somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলমানের পরকাল বিশ্বাস কতটা সঠিক?

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মুসলমান সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন,“ওয়াবিল আখিরাতি হুম ইউকিনুন- আর আখিরাতির বা পরকালের উপর তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস রয়েছে”। কারণ যাঁদের কাছ থেকে তারা পরকাল সংক্রান্ত কথা পেয়েছে সেই আল্লাহ ও মহানবির (সা.) সঠিকতা বিষয়ে তাদের নিশ্চিত বিশ্বাস রয়েছে। তাঁদের কথায় সন্দেহ করার মত কোন বিষয় তারা খুঁজে পায়নি।কিন্তু অনেকে আল্লাহ ও মহানবির (সা.) কথায় সন্দেহ পোষন করেছে। তাদের সন্দেহের কারণ হিসেবে তারা কিছু কথা বলেছে যদিও তাদের সে সব কথা তাদের সন্দেহকে সঠিক প্রমাণ করেনা।

আল্লাহ এবং মহানবির (সা.) কথায় অনেকের দৃঢ় বিশ্বাসের কারণ তাদের এ সংক্রান্ত কিছু চমৎকার জ্ঞান। যা তারা খেটেখুটে অর্জন করেছে। কিন্তু অনেকের আল্লাহ এবং মহানবির (সা.) কথায় বিশ্বাস নেই। যাদের বিশ্বাস নেই তাদের সে বিশ্বাস সংক্রান্ত জ্ঞান নেই।না থাকার কারণ তারা সে বিশ্বাস সংক্রান্ত জ্ঞান লাভের কোন চেষ্টা করেনি বিধায় আল্লাহ তাদেরকে সে বিশ্বাস সংক্রান্ত জ্ঞান প্রদান করেননি।সংগত কারণে এ বিশ্বাস সংক্রান্ত অজ্ঞতা ও এর জন্য তাদের বিপদে পড়ার দায় তাদের নিজেদের ছাড়া অন্য কারো নয়।

পরকাল থাকতে হলে যিনি পরকালের ব্যবস্থাপক সে আল্লাহর থাকতে হয়। আল্লাহ আছেন সেটা বুঝা যায় তাঁর সৃষ্টি দেখে।আল্লাহ বলেছেন, তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। আর অন্যেরা তাঁর সৃষ্টি ব্যবহার করে তৈরী করে। যেমন মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি মাথা ব্যবহার করে যা সৃষ্টি করে তা’ আল্লাহর সৃষ্টির সৃষ্টি হিসেবে সাব্যস্ত হবে।মানুষ এ সবের একক স্রষ্টা নয়। সংগত কারণে একক স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহ সব সৃষ্টি করেছেন এটা মুসলমানের নিকট সাব্যস্ত। যদিও এটা অনেকে স্বীকার করেনা। কারণ আল্লাহ আছেন তারা মোটে এটাই স্বীকার করেনা।

