somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজের ভাষায় ছড়া ও কবিতা লেখা

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্কুলকলেজে বাংলায় প্রায়ই একটি প্রশ্ন থাকতো - ‘অমুক’ গল্পটি নিজের ভাষায় লেখো। একবার আমাদের এক শিক্ষক পাঠ্যবইয়ের একটা কবিতাকে নিজের শব্দে পুনর্লিখন করতে বলেছিলেন। কয়েকটা ছেলেমেয়ে বেশ ভালোই লিখেছিল, তবে শিক্ষক ওদেরকে ‘গাধা’ বলেছিলেন।

হোসনে আরার একটা অতি প্রিয় ছড়া ‘সফদার ডাক্তার’, যা বাল্যকালে আমাদের পাঠ্যসূচিতে ছিল; খুব মজা পেতাম ছড়াটি পড়ে; এবার আমার নিজের ভাষায় লেখা ছড়াটি পড়ুন আর স্মৃতির সাথে মিলিয়ে নিন।

কামিনী রায়ের ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতাটা নিজের ভাষায় লিখলে কেমন হয়? ‘কেউ যদি কিছু ভাবে’ শিরোনামে লিখেও ফেললাম কিছু একটা, তারপর ব্লগে পোস্ট করলাম। আমাকে অবশ্য অবাক হতে হয়েছিল এজন্য যে, শায়মা হক ছাড়া আর কোনো ব্লগারই বুঝতে পারেন নি এটা একটা অনুলিখিত কবিতা মাত্র। ফেইসবুকে কেউ কেউ আমাকে সান্ত্বনাও দিলেন। এবার দুটো কবিতা পাশাপাশি মিলিয়ে দেখুন- কোথায় তালতলা, আর কোথায় তেঁতুলিয়া।

একবার ব্লগার নস্টালজিকের ‘পরী’ গানটাকে উলটো করে লিখলাম ‘ঝড়ো’ শিরোনামে। আমার ব্লগে অবশ্য অত্যন্ত কম সংখ্যক পাঠকই এসে থাকেন, আর এ নগণ্য সংখ্যক পাঠকের কেউই বুঝতে পারলেন না কবিতাটার গূঢ় রহস্য।

‘যেতে নাহি দিব’ কবিতার কয়েকটা পঙ্‌ক্তি আমরা অনেক পড়েছি ও শুনেছি :

এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গ-মর্ত্য ছেয়ে
সবচেয়ে পুরাতন কথা, সবচেয়ে
গভীর ক্রন্দন, ‘যেতে নাহি দিব।’ হায়,
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
এমনি ঘটিতেছে অনাদিকাল হতে
প্রলয় সমুদ্রবাহী সৃজনের স্রোতে।

এ থেকে লিখলাম ‘মগের মুল্লুক’। কয়েকজন পাঠক কড়া সমালোচনা করলেন আমার লেখা নিয়ে, কিন্তু সবারই অগোচরে থেকে গেলো এ কবিতার জনকের নাম। যদি ‘মগের মুল্লুক’ পড়ে আপনাদের মনে হয় কবিতায় সত্যিই এখন মগের মুল্লুক কায়েম হচ্ছে, আমি বলবো, ওসব মগা-টগার কথা বাদ দিয়ে ব্লগিঙে বড়শি ফেলুন, অনেক কাজে লাগবে।

স্কুলে সারমর্ম ও ভাবসম্প্রসারণে পড়েছি ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই...’। এটা থেকে অনুলিখিত হলো ‘বড়ো’র মোহ’। প্রিয় ব্লগাররা অবশ্য পজিটিভ ছিলেন, কিন্তু এটাও কেউ ধরতে পারলেন না।

এগুলোকে প্যারোডি বলবেন? প্যারোডির প্রধান বৈশিষ্ট্য হাস্যরস সৃষ্টি বা ব্যাঙ্গাত্মক প্রকাশ। আমার এগুলো ‘প্যারোডি’ কিনা তা নিয়ে আমার নিজেরই অনেক সন্দেহ আছে, কারণ, এতে ব্যাঙ্গ বা হাস্যরস নেই বললেই চলে, বরং মৌলিক লেখার বৈশিষ্ট্যই বেশি লক্ষণীয়; তবে দয়া করে কেউ এতে কোনো শিল্পগুণ খুঁজবেন না! কেউ হয়ত ‘নকল’ অভিহিত করতে পারেন। কিন্তু নকলও না। রবীন্দ্র-নজরুল যুগে তাঁদের প্রভাব-বলয় থেকে বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন খুব কম কবিই। অনুলিখিত কবিতাগুলো সেজন্য প্রভাব-অমুক্ত কবিতা বড়োজোর, কিন্তু নকল নয়। এগুলোকে নকল বলা হলে ঐ যুগের কবিরাও নকল কবিই ছিলেন।

