মুসলমানদের মধ্যে একদল নাজাত প্রাপ্ত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদল সমূহের মধ্য হতে যারা, ‘মান আহাব্বা লিল্লাহি ওয়া আবগাদা লিল্লাহি ওয়া আ’ত্বা লিল্লাহি ওয়া মানায়া লিল্লাহি ফাক্বাদিস তাকমালাল ঈমান-যে আল্লাহর জন্য ভালবাসলো, আল্লাহর জন্য কারো উপর রাগহলো, আল্লাহর জন্য কাউকে দান করলো এবং আল্লাহর জন্য কাউকে দানকরতে বারণ করলো, সে তার ঈমানকে পরিপূর্ণ করলো’ এ হাদীসের সূত্রে পড়বে, মউত কালে আল্লাহ তাদের জবানে জারি করে দিবেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ (সঃ)’ এবং এরাও নাজাত প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু নাজাত প্রাপ্ত দলের যারা এ হাদীস সূত্রে পড়বেনা, মউত কালে আল্লাহ তাদের আকিদা খারাপ করে দিবেন, তারা ঈমান নিয়ে মরতে পারবেনা এবং তারা নাজাতও পাবেনা। কারণ আল্লাহ তাঁর সত্যবাদী নবীকে (সঃ) সত্যবাদী সাব্যস্ত রাখতে এটা করবেন।
আর নাজাত প্রাপ্ত দল হলো হানাফী। কারণ এ দলটিকে শুধুমাত্র ক্বোরআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করা যায়। এ দল ছাড়া অন্য কোন দলকে ক্বোআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করা যায় না। কারণ মুসলমানরা প্রথমে হানফী ছিল। এরপর যতদল হয়েছে তার কোন দলে সব মুসলমান যায়নি। সুতরাং পরে হওয়া দল সমূহ ফিতনা তৈরী করেছে। তারমানে সেগুলো মুসলমানদের দল সংখ্যা বাড়ানোর জন্য দায়ী। অথচ মুসলমানদের একদল থাকার কথা। কাজেই যারা দলের সংখ্যা বাড়িয়েছে তারাতো সুস্পষ্ট ফিতনা।আর ফিতনা কখনো সঠিক হতে পারে না। তাছাড়া হানাফী মতের শুদ্ধতা অনুমোদন করেছেন চল্লিশ সদস্য বিশিষ্ট তাবে তাবেঈ (রঃ) বিশিষ্ট ইমাম পরিষদ, যা অন্য সকল দলের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। এমনকি ছিয়া ছিত্তাও এমন কোন ইমাম পরিষদ কর্তৃক অনুমোদীত হয়নি। তা’ছাড়া হানাফী মতের জন্য হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে হাদীসের দ্বিতীয় রাবী তাবেঈনে কেরাম (রঃ) থেকে, আর ছিয়াছিত্তার হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে পঞ্চম রাবী থেকে। দ্বিতীয় রাবী যে হাদীস গ্রহণ করেননি পঞ্চম রাবীর সে হাদীস হয় জাল নয়তো মানসুখ যা আমল যোগ্য নয়। আর ছিয়াছিত্তার ইমামগন পঞ্চম রাবীর হাদীস ছহী বলেছেন রাবীর বাহির দেখে ভিতর দেখে নয়। সে জন্য হানাফী মতের সাথে গরমিল কোন মতকে হানাফী মত থেকে কোনভাবেই শুদ্ধ বলা যায় না। সংগত কারণে মোট মুসলমানের দুই তৃতীয়াশের অধীক মুসলামান এ মতের অনুসারী। আর বাংলাদেশের শতকরা নিরানব্বই জন মুসলমান এ মতের অনুসারী। হাদীসে মক্কা মদীনার আলেমদের অধীক গুরুত্ব প্রদান করা হয় আর হজরত আলী(রাঃ) হানাফী মতের কেন্দ্র কূফায় তাদের নিয়ে এসে ছিলেন। এ ভাবে শুদ্ধতার সকল প্রমাণ হানাফী মতের অনুকূলে। মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলেছেন আর সে ক্ষেত্রে হানাফী মতে দ্বিতীয় রাবীর অধীক বিশুদ্ধ হাদীস গ্রহণ করা হয়েছে। আর ছিয়াছিত্তার হাদীস হলো তার থেকে কম বিশুদ্ধ পঞ্চম রাবীর হাদীস। আর এসব হাদীস গ্রন্থের যে সব হাদীস হানাফী মতের সাথে গরমিল সেগুলো মূলত মানসুখ হাদীস যা আমলযোগ্য নয়। সুতরাং ফিতনাবাজ আহলে হাদীসদের ডাকে সাড়া দেওয়ার সংগত কোন কারণ নেই। আমি আমার এ বকক্তব্যের অনুকুলে ক্বোরআন ও হাদীস থেকে অন্তত দুই হাজার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারি-ইনশাআল্লাহ এবং আমি বহু প্রমাণ এর মধ্যে আমার বিভিন্ন পোষ্টে উপস্থাপন করেছি। যারা পাননি তারা আমার টাইম লাইন ও ব্লগে ঢু মারতে পারেন।আর কেউ যদি এটা তালাসের দরকার মনে না করেন তবে তাতেও আমার কোন আপপ্তি নেই। কারণ তার কবরে আমাকে যেতে হবে না। আমার কাজ হলো যা জানব তা জানিয়ে দেব। সত্য গোপন করব না। তারপর হেদায়েতের মালিক আল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন-আমিন।
বিঃদ্রঃ অন্য ধর্ম ও মতের যারা ভাল কাজ করবে তারা নাজাত না পেলেও তাদের ভালকাজের পরিমাণ অনুযায়ী শাস্তির মাত্রা কম হবে।অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমি হানাফী মতের পক্ষে ক্যানভাস করি। তো আমি সেই মতের লোক আমি ক্যানভাস করব কোন মতের পক্ষে? মানুষগুলো কেন এমন বেকুব হয়, বুঝা মুশকিল।আর দল সমূহের মধ্যে তাবলীগ, হক্কানী পীর ও দেওবন্দীদের যথেষ্ট পছন্দ করি। এরা নিজেরা গুতাগুতি করুক তা’নিয়ে আমার আপত্তি নেই। গরু খেতে খেতে মুসলমানদের মাঝে গরুর সভাব এসে গেছে। এরা গুতাগুতি ছাড়া শান্তি পায় না।
চার মাজহাবের ক্ষেত্রে আমার মত হলো সব মাজহাব সঠিক। তবে আমারটা বেশী সঠিক। নতুবা আমি এটা মানি কেন? আর কারণটা পোষ্টে বলা আছে।
যে কিয়াছ বা অনুমানের ক্বোরআন ও হাদীসের ভিত্তি থাকলে তাকে কিয়াছ বা অনুমান বলে। আর যে কিয়াছ বা অনুমানের ক্বোরআন ও হাদীসের ভিত্তি থাকেনা তাকে যন্নুন বা মনগড়া ধারনা বলে। অনুমান জায়েজ আর ধারনা কবিরা গুনাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৬