আল্লাহ না থাকলে সব কিছু কিভাবে হলো? এ প্রশ্নের জবাবে যারা আল্লাহকে স্বীকার করেনা তারা বলে এগুলো এমনি এমনি হয়েছে। এসব বিষয়ে যখন যারা আল্লাহকে স্বীকার করে তারা কিছু জটিলতার ইঙ্গিত করে তখন আল্লাহকে অস্বীকারকারিরা বলে তাহলে আল্লাহ হলেন কেমন করে? তখন জবাবে যারা আল্লাহকে স্বীকার করে তারা বলে, আল্লাহ নিজে নিজে হয়েছেন।আল্লাহকে অস্বীকারকারিরা তখন বলে আল্লাহ নিজে নিজে হতে পারলে সব কিছু নিজে নিজে হতে পারবেনা কেন? জবাবে যারা আল্লাহকে স্বীকার করে তারা বলে, নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা শুধু আল্লাহর আছে তিনি ছাড়া এ যোগ্যতা আর কারো নেই। যোগ্যতার কারণে আল্লাহ যা পারেন অন্যরা তা’ পারেনা।আল্লাহকে অস্বীকারকারিরা বলে, নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা আল্লাহর আছে অন্যদের নেই কেন? যারা আল্লাহকে স্বীকার করে তারা বলে, কারণ আল্লাহ আর অন্য সবাই এক নয়। আল্লাহ হলেন অসীম সর্ব শক্তিমান। আর অন্যরা হলো পদার্থ ও সসীম শক্তি। নিজে নিজে হওয়ার মত যত শক্তির প্রয়োজন সব শক্তি আল্লাহর থাকায় তিনি নিজে নিজে হতে পেরেছেন। পদার্থ ও সসীম শক্তির মধ্যে এমন সকল শক্তি না থাকায় তারা নিজে নিজে হতে পারেনি। আর আল্লাহ একমাত্র অসীম আর অন্যরা সসীম উভয়ের মাঝে যোগ্যতায় যথেষ্ট ফারাক রয়েছে। আর একটু খোলাসা করে বললে বলতে হয় নিজে নিজে যে হয় সে অসীম হয়। অসীম শুধু একজন হয়। সে একজন আল্লাহ বিধায় নিজে নিজে আল্লাহ ছাড়া কেউ হয়না বা হতে পারেনা।

অসীম এবং সসীম। সসীমে পদার্থ ও শক্তি উভয় রয়েছে। কিন্তু অসীমে রয়েছে শুধুই শক্তি। তাতে পদার্থ আছে তবে তা’শক্তি রূপে। পদার্থ রূপে নয়। অসীমে সব পদার্থ ও সব শক্তি রয়েছে অসীম শক্তিরূপে। সংগত কারণে অসীম নিরভাব। তারমানে অসীমে কোন কিছুর অভাব নেই। সংগত কারণে অসীমের নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতার অভাব নেই। সসীমে অভাব থাকাই সংগত। কারণ তার সীমার বাইরে যা থাকার কথা তা’ তাতে পাওয়া যাবে কেমন করে? সংগত কারণে সসীমে নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা না থাকা সংগত।

যে নিজে নিজে হয় তাকে হতে কেউ বাধা দেয়না।বাধা দিলে আর নিজে নিজে হয় কেমন করে? বাধামুক্ত অবস্থায় নিজে নিজে কেউ হলে সে ছোট হবেনা বরং বড় হবে।বড় হতে পারলে সে ছোট হবে কেন? ছোটতো কেউ হতে চায়না বরং সবাই বড় হতে চায়। সংগত কারণে ইচ্ছা যখন বড় হওয়ার, ক্ষমতা যখন বড় হওয়ার, সুতরাং যে নিজে নিজে হবে সে বড় হবে। সসীম ও অসীমের মাঝে বড় হলো অসীম। কাজেই যে নিজে নিজে হবে সে অসীম হবে। সংগত কারণে কোন সসীম নিজে নিজে হয়নি বলে সাব্যস্ত হবে। কাজেই সসীমের সৃষ্টিকর্তা থাকা অনিবার্যভাবে সাব্যস্ত হবে। আর কোনভাবেই বলা যাবেনা যে সসীমের সৃষ্টিকর্তা নেই। সংগত কারণে পদার্থ ও সসীম শক্তি নিজে নিজে হয়নি। সংগত কারণে নিজে নিজে হয়েছেন অসীম সর্বশক্তিমান। অসীম একাধিক হতে পারেনা। কারণ একাধিক করতে হলে অসীমে সীমা দিতে হবে। সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকেনা সসীম হয়ে যায়। সংগত কারণে অসীম একাধীক নয়। অসীম শুধুই একজন। তারমানে অসীম সর্বশক্তিমান শুধুই একজন। মুসলমানরা তাঁকে আল্লাহ বলে।প্রকৃতি বিজ্ঞান অনুযায়ী শুধুমাত্র তিনি নিজে নিজে হয়েছেন আর সব তাঁর সৃষ্টি। যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে বিবর্তনবাদ, বিগ ব্যাংগ, কোয়ান্টাম মেথড, জেনেটিক্স, স্ট্রিং থিওরী সব আল্লাহর কাজের অংশ। কাজেই এসব দিয়ে আল্লাহকে অস্বীকারের প্রচেষ্টা বৃথা। এগুলোকে সঠিক প্রমাণ করতে পারলে এগুলো আল্লাহর কাজ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। এগুলো আল্লাহর কাজ নয় এটা প্রমাণ করার কোন উপায় নেই। আর এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