কিছু কিছু জায়গায় খুব গম্ভীর শব্দগুচ্ছের মাঝখানে নিছক আনকোরা, বেঢপ, বেমানান ও ইমম্যাচিউর শব্দ ঢুকে গেছে। সেখানে ফিক করে হেসে উঠলে আমার কিছু বলারও নাই, করারও নাই।

এ পোস্টে কয়েকটি অনুলিখিত ছড়া ও কবিতা দেয়া হলো।



****

সফদার ডাক্তার

সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা চুল তার
খিদে পেলে ভাত খায় গিলিয়া
ছিঁড়ে গেলে কী উপায়
এই ভয়ে রাস্তায়
হাঁটে জুতা বগলেতে তুলিয়া

প্রিয় তার টক শো,
মহিষের মাংস
অটবির ছিমছাম খাটিয়া
সাঁচা কথা কয় সে,
কারণটা এই যে
খায় নাকি ফ্রুটিয়া সে চাটিয়া

সফদার ডাক্তার
ইয়া বোঁচা নাক তার
শুলে শুধু দেখা যায় ভুঁড়ি খান
কিপটে সে আদৌ নয়,
এই তার সদা ভয়-
ঘরে বুঝি এলো কোনো মেজবান

সফদার ডাক্তার
খুব ‘ফানি’ কাজ তার
ডিনারের পরে করে কুস্তি
মাঝরাতে ওঠে ঘেমে
তারপর খালে নেমে
স্নান করে হয় তার স্বস্তি

সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা টাক তার
কেঁচোকাটা কাঁচি তার পকেটে
চেঁছে ফেলা ভুরু তার
চোখ দুটো সরু তার
পান খেয়ে হেঁটে যায় শকেটে

সফদার ডাক্তার
ইদানীং সাধ তার
ব্লগে নাকি অ্যাকাউন্ট খুলিবেন
অনলাইন সাজেশন
করিবেন বিতরণ
মাস্টার কার্ডে ফি তুলিবেন

৩০ নভেম্বর ২০০৯ রাত ২:৫১

মূল ছড়াঃ জবর ডাক্তার/সফদার ডাক্তার, হোসনে আরা



কেউ যদি কিছু ভাবে

সাধ হয় কিছু করি
রিকশা বা বাসে চড়ি
তখনই মন বলে, থামো
কেউ যদি কিছু ভাবে!

গোপনে গোপনে হাঁটি
সুনসান পরিপাটি
কীভাবে জনসমক্ষে যাবো?
কেউ যদি কিছু ভাবে!

কত কী যে ভাবি মনে
আলো দেবো জনে জনে
সব আশা মুকুলেই মরে
কেউ যদি কিছু ভাবে!

কখনো বা বেদনায়
বুক যদি ভেঙে যায়
কাঁদতে পারি না প্রাণ খুলে
কেউ যদি কিছু ভাবে!

মানবিক কোনো কাজে
সবে জোটে একসাথে-
আমিও সে-দলে যেতে চাই;
কেউ যদি কিছু ভাবে!

হায়রে নিঠুর বিধি
আজব তোমার রীতি-
মরবার ভয়ে আড়ালে লুকাই,
কেউ যদি কিছু ভাবে!

১ নভেম্বর ২০১১ রাত ১২:১৯

মূল কবিতাঃ পাছে লোকে কিছু বলে / কামিনী রায়



গ্রামের মানুষকে উচ্চ ভাবিব, সেই কথা আজ মিছে
(গ্রামের সুখী মানুষদের প্রতি শহরের বন্দি মানুষদের ক্ষোভ)

