যে সব এলাকায় সাধারণত একই দিনে চাঁদ উঠে সে সব এলাকায় সাধারণত একই দিনে আরবী মাস শুরু বা শেষ হয়। সে সব এলাকার কোন এলাকায় কোন কারণ বশত চাঁদ দেখা না গেলেও সে সব এলাকায় একই দিনে আরবী মাস শুরু বা শেষ হয়। কিন্তু কোন দুই এলাকা যদি এমন হয় যে, কোন দিনই সে দুই এলাকায় একই দিনে চাঁদ দেখা যায় না তবে সেই দুই এলাকায় কোন দিনই এক সঙ্গে আরবী মাস শুরু বা শেষ হয়না। এমন দুই এলাকার এক এলাকায় একই সময় যখন রমজান অন্য এলাকায় সেই সময় শা’বান।
আল্লাহ রোজা ফরজ করেছেন রমজানে শা’বানে নয়। সুতরাং যে এলাকায় শা’বান সেই এলাকার রোজা পালনকারী মূলত নফল রোজা পালনকারী। আবার তারা যদি রমজানে ঈদ করে তবে তারা ফরজ রোজা ভঙ্গকারী।যেমন, সৌদি আরবে যখন রমজান তখনও বাংলাদেশে শা’বান, সৌদি আরবে যখন শাওয়াল তখনও বাংলাদেশে রমজান। সুতরাং সৌদি আরবের সাথে মিলিয়ে রোজা ও ঈদ করলে সরাসরি আল্লাহর হুকুম তরক করা হবে। কারণ আল্লাহ ফরজ রোজা রাখতে বলেছেন রমজানে শা’বানে নয়। আবার ঈদ করতে বলেছেন শাওয়ালে রমজানে নয়।সৌদি আরবের সাথে মিলাতে গিয়ে সৌদি আরবের জনগনের ক্ষতি হচ্ছেনা, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশী ফাজিলদের।
ক্বোরআন খেলাফী হাদীস, হাদীস হতে পারে না। এমন কোন হাদীস যদি থাকে তবে তার শুদ্ধতা যাচাই করা দরকার।
যে রাষ্ট্রের সব এলাকায় একই দিনে চাঁদ উঠে সে রাষ্ট্রের সব এলাকায় একই দিনে রোজা ও ঈদ করাতে কোন ক্ষতি নেই। মহানবীর (সঃ)সময় রাষ্ট্র সে রকম ছিল। এখনও রাষ্ট্র এমন আছে কিনা যাতে একই সময় দুই তারিখ বিদ্যমান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। যদি এমন থাকে তবে তাতে মহানবীর (সঃ) রাষ্ট্রের বিধি কার্যকর হবেনা, কারণ মহানবীর (সঃ) রাষ্ট্র আর এ রাষ্ট্র এক রকম নয়। আর ইসলাম উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো জাতীয় কিছু নয়। কোন জিনিসের সাথে কোন জিনিসের মিল করতে হলে জিনিস দু’টি এক রকম বা কাছাকাছি রকম হতে হয়। কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত হলে সেই রকম জিনিস এক রকম ভাবা সুস্থ্য মস্তিষ্কের কাজ নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