আল্লাহ নিজে নিজে হয়েছেন আর সব তিনি সৃষ্টি করেছেন, এ সরল সত্য অস্বীকারের পথ না থাকায় মানুষ এখন এটা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। এখন তাদের কেউ কেউ বলছে আল্লাহ তাঁর কাজ নিয়ে যেমন ব্যস্ত থাকার কথা তাতে তাঁর কোন মানুষের সাথে কথা বলার কথা নয়।কাজেই আল্লাহর বাণী হিসেবে যে কোরআন প্রচার করা হচ্ছে, তা’ আসলে আল্লাহর বাণী নয়, এটা মোহাম্মদ (সা.) ও তাঁর লোকেরা বানিয়ে আল্লাহর বাণী হিসেবে প্রচার করছে। আর যারা কোরআনকে আল্লাহর বাণী মানছে তাদের এ মানার ক্ষেত্রে বিবিধ কারণ রয়েছে তার মধ্যে একটি কারণ হলো তারা মোহাম্মদের (সা.) আল্লাহর নামে মিথ্যা প্রচারের কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেনা। তাঁর যদি নেতা হওয়ার সখ হয়ে থাকে তবে এর জন্য এছাড়াও অনেক পথ রয়েছে। বিশেষ করে শুধু শুধু দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও রমজানে ত্রিশ রোজা রাখা খুব কষ্টকর ব্যপার। অন্যরা না হয় মোহাম্মদের (সা.) কথায় ভুল করতে পারে। কিন্তু মোহাম্মদ (সা.) অবশ্যই শুদ্ধটা জানেন। তো তিনি সহজ পথ ছেড়ে কঠিন পথে কেন হাঁটবেন? সহজ পথে সহজেইতো অনেক বড় নেতা হওয়া যায়। তিনি তাঁর হিলফুল ফুজুলের মাধ্যমেই মক্কার রাজা হতে পারতেন। এক্ষেত্রে তাঁকে এতটা বাধার সম্মুক্ষিন হতে হতোনা। এক ঝটকায় তিনি হয়ে যেতে পারতেন সকলের নেতা ও রাজা। আর তাঁর সাংগঠনিক যোগ্যতা বলে এর দ্বারা তিনি সহজে সম্রাটও হতে পারতেন।