তোমরা রহিবে নয়নাভিরাম চিরসবুজের গাঁয়,
আমরা মরিব পঁচা ডাস্টবিনে, নোংরা নর্দমায়!
তোমরা একাই উপভোগ করো পল্লীর পরিবেশ,
ঘিঞ্জি শহরে ধুঁকিতে ধুঁকিতে আমাদের জান শেষ।
আমাদের দেখে নাক ছিটকাও, করো নাকো সম্মান,
তোমাদের সাথে আমাদের কত বিস্তর ব্যবধান!
গ্রামের মানুষ শোনো,
আমরাও মানুষ এই বাংলার, নই ভিনদেশী কোনো।
তোমরা কাটাবে সুখের জীবন চরণে চরণ তুলে,
তা বলে তোমাদের উচ্চ ভাবিব, সেই কথা যাও ভুলে।
বিদ্রোহ আজ - বিদ্রোহ সবখানে,
আমরাও আজ গ্রামে ঠাঁই চাই, তোমাদের মাঝখানে।
শহরের দিকে তাকিয়ে দেখো, দলে দলে, গানে গানে
ইটের পাঁজর ভাঙিয়া মানুষ ছুটিছে গ্রামের পানে।
আসিতেছে শুভদিন,
কড়ায় গণ্ডায় তোমাদের থেকে শোধিয়া লইব ঋণ।
তোমরা রহিবে শীতল ছায়াতে, আমরা সিদ্ধ হব!
শীঘ্র দেখিবে এই ব্যবধান আচানক ভেঙে দেব।

১২ নভেম্বর ২০১১ রাত ১০:০০

মূলঃ সাম্যবাদী / নজরুল
(তোমরা রহিবে দোতলার পর, আমরা রহিব নীচে, তা বলে তোমাদের দেবতা মানিব, সেই কথা আজ মিছে)



সবার উপরে নারীরা সত্য, নরেরা খড়ের ছাই

নারীদের গান গাই
পৃথিবীর বুকে নারীদের চেয়ে মাননীয় কিছু নাই
অথচ আজিকে বড়ো অসহায় রমণীরা বাংলার
পদে পদে দেখি খুন ধর্ষণ অন্যায় অবিচার
নারীর জন্ম যেন-বা সহিতে নরের অত্যাচার
বাংলা জুড়িয়া ঘটিতেছে তাহা, নাই কোনো প্রতিকার

দেখিনু সেদিন বাসে
নারীরা দাঁড়িয়ে, পুরুষ মানুষ সিট চেপে বসে আছে।
চোখ ফেটে এলো জল,
জগৎ জুড়িয়া এমন করিয়া পুরুষ খাটাবে বল!
পাষাণ পুরুষ দেখিল না চেয়ে ঘাড়ের উপর তার
একটি অবলা রমণী দাঁড়িয়ে, শরীর কম্পমান
কে জানে হয়ত, গর্ভে তাহার ‘সুপুরুষ’ সন্তান-
তিলতিল করে কষ্ট সহিয়া বহিতেছে দেহভার।

হায়রে অবলা নারী,
তোমার সাহসে ঝলসিয়া ওঠে পুরুষের তরবারি;
তোমাকে ভাবিয়া কবিতা লিখিয়া নর হয় বিখ্যাত
অথচ তুমিই আড়ালে রহিলে, চিরকাল অজ্ঞাত।

কোনোকালে কিছু করিতে পারে নি পুরুষ লোকেরা একা,
গোপনে নারীরা বুদ্ধি দিয়াছে, বাহিরে যায় নি দেখা।
অথচ নারীরা কোথাও এখন পায় না ন্যায্য দাম
সবকিছুতেই জবরদখল, মগের মর্ত্যধাম।

নারীরা এবার জাগো,
ঢেঁকি-পাটা ও দাও-বটি ফেলে কার-ড্রাইভিং শেখো।
পাইলট হয়ে এফ-সিক্সটিন, বোয়িং চালাতে হবে-
মদন মদন পুরুষ লোকেরা অবাক তাকিয়ে রবে।

প্রতিশোধ হবে নিতে-
নারীরা বাসের সিটে বসিবেক, দণ্ডায়মান নর
অবলা বলিয়া খাইতে হবে না পুরুষ লোকের চড়।
নারীরা করিবে কষিয়া শাসন, পুরুষেরা নতশির
খুন ধর্ষণ তালাকের ভয় থাকিবে না রমণীর
সত্যিকারের সমতা তখন দেখা যাবে ধরণিতে।

শোনো হে পুরুষ ভাই,
সবার উপরে নারীরা সত্য, নরেরা খড়ের ছাই।

১১ অক্টোবর ২০১১ রাত ১০:৪৯

মূলঃ নারী/সাম্যবাদী, নজরুল



মগের মুল্লুক

এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গ-মর্ত্য-ধামে
সবচেয়ে পুরাতন রীতি, সবচেয়ে
গভীর আক্ষেপ, ‘খেতে কেন দেব?’-
আমি রেঁধে কেন তোকে খাওয়াবো বসায়ে?

