আরাধনায় না হলে ফিরে যাওয়াই সুখ। আমিও ফিরে যাবো- তোর বেদনা বোধনের জন্য
এটাই শেষ অস্ত্র ছিল। বেদনাবোধ কিংবা করুণা কোনোটাই পাথরে জমে না।
তোর নিশ্বাসের ঘ্রাণ পাই শহরের ভিড়ে ঢুকেই
এ লোভে প্রতি ভোরে পদব্রজে নামি
সারাদিন হেঁটে হেঁটে তোর জানালার কিনারে এলে সূর্যের আগুনে চোখ গলে যায়
সন্ধ্যার ডামাডোলে ফুঁসে উঠলে নাগরিক রোমান্স
নিস্তরঙ্গ অন্ধকারে ছত্রাকের খোয়ারে শরীর মুড়িয়ে মরে থাকি
তবু তোর নিশ্বাসের ঘ্রাণে বুঁদ হয়ে বেঁচে যাই প্রতিটা ভোরে, আর তোকে দেখবার
লোভে আবারো দিঘল যাত্রায় পদব্রজে নামি। এ শহর মনে রাখে না কাউকে। সকাল
ও দুপুরের পদচিহ্ন গোধূলিতে মিশে যায় কূলটা ধুলোয়।
আমিও ফিরে যাবো- শহর থেকে অনেক দূরে, দেশ থেকে
অকূল অরণ্যের দেশে। প্রশান্ত নীলনদ, ইতিহাসের মমি, সভ্যতার জন্য যুদ্ধ-
অবিরাম অধীর হাত নেড়ে আমাকে ডাকে।
আর তো কটা দিন তোর জানালার পাশে। তারপর তোর নিশ্বাসের ঘ্রাণ
আর কখনোই আমাকে ছোঁবে না।
২ জুলাই ২০১০
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৬