ঈশ্বরের বাণী হিসেবে অন্য যে গ্রন্থ প্রচার করা হচ্ছে তা’ কেন ঈশ্বরের বাণী নয়? তা’ ঈশ্বরের বাণী নয় তা’ কিন্তু মোহাম্মদ (সা.) বলছেন না। মোহাম্মদ (সা.) বলছেন, সে সব গ্রন্থে মানুষের কথা যুক্ত হয়েছে। সেই সাথে সে সব গ্রন্থে ভুল যুক্ত হয়েছে। আর সে সব গ্রন্থ পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান নয়। বিধায় সর্বশেষ গ্রন্থ হিসেবে আল্লাহ কোরআন পাঠিয়েছেন। সেই সাথে আগের সব কিতাব বাতিল করা হয়েছে। সে সব গ্রন্থ পরখ করে মোহাম্মদের (সা.) কথার সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে বলছে এতকাল পরে কোরআনেও ভুল যুক্ত হতে পারে। কিন্তু অন্যগ্রন্থ ও কোরআনের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। কারণ সেকাল থেকে এ কাল পর্যন্ত হাফেজে কোরআন রয়েছে। যাতে করে লেখা কোরআনে কেউ ভুল যুক্ত করতে গেলেই সেটা ধরা পড়ে যাচ্ছে। আর পৃথিবীর সব হাফেজে কোরআন একত্র হয়ে কোরআনে ভুল যুক্ত করারও কোন উপায় নেই। কারণ কোন অবস্থাতেই সব হাফেজে কোরআন একত্র হওয়া সম্ভব নয়।আর এত লোক একত্র হয়ে কিছু করতে গেলে তাদের ধরা না পড়ার কোন কারণ নেই। সংগত কারণে কোরআন যেমন এসেছে সেরকমই আছে। কোন কিছু যুক্ত হয়ে কোরআনকে ভুলের তালিকায় ফেলতে পারেনি। কোরআনের কিছু আয়াত বা এর হুকুম মানসুখ বা রহিত হওয়ার ঘটনাও সেকালেই ঘটেছে। যা সবাই জানে। কাজেই কারো অগোচরে কোরআনে কিছু যুক্ত হয়নি আর এর থেকে কিছু বাদ পড়েনি। অন্য গ্রন্থগুলোর ক্ষেত্রে এ অবস্থা বিদ্যমান নেই। বিধায় সে সব গ্রন্থে ভুল যুক্ত হওয়া, এর কোন কিছুর বাদ পড়ার সুযোগ ছিল। সংগত কারণে কোরআন আল্লাহর বাণী হয়ে থাকলে এটা আল্লাহর বাণী হিসেবে বজায় থাকাও সংগত। অন্যগ্রন্থের এমন যোগ্যতা নেই। এমন কি মোহাম্মদের (সা.) হাদিসেরও সে যোগ্যতা নেই। কারণ কোরআনের মত সব হাদিস গ্রন্থাকারে কেউ মুখস্ত করেনি। সে জন্য এক হাফেজে হাদিসের কাছে যখন অন্য হাফেজে হাদিস কোন হাদিস উপস্থাপন করেছেন যা তিনি জানতেন না তা’ হাদিস নয় বলে তিনি অস্বীকার করতে পারেননি। তিনি কিভাবে অস্বীকার করবেন? তাঁর তো সব হাদিস মুখস্ত ছিলনা। তিনি কি করে বলবেন তাঁর মুখস্তের বাইরে বলা হাদিস হাদিস নয়? অনেকে হাদিসের সঠিকতা নিরূপনে তাদের মনগড়া কিছু পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে যা সঠিক নয়। যেমন কেউ মিথ্যা বললে তার হাদিস গ্রহণ করা হতো না। অথচ কেউ একটা কথা মিথ্যা বললেও সব কথা মিথ্যা বলে না। আর এভাবে হাদিস তালিকা থেকে অনেক হাদিস কাটা পড়েছে। পরে সে কথাকেই অনেকে বলছে এটা হাদিসে নেই। সংগত কারণে অবিকল সঠিক থাকা একমাত্র গ্রন্থ আল-কোরআন। এ ছাড়া অবিকল সঠিক থাকা আর কোন গ্রন্থ্য নেই। কোরআন ছাড়া সে সব গ্রন্থ্যকে যতই সহিহ বলা হোক তা কেবল কথার কথা হিসেবে বিবেচিত হবে। তাহলে হাদিস মানা হবে কিভাবে? হাদিস মানা হবে যদি হাদিসের সাথে কোরআনের অসংগতি না থাকে। অসংগতি থাকলে হাদিস জানা হলেও মানা হবেনা। সে জন্য ফিকাহ এর বিজ্ঞ ইমামগণ যে সব হাদিসের আমল করেননি সে সব হাদিসের আমল করা বেদরকারী। এটা হাদিস এটা হাদিস বলে চিৎপাত করার দরকার নেই। কারণ যেসব হাদিসকে হাদিস দাবী করা হচ্ছে সেসব হাদিসের হাদিস হওয়ার মত সংগত কোন প্রমাণ নেই। যেমন সঠিক হওয়ার প্রমাণ নেই অন্য ঐশ্বরিক দাবী করা গ্রন্থ সমূহের। আরো পরিস্কার করে বলি, হাদিস মানা হবে মূলত ফিকাহ এর বিজ্ঞ ইমামের ফতোয়া অনুযয়ী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইমামের ফতোয়া মানতে কি মাহনবি (সা.) বলেছেন? তিনি সেটা না বললেও তিনি যা বলেছেন তাতেই ফিকাহ এর ইমাম মানা জরুরী হয়ে পড়ে। কারণ তিনি বলেছেন তাঁর নামে মিথ্যা হাদিস প্রচার করা হবে। এখন ইমাম কোন হাদিস না মানা দ্বারাতো বুঝা যায় সে হাদিস বিষয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। এখন আমি যদি বলি আমি ইমাম মানি না। তো আমার নিকট জিজ্ঞাস্য হবে ইমামের সমান জ্ঞান আমার রয়েছে কি না। যদি তা’ না থাকে তবে আমার ইমাম না মানার সংগত কারণ কি? বোখারী (র.) ইমাম মানেননি। তাঁর কি ইমামের সমান যোগ্যতা ছিল? যদি না থাকে তবে তাঁর কাজটাই সঠিক ছিলনা। কাজেই তাঁর ইমাম না মানা আমাদের জন্য অনুকরনীয় হতে পারেনা। কাজেই ইমাম না মেনে বোখারী (র.) মানার প্রস্তাবনা ফিতনা হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ এ প্রস্থাবনার কোন যুক্তি সংগত কারণ নেই। মহানবি (সা.) হাদিস মানতে বলেছেন তা’ নিশ্চয়ই সন্দেহ যুক্ত হাদিস নয়। যদি বলা হয় তাতে ইমাম বোখারীর (র.) সন্দেহ ছিলনা। কিন্তু তাতে ফিকাহ এর ইমামের সন্দেহতো ছিল। আর মাসয়ালা বিষয়ে ইমাম বোখারী (র.) ফিকাহ এর ইমামের চেয়ে বিজ্ঞ বিবেচিত হনননি। কাজেই ফিকাহ এর ইমাম বাদ দিয়ে ইমাম বোখারীর (র.) অনুসরনের প্রস্তাবনা সংগত নয় বরং ত্রুটিপূর্ণ প্রস্তাবনা। ত্রুটির কারণে ফিকাহ এর ইমামের বদলে হাদিসের ইমামের অনুসরন যেমন সঠিক নয়। তেমনি ত্রুটির কারণে মোহাম্মদকে (সা.) বাদ দিয়ে অন্য কারো অনুসরনও সঠিক নয়। আর মোহাম্মদের (সা.) সঠিক অনুসরন কোরআন মানা ও কোরআনের সাথে সংগতিপূর্ণ হাদিস মানা। এ ছাড়া মোহাম্মদের (সা.) বিকল্প আর কোন অনুসরন নেই।কোরআন পরিপন্থি হাদিস মানা মহানবির (সা.) অনুসরন নয়। যেমন কোরআন বলছে কোরআন পঠের সময় চুপ থাকতে হবে। সে জন্য ইমাম আবু হানিফা (র.) বলেছেন সূরা ফাতিহা পাঠের পর ‘আমিন’ নিরবে পাঠ করতে হবে। জোরে জোরে আমিন পাঠ করা যাবেনা। কারণ কাজটা কোরআন পরিপন্থি বিধায় এটা হাদিস হওয়া বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। আর যদি এটা হাদিস হয়ে থাকে তবে কোরআনের উক্ত আয়াত নাজিলের পর এ হাদিস মানসুখ বা রহিত হয়েছে। আরমানসুখ হাদিসের আমল নামাজে করা হলে নিয়ম অনুযায়ী নামাজ ভঙ্গ হবে।এ জন্য বেশীর ভাগ মুসলমান সন্দেহ যুক্ত হাদিস ছেড়ে ইমামের ফতোয়া মানে। কারণ বিধিমত তাদের নামাজ ভঙ্গ হোক তারা এটা চায়না।

