আমার মনে হয় আমাদের দেশে কিছু নোংরা মানসিকতার লোক বাস করে। যাদের মানসিক রোগের চিকিৎসা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৫