somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকাশের নির্ধারিত অনিবার্য পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইহুদি জাতি

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাদিসে কেয়ামতের আগে ইহুদিদের উপর একটি গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। বলা হয়েছে গাছ পাথরও মুসলমানদের ডেকে ডেকে বলবে আমার পেছনে একজন ইহুদি লুকিয়ে আছে, ওকে হত্যা করো। এই হাদিসগুলো পড়ার সময় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে, একটি বিশেষ ধর্মের মানুষকে শুধু তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই হত্যা করা হবে কেন? শুধু কোন ধর্মের অনুসারী হওয়ার কারণে কাউকে হত্যার অনুমোদন কি মানুষের ন্যায়বোধ বা ইসলাম করে? এই কালে এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে ইহুদিদের একক রাষ্ট্র ইজরাইল ও এর জনগণের কাছে। গত ছয় দশকে এই অবৈধ রাষ্ট্রটির কল্যাণে গোটা পৃথিবীতে ইহুদিরা জাতিগতভাবেই ডাকু ও রক্তলোলুপ পিশাচের পরিচয় পেয়েছে। আগ্রাসী যুদ্ধবাজ অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে ইজরাইলের গুণগত পার্থক্য হলো অন্য আগ্রাসী রাষ্ট্রের অপরাধের বেশিরভাগের দায় শুধু সরকার বহন করলেও ইজরাইলে এক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সরকার ও জনগণ একাকার হয়ে গেছে। অন্য দেশ যখন যুদ্ধ করে, গণহত্যা ও অন্যান্য যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করে, তখন দায়ী হয় রাষ্ট্র ও সরকারের সাথে জড়িত কিছু মানুষ। ইজরাইলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি হলো, হিংস্রতা ও হত্যাযজ্ঞে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে ইহুদি রাষ্ট্রটির প্রতিটি অপরাধে দায়ী হয় একটি পুরো ধর্মীয় জাতি। একটি ধর্মের আটানব্বই শতাংশ মানুষ। এবারের যুদ্ধে একটি ঘটনা মিডিয়ায় এসে হতবাক করে দিয়েছে পৃথিবীকে। গাজায় যখন বিমান হামলা চলছিলো, রাতের গাজা যখন আগুনের নিষ্ঠুর হলুদ আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে, প্রতিটি আক্রমণের সাথে যখন গাজা থেকে ভেসে আসছে মরণাপন্ন নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী শিশুদের আর্ত চিৎকার, ইজরাইলের সীমান্তবর্তী পাহাড়ে তখন শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিলো গাজায় তাদের বিমানবাহিনীর কীর্তি উপভোগের জন্য। প্রতিটি আক্রমণের সাথে, কেয়ামত কবলিত গাজা থেকে ভেসে আসা প্রতিটি আর্ত চিৎকারের সাথে সাথে সেখানে আনন্দধ্বনি উঠেছে। বোমার শেলে আহত, মৃত্যুপথযাত্রী যন্ত্রণাকাতর মানুষের, নারী শিশুর আর্ত চিৎকার শুনে এই মানুষরূপী জানোয়ারগুলো উল্লাসে চিৎকার করেছে। হাততালি দিয়েছে। আল জাজিরা খবরটি দিতে গিয়ে নাকি তিনটি শব্দ ব্যাবহার করেছে ‘নিষ্ঠুর’! ভয়াবহ’!! ‘নৃশংস’!!! এরচেয়ে ক্রিটিক্যাল আর কোন শব্দ বোধহয় ছিলোনা প্রতিবেদকের অভিধানে। মনুষ্য ও মানবতার এত ভয়াবহ অধঃপতন পৃথিবীর অন্য যে কোন জায়গায়ই কল্পনাতীত। গত ছয় দশকে হিংস্রতা ও নৃশংসতার অনুশীলন করে করে একটি পুরো জাতি যে মানুষের মুখোশে রক্তলোলুপ শয়তান হয়ে উঠেছে, এই ঘটনাটি যেন চোখে আঙুল সেটে দেখিয়ে দিলো বিশ্ববাসীকে। মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে আরেক ইজরাইলি নারীর উক্তি। এই নারী ইজরাইলের অতি ডানপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন জুইশ হোমের নারী সাংসদ আলিয়াত শেকাদ। একজন নারী হয়ে তিনি ফিলিস্তিনি মা’দের হত্যার আহ্বান জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি মায়েদের অপরাধ তারা তার ভাষায় ‘ক্ষুদে সর্পছানা’দের জন্মদাত্রী। গত ১৩ জুলাই এই ফিমেল ভ্যাম্পায়ার বেসামরিক জনগণ ও নারী শিশুদের হত্যার পক্ষে তার জানোয়ার-মস্তিষ্ক-প্রসবিত যুক্তি তুলে ধরে নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “প্রতিটি সন্ত