হাদিসের আলোচনা এখানে আনার কারণ হাদিসও পদ্ধতিগত পরিশুদ্ধ নয়।কাজেই পরকাল বিষয়ে আমরা কোরআনের বক্তব্যকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করব আর হাদিসের বক্তব্যকে কোরআন দ্বারা যাচাই সাপেক্ষে গুরুত্ব প্রদান করব।পদ্ধতিগত প্রামাণ্য গ্রন্থ কোরআনের আলোকে মুসলমানের পরকাল বিশ্বাস সঠিক। এখন দেখার বিষয় বাস্তবিক কোরআন কতটা সঠিক। কোরআন যদি বাস্তবিক সঠিক প্রমাণীত হয় তাহলে ইসলামও বাস্তবিক সঠিক প্রমাণীত হয়। তবে বাস্তবিক কোরআন সঠিক প্রমাণীত হলেও তা’ না বুঝার কারণে অনেকে সেটা সঠিক হিসেবে মেনে নিতে পারবেনা। কাজেই আমাদের আলোচনা তাদের জন্য যারা কোরআনের সঠিকতার প্রমাণ বুঝতে সক্ষম হবেন। যারা তা’ বুঝতে সক্ষম হবেনা তাদের বিষয়ে আমরা অপারগ। তাদেরকে তাদের ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। তাদের উপকার ও ক্ষতির বিষয় একান্তই তাদের। কারণ আমরা আমাদের সাধ্যের বাইরে কিছুই করতে পারবনা।

