তুমি ভাবো, তুমি খুব ভালো লেখো,
আমি লিখি ছাই।
তুমি বোঝো কচু!
নিজকে নিয়ে ছোটোবড়ো সকলেরই
এরকম বিরাট বড়াই।
তুমি ভাবো পাঠকেরা যা যা বলে
সবকিছু বুঝে বলে, সবকিছু সাঁচা।
তুমি ভাবো লাউ!
তোষামোদে গলে গিয়ে ধরণিকে সরা ভাবো
তুমি হলে এত বড় আহাম্মক ও গাধা।
তুমি খুব ভাব মারো
রাসভেরা চারদিকে লাফালাফি করে।
মাকাল কী চিনো তুমি?
উপরটা লোভনীয়,
ছাইয়ের পায়েশ তার খোসার ভিতরে।
তুমি ভাবো- বিশাল প্রতিভা তুমি
তোমার কারিশমা দেখে দলে দলে ভক্তিভরে
কবিগণে তোমাকেই 'গুরু' জ্ঞান করে।
আহারে গাধার রানি! ও-গুলো কবিতা নয়
ও-গুলো কবিতা হলে
আমাদের গাভীটাও হাম্বা-স্বরে কবিতাই বলে।
ও-গুলো কবিতা নয়
ওসব ছেড়েছি লেখা তোমার জন্মেরও ন’বছর আগে।
কবিতা লিখিতে হলে গুরুর চরণে পড়ো,
কবিতা কাহাকে বলে- সেই তত্ত্ব গুরুই শেখাবে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৭