‘আপনি এখন আছেন কি বাসায় এবং ফ্রি? ইএসপিএন দেখুন না খুলে;
বাংলাদেশের শততম ওডিআই ক্রিকেট ম্যাচ
পাগল ছেলেগুলো আজ দেখবেন, ঠিকই বিজয় আনবে তুলে।’
‘আমি এখন ভীষণ ব্যস্ত, সময় নেই ওসব তুচ্ছ খেলাধুলোয় মন দিতে।
সত্যি বলছি, আপনার কিন্তু বোধজ্ঞানের দারুণ অভাব। যখন তখন
মোবাইল ম্যাসেজে মেজাজ বিগড়ে ওঠে বিরক্তিতে।’
২
‘হ্যালো সবিতা, শুনছেন? বাংলাদেশের তিনটা রেকর্ড হলো আজ।
শততম ওডিআই ক্রিকেট ম্যাচে জয়।
হোমগ্রাউন্ডে প্রথম জয়।
ইনডিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়।
বড্ড পাগল ওরা, ঐ ছেলেগুলো। শুনছেন?’
‘একি, বাচ্চাদের মতো কাঁদছেন কেন? সারা শহর জেগে উঠেছে আনন্দে।
আমি ছাদের ওপর দাঁড়িয়ে; দেখছি, স্টেডিয়াম থেকে
রাস্তায় রাস্তায় মিছিল। ভার্সিটির হলে-হলে চিৎকার। আপনি কাঁদছেন কেন?’
‘না না...হ্যালো সবিতা, কী বলেন, আমি কাঁদছি না...হ্যাঁ হ্যাঁ, কাঁদছি তো বটেই...
প্রথমত আমার প্রতি আপনার সম্মান প্রদর্শনে, আমার
আনন্দোপভোগে আপনিও একাত্ম হয়েছেন, এ কারণে। দ্বিতীয়ত,
এতক্ষণ বেজায় কান্না পাচ্ছিল; এখন মনে হয় খুব ছেলেমানুষি আমার ভাবনা।
যাকে তাকে বললেই তো আর আনন্দ ভাগাভাগিতে এগিয়ে আসবে না;
তাই না, কী বলেন? আমি আপনাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা করি সবিতা, অনেক ভালোবাসি। আপনার জন্য সমুদ্রে এখন উথাল-পাথাল ঢেউ।’
৩
ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম ওডিআই ক্রিকেটম্যাচ জয়ে
এ দেশের চৌদ্দ কোটি মানুষের আবেগমিশ্রিত অবদান রয়েছে
কেবল আপনারই নেই, প্রিয় রোমেনা।
২৬ ডিসেম্বর ২০০৪
পাদটীকা
সেটি বাংলাদেশের শততম ওডিআই ম্যাচ ছিল। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ঢাকার মাটিতে সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ১৫ রানে ভারতকে হারিয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে ওডিআই ম্যাচে ওটাই ছিল প্রথম বিজয়।
বিস্তারিত দেখুন এখানে
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, তারপরই শুরু হবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ বনাম ভারতের ক্রিকেট ম্যাচ। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন এখন একটাই - বাংলাদেশ জিতবে, ধাপে ধাপে ফাইনালের পথে এগোবে। আকাশ-কাঁপানো চিৎকারে উল্লাসে ফেটে পড়ার আগের মুহূর্তে আবেগ ধরে রাখা দুরূহ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২১