মহানবি (সা.) কোরআন যেমন রেখে গেছেন কোরআনের তেমন না থাকার বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। কিন্তু মহানবি (সা.) হাদিস যেমন রেখে গিয়েছেন হাদিসের তেমন না থাকার বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। সেজন্য মহানবি (সা.) কোরআন ও হাদিস উভয় মানতে বলে গেলেও হাদিস মানার ক্ষেত্রে যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। আর যাছাই বাছাইয়ের যোগ্যতা নিজের না থাকলে যার এ যোগ্যতা আছে তাকে না মেনে উপায় নেই। এমন লোককে আমরা নিরুপায় হয়ে মানছি। তাঁকে মহানবি (সা.) মানতে বলেছেন কি? এমন প্রশ্ন অবান্তর। কারণ আল্লাহ বলেছেন, ‘লা ইউকাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসয়াহা-আল্লাহ কাউকে সাধ্যের অতিত কষ্ট দেন না’। অনেকে বলে সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ইমাম মেনেছেন কি? এর উত্তর হলো তারা শুধু ইমাম মানেননি বরং সে ইমামের পিছনে যুদ্ধও করেছেন। যেমন তারা হজরত আয়শা (রাঃ), হজরত আলী (রাঃ) ও হজরত মুয়াবিয়াকে (রাঃ) ইমাম মেনে তাদের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন। প্রশ্ন হতে পারে নারীর ইমামতি কি জায়েজ? উত্তর হলো, নামাজের ইমামতি না হলে জায়েজ। প্রশ্ন হতে পারে একজন এক ইমাম মানা কি জায়েজ? উত্তর হলো, জায়েজ। কারণ সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এককেক জন একেক ইমাম মেনেছেন। যেমন,হজরত আয়শা (রাঃ), হজরত আলী (রাঃ) ও হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ)।কেউ যদি কোনভাবে এসব কথা উল্টিয়ে দেয় তবে আমরা তাকে মানিনা। সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) তরিকা অনুযায়ী চার মাযহাব ইসলামের বাইরের কোন বিষয় নয়। এটা ইসলামের ভিতরের বিষয়। বিবিধ বিষয়ে মতভেদ চিরন্তন বিষয়। মতভেদের কারণে একদল বহুদল হয়, এটাও চিরন্তন বিষয়। কাজেই মুসলমান বহুদল কেন এমন প্রশ্ন অবান্তর। মুসলমানের প্রকৃত কাজ হলো মিলেমিশে থাকা।