এমনি চলিছে রীতি অনাদিকাল হতে
রাঁধুনিরা রান্না করে, খায় বেটাছেলে।
কখনো-বা বাড়া ভাত কেড়ে নিয়ে খায়,
কেউ কেউ বাড়া ভাতে ছাই দেয় ফেলে।

কন্যা-জায়া-জননীরা- আর কতকাল
এভাবে বোকার মতো খাওয়াবে রাঁধিয়া?
আর কতকাল তুমি মৎস কুটিবে,
বুয়ার মতন তুমি মরিবে খাটিয়া?

যতদিন বেঁচে রবো এ ধরণিতলে
দেখে নেব বউদের বুয়া কে বানায়!
সেইদিন আমি তবে প্রশান্তি পাব-
পুরুষেরা রান্না করে, নারী কেড়ে খায়।

...

আমি সেইদিন পাব শান্তি-
যবে অত্যাচারিত রমণীকুলের ঘুচিবে যাতনা-ক্লান্তি।
নারীর পায়ের তলায় লুটায়ে পুরুষ মাগিবে দুয়া।
তামাম বিশ্ব নারীর অধীনে, পুরুষ হইবে বুয়া।

১০ অক্টোবর ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯

মূলঃ 'যেতে নাহি দিব', রবীন্দ্রনাথ/ 'বিদ্রোহী ও অন্যান্য, নজরুল এবং জিগাখিঁচুড়ি মানে অন্যান্য :)



****

এবার দুটি মূল ছড়া দেখুন

****

সফদার ডাক্তার
হোসনে আরা

হোসনে আরার জন্ম হয়েছিল আমার বাবার জন্মেরও অনেক অনেক বছর আগে :) ছড়াটি লেখা হয়েছিল আমার জন্ম থেকে প্রায় ২০ বছর আগে। কিন্তু সেটি এখনও সেদিনের মতোই সজীব, আকর্ষণীয়, শিল্পোত্তীর্ণ ও অত্যাধুনিক।

১৯১৬ সালে তাঁর জন্ম। ৪০-এর দশকে 'সফদার ডাকতার' ছড়াটি লেখেন। ছড়াকার এ ছড়ার নাম দিয়েছিলেন 'জবর ডাক্তার'। যে বইতে ছড়াটি অন্তর্ভুক্ত হয় তার নাম 'ফুলঝুরি'। ফুলঝুরি প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে।

ক্লাস ফোরে 'সফদার ডাক্তার' নামে এটি আমাদের পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল (৪র্থ শ্রেণি, ১৯৭৭ সাল)। এটি এখন যত মজাই লাগুক না কেন, ক্লাসে আমি প্রথম দুই লাইনের বেশি মুখস্থ করতে পারি নি।


সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা টাক তার
খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,
চেয়ারেতে রাতদিন
বসে গোনে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিবিয়ে।

ইয়া বড় গোঁফ তার,
নাই যার জুড়িদার
শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,
নুন দিয়ে খায় পান,
সারাক্ষণ গায় গান
বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।

রোগী এলে ঘরে তার,
খুশিতে সে চারবার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি,
তারপর রোগীটারে
গোটা দুই চাঁটি মারে
যেন তার সাথে কত দুস্তি।

ম্যালেরিয়া হলে কারো
নাহি আর নিস্তার
ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,
আমাশয় হলে পরে
দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।

কলেরার রোগী এলে,
দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,
তারপর দুই টিন
পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।

ডাক্তার সফদার,
নাম ডাক খুব তার
নামে গাঁও থরহরি কম্প,
নাম শুনে রোগী সব
করে জোর কলরব
পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।

একদিন সক্কালে
ঘটল কি জঞ্জাল
ডাকতার ধরে এসে পুলিশে,
হাত-কড়া দিয়ে হাতে
নিয়ে যায় থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।



পাছে লোকে কিছু বলে
কামিনী রায়

করিতে পারি না কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে -
পাছে লোকে কিছু বলে।

আড়ালে আড়ালে থাকি
নীরবে আপনা ঢাকি,
সম্মুখে চরণ নাহি চলে
পাছে লোকে কিছু বলে।

হৃদয়ে বুদবুদ মত
উঠে চিন্তা শুভ্র কত,
মিশে যায় হৃদয়ের তলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

কাঁদে প্রাণ যবে আঁখি
সযতনে শুকায়ে রাখি;-
নিরমল নয়নের জলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

একটি স্নেহের কথা
প্রশমিতে পারে ব্যথা -
চলে যাই উপেক্ষার ছলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

মহৎ উদ্দেশ্য যবে,
এক সাথে মিলে সবে,
পারি না মিলিতে সেই দলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।

বিধাতা দেছেন প্রাণ
থাকি সদা ম্রিয়মাণ;
শক্তি মরে ভীতির কবলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০



সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×