সাতচল্লিশে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক পাকিস্তানের পক্ষে থাকায় পূর্ব বাংলা হয়েগেল পূর্ব পাকিস্তান। একাত্তরে দুই তৃতীয়াংশ লোক বাংলাদেশের পক্ষে আসায় পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গেল বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান ভক্তগণ বাংলাদেশে ক্ষমতা চাইল।তারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষমতা চাইল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রতি অভক্তি জনিত কারণে বাংলাদেশ পন্থিরা এর তীব্র বিরোধী হলো। যার কিঞ্চিত প্রকাশ তারা শাহাবাগে দেখালো। বলা হলো ইসলাম পন্থিরা শাহাবাগে আসেনি। তবে দেখা গেছে বহু ইসলাম পন্থি পাকিস্তান পন্থিদের সমর্থক নয়।বলা হলো সেটা মতভেদ জনিত কারণে।বলা হলো তারা পকিস্তান পন্থি থেকেছে ভারত বাংলাদেশ নিয়ে যাবে বলে। পাকিস্তানের প্রতি তাদের এখনো সখ্যতা ভারত বাংলাদেশ নিতে আসলে পাকিস্তান সহায়তা করবে বলে। বাংলাদেশ পন্থিরা এসব সম্ভাবনার পিছনে ছুটতে নারাজ। তারা যে কোন মূল্যে বাংলাদেশ বজায় রাখতে চায়। সাতচল্লিশে যারা ভারতের পক্ষে ছিল তাদের কেউ কেউ চায় বাংলাদেশ ভারত হয়ে যাক। একপক্ষ পাকিস্তানের দিকে টানে। অন্যপক্ষ ভারতের দিকে টানে। দুই পক্ষকে সামাল দিয়ে টিকে আছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান পন্থিরা বলছে যেহেতু এখন ভয় ভারত নিয়ে কাজেই এখন তোমরা দেশটা আমাদেরকে দাও। আমরাই এখন দেশটা ভালভাবে দেখে রাখব।কিন্তু একাত্তর মনে পড়লে তাদের আরজি খারিজ হয়ে যায়। সংগত কারণে পাকিস্তান পন্থিরা থামলে ভাললাগে। ইসলামের দোহাই দিয়ে তারা একাত্তরের অভিযোগ থেকে রেহাই পাবে বলে মনে হয় না। পাকিস্তান পন্থিরা থামলে বাংলাদেশ পন্থিরা শুধু ভারত বিষয়ে সাবধান থাকলেই চলবে। আর ভারত থেকে সাবধান থাকা মানে আবার ভারত বিরোধীতা নয় বরং ভারতের সাথে সখ্যতার মাধ্যমেই অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর ভারত বাংলাদেশ নেওয়ার লোভ করলে বাংলাদেশ তাদের না হয়ে তাদের আরো কয়েকটা রাজ্য বরং হাতছাড়া হতে পারে। কাজেই বাংলাদেশের সাথে সখ্যতা ভারতের জন্যও লাভ জনক। যেন বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে তারা তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রতিরোধ করতে পারে।
কেউ বাংলাদেশ নিয়ে যাবে ভয়ে আরেক জনকে যেচে বাংলাদেশ দিয়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। পকিস্তান পন্থিদের ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করারও দরকার নেই। কারণ এরা ইসলামের কথা বললে এদের প্রতি ঘৃণার কারণে মানুষ বরং ইসলামটাই ছেড়ে দেবে। কাজেই এদের ইসলামের কথা বলা ইসলামের জন্য ক্ষতিকর। আর পাতিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সহায়তা করতে আসবে বলে মনে হয় না। কারণ তাদের সাথে আমাদের একটা যুদ্ধ হয়েছে। যে যুদ্ধে তারা হেরেছে। সেই ক্ষোভে তারা আমাদের পক্ষে কাজ করবেনা। কাজেই পাকিস্তান প্রেম চিরতরে বন্ধ হওয়া উচিৎ।সুযোগ পেলে পাকিস্তান এখনো আমাদের ক্ষতি করতে পারে।পাকিস্তান পন্থিরা যদি ইসলাম চায় তবে যারা ইসলাম চায় তাদেরকে তাদের সাথে থাকা উচিৎ। কারণ পাকিস্তান পন্থিদের নেতৃত্বে ইসলামের পিছিয়ে পড়ার চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কাজেই ইসলামের ভাল চাইলে তারা ইসলামের নেতৃত্ব থেকে দূরে থেকে বরং যারা ইসলাম নিয়ে কাজ করে তাদেরকে তাদের সাথে থাকা উচিৎ। এরপর যদি তারা দেশ উন্নয়নে কাজ করে তবে জনগন তাদেরকে ক্ষমা করলেও করতে পারে। তবে ক্ষমতা চাইলে আর ক্ষমা মিলবেনা। কাজেই পাকিস্তান পন্থিদের ক্ষমতার আশা ত্যাগ করতে হবে। এটা সবার জন্য মঙ্গল জনক।
# কারো মনের কোনে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তান প্রেম যত দ্রুত সম্ভব ঝেড়ে ফেলতে হবে। কারণ ও বস্তু থাকলে দেশ প্রেমিকেরা মুখ ফিরিয়ে রাখে। নিজের দিকে দেশ প্রেমিকের মুখ ঘুরাতে হলে পাকিস্তান প্রেম ছাড়তেই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:০০