কোরআন মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নিকট থেকে পেয়েছেন না নিজে বানিয়ে আল্লাহর নামে প্রচার করেছেন এটা হলো মূল আলচ্য বিষয়। কোরআন আল্লাহর বাণী হওয়া বিষয়ে কোরআনে যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে তার একটি হলো কোরআনে ভুল না থাকা। যারা সসীম তাদের ভুল থাকবেই। কারণ তাদের সীমার বাইরে তারা জিজ্ঞাস্য হলে তারা সঠিক উত্তর প্রদান করবে কেমন করে? আর সসীম বলেই তাদের সীমার বাইরে থাকা বিষয়টা একান্ত বাস্তব। কাজেই বাস্তবতার আলোকে সসীমে ভুল থাকবেই। কিন্তু অসীমে ভুল থাকবেনা। কারণ আপনি যে সীমা থেকেই প্রশ্ন করেন না কেন অসীম সেখানে উপস্থিত। তার সীমার বাইরে বলতে কিছু নেই। কাজেই যে বিষয়ে তিনি জিজ্ঞাস্য হবেন সে বিষয়ে তিনি সঠিক জবাব প্রদানে সক্ষম হবেন। তাঁর কোন ভুল থাকবেনা।আর অসীম একজন হওয়ায় ভুলনেই শুধু একজনের। কাজেই কোরআনে কোন ভুল না থাকলে উহা সেই একজনের বাণী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। সেই একজন যেহেতু আল্লাহ কাজেই কোরআন আল্লাহর বাণী হিসেবে সাব্যস্ত হবে।কোরআন ছাড়া আর কোন গ্রন্থ ভুল মুক্ত সাব্যস্ত না হওয়ায় সে সব গ্রন্থের সব কথা আল্লাহর কথা হিসেবে সাব্যস্ত হবেনা। কিন্তু কোরআনের সব কথা আল্লাহর কথা হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

কোরআনের আল্লাহর বাণী হওয়া বিষয়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোরআনের সূরার মত সূরা বানাতে না পারা। কোরআনের সূরায় যা নেই তা’হলো তাতে ভুল নেই। এখন আল্লাহর বাণী হিসেবে আপনি যে সূরা বানাবেন তাতে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পাওয়া যাবে তা’ হলো তাতে ভুল পাওয়া যাবে। আমি এমন যতগুলো সূরা বানিয়েছি তার সব গুলোতেই পরে আমি ভুল পেয়েছি। এরপর বুঝেছি বাস্তবেই কোরআনের সূরার মত সূরা বানানো যায়না। সে সূরা যতই ছোট হোক। এখন অনেকে বলছে কোরআনের সূরা নেছায় ভুল আছে তবে কি সেটা কোরআনের সূরা নয়? আমি পরখ করে দেখেছি সেটা মূলত কোন তথ্য নয় বরং বিধান। আর বিধানের বিষয়ে অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন সাধ্যের বাইরে কিছু করতে হবেনা। আর এর মাধ্যমেই এ বিধানগত ত্রুটি আর থাকেনা। যেমন সূরা নেসায় মৃত ব্যক্তির দুই কন্যা পিতা-মাতা ও স্ত্রীর যে প্রাপ্য অংশের কথা বলা হয়েছে তা’ যোগ করলে চব্বিশ ভাগের সাতাশ হয়। মহানবি (সা.) এ সমস্যার সমাধান কি জিজ্ঞাস করায় হজরত আলী বললেন সাতাশ ভাগের সাতাশ করে নিলেই হয়ে গেল। এখানে স্ত্রীর আটের এক যেখানে চব্বিশের তিন হওয়ার কথা সেখানে হচ্ছে সাতাশের তিন। সেটাকে আবার ছোট করলে হয় নয়ের এক। সমস্যার সমাধানে আটের এক নয়ের এক হয়ে যায়। যা “লা ইউ কাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উসয়াহা- আল্লাহ কাউকে সাধ্যের অতীত কষ্ট দেন না” এর আয়াতের বিধান অনুযায়ী যেহেতু আটের এক বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, এবং যেহেতু নয়ের এক বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেহেতু আটের এক নয়ের এক হওয়া সঠিক। । যেহেতু আল্লাহ সাধ্যের বাইরে কষ্ট দেন না। সেহেতু আটের এক নয়ের এক হওয়া ভুল নয় বরং শুদ্ধ। সুরা নিসার আয়াত সূরা বাকারার আয়াত অনুযায়ী শুদ্ধ। কিন্তু যা আল্লাহর বাণী নয় এমন বাণীর সূরা যদি আল কাওসারের সমানও হয় তবে তাতে ভুল পাওয়া যাবেই। এভাবে গবেষণার মাধ্যমে কো্রআনকে অকাট্য ভাবে আল্লাহর বাণী হিসেবে সাব্যস্ত করা যায়। আর এটাও সাব্যস্ত করা যায় যে কোরআনে আল্লাহর বাণী ছাড়া আর কারো বাণী যুক্ত হয়নি।কোরআনকে অকাট্য ভাবে আল্লাহর বাণী হিসেবে প্রমাণ করার আরো অসংখ্য সূত্র কোরআনে রয়েছে। আমরা এখানে মাত্র দু’টি সূত্র উপস্থাপন করেছি।

