somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অহঙ্কার আকাশের সিঁড়ি

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অহঙ্কার পতনের মূল- এসব মান্ধাতার ধর্মান্ধ কথা আমাদের ভুলে যেতে হবে;
মূলত অহঙ্কার আকাশের সিঁড়ি।
অহঙ্কার অর্জনের জন্য যা কিছু দরকার, আমাদের সেসব নেই
যাঁদের নাক অনেক উঁচুতে উঠে গেছে, নিজ নিজ কীর্তির ফসলে
আমরা তাঁদের কাছ ঘেঁষতে পারি না, যদিও
অনেক ইচ্ছেয় আমাদের মন পুড়ে যায়
আর ব্যর্থতায় ‘আঙুর ফল টক’-এর মতো নিছক আত্মপ্রবোধে
তাঁদেরকে অভিসম্পাতে বলি, তোমাদের পতন অনিবার্য।

যাঁরা অহঙ্কারী, কী তাঁদের দোষ, গভীরভাবে ভেবে বলুন তো?
আমাদের দিকে তাঁরা ফিরে না তাকালে, আমাদের আক্ষেপই বা হবে কেন?
তাঁদের কৃপাচাহনির এতো কী প্রয়োজন আমাদের?

হাত পাতাই যখন জন্মগত অভ্যাস, তখন অহঙ্কারী হওয়া যায় না।
আমাদের অহঙ্কারী হওয়া অতীব জরুরি। একজন অহঙ্কারীর
তীব্র আত্মসম্মান বোধ আছে। যাঁর আত্মসম্মান বোধ আছে, তাঁকে কখনো
অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয় না।

যাঁর দশটি সুদৃশ্য জামা আছে, তিনি ছেঁড়া শার্ট গায়ে জড়িয়ে
যেমন সারল্য প্রকাশ করতে পারেন, অহঙ্কার অর্জিত হবার পর তেমনি
তিনি ‘নিরহঙ্কার’ নামক আভরণ অঙ্গে ধারণ করতে সক্ষম; আমরা তখন
তাঁকে অমায়িক, বিনয়ী, প্রভূত সাধু বিশেষণে অলঙ্কৃত করি।

দৈবাৎ একজন ‘অহঙ্কারী’ মানুষের সাক্ষাৎ পেলে খুঁজে দেখুন ঠিক কী কী কারণে
তিনি অহঙ্কারী হয়ে উঠেছেন। যেসব কারণে মানুষ অপনাকে অহঙ্কারী বলেন,
বস্তুত ওগুলো আপনার কষ্টসাধ্য অর্জন। পরশ্রীকাতরতা
আমাদের চারিত্রিক ত্রুটি, অন্যের ভালো কদাচিৎ সহ্য করি।
এজন্য আমরা ‘নাক-উঁচু’ বা ‘অহঙ্কারী’ শব্দের জন্ম ঘটিয়েছি।
‘অহঙ্কার’ কোনো নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য, এটা মনে করা সমীচীন নয়।
সামর্থ্য থাকলে আপনিও অহঙ্কার প্রদর্শন করুন।
আমরা নপুংসক ও অসমর্থ মানুষকে অহঙ্কারী হতে দেখি কি?

আমার প্রিয়তমা স্ত্রী যেদিন বলবেন ‘তুমি আমার অহংকার’, কিংবা
আমার স্বজনেরা, বন্ধু ও সঙ্গীরা, এবং আরো অনেকে,
সেদিন নিশ্চিত বুঝে নেবো আমার কর্ম একটা উপযুক্ত সুফল
বয়ে এনেছিল এ মানুষগুলোর জন্য।

যেদিন শুনবেন, চারপাশের লোকজন বলছেন আপনি লোকটা অহঙ্কারী,
সেদিন সুখে ও গর্বে আপনার বুক স্ফীত হবে। সবাই
অবচেতনেও অহঙ্কারী হতে ভালোবাসে।

আত্মসম্মান বোধ এক অমূল্য রত্ন। তা থেকে অহঙ্কারের উন্মেষ।
একজন অহঙ্কারী মানুষকে ভালোবাসতে শিখুন, আর তাঁর মতো
অহঙ্কারী হবার সুপন্থাবলি চিহ্নিত করুন। আপনার উত্থান অবশ্যম্ভাবী।

আমার কর্ম আমার অহঙ্কার। অহঙ্কার আমার গর্ব।

১৭ মে ২০১১

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬
১৩টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×