গবেষণা লব্ধ জ্ঞান দ্বারা আল্লাহ সঠিক সাব্যস্ত। আল্লাহর কোরআনের সব বাণী আল্লাহর বাণী হিসেবে সাব্যস্ত। সংগত কারণে কোরআনে বলা পরকাল সংক্রান্ত আলোচনা সঠিক সাব্যস্ত।সংগত কারণে মুসলমানের কোরআন ভিত্তিক পরকাল বিশ্বাস শতভাগ সঠিক সাব্যস্ত হবে। তবে হাদিস ভিত্তিক পরকাল বিশ্বাস কতটা সঠিক সেটা কোরআন দিয়ে নিরুপর করে নিতে হবে। তবে বিভিন্ন মুসলমান ইসলামের কথাকে বিভিন্নভাবে সঠিক উপলব্দি করে এর সঠিকতায় নিশ্চিত বিশ্বাস অর্জন করে। আর এভাবেই তাদের পরকাল বিষয়ে নিশ্চিত বিশ্বাস রয়েছে যা নিশ্চিত ভাবে সঠিক প্রমাণ করা যায়। তথাপি বোধগম্যতাগত ত্রুটির কারণে অনেকেই মুসলমানের বিশ্বাসের সাথে একমত হবেনা। অনেকে তাদের পুরনো বিশ্বাস ত্যাগ করতে না পারার কারণে মুসলমানের বিশ্বাসের সাথে একমত হবেনা। আর এসব ত্রুটি ব্যক্তির নিজের ত্রুটি এবং এর দায় তার নিজের। এর ফল ভোগ সে নিজেই করবে। এর জন্য আল্লাহ বা মুসলমানের কোন দায় নেই।

পরকাল বিশ্বাস আরো অনেকের রয়েছে। অনেকের রয়েছে পরকাল অবিশ্বাস । তারা কিভাবে সঠিক তারা সেটা পারলে বলুক। না পারলে সত্য বুঝার চেষ্টা করুক। কারণ বিনা চেষ্টায় সত্য জ্ঞান এমনিতে অর্জিত হবেনা। যারা অশিক্ষিত তারাও তাদের চিন্তা ভাবনা দ্বারা সত্য জ্ঞান অর্জন করে নেয়। সংগত কারণে সত্য জ্ঞান বিনা চেষ্টায় পাওয়ার চিন্তা অহেতুক চিন্তা।

# সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্ত অসংখ্য সাহাবা ছিলেন কিন্তু সম্পূর্ণ হাদিস মুখস্ত কোন সাহাবা ছিলেন না। এমন অবস্থা এখনো বিদ্যমান। কাজেই কোরআন ও হাদিসকে এক কাতারে ফেলার সুযোগ নেই। বরং কোরআন সকল সমীকরণে নিখুঁত শুদ্ধ। হাদিসে সমীকরণগত স্পষ্ট ঘাটতি বিদ্যমান। কাজেই হাদিস কোরআনের উপর নির্ভরশীল হবে।

# মুসলীম তার বিশ্বাস ও অবিশ্বাসকে অকাট্যভাবে সঠিক প্রমাণ করতে সক্ষম।

বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
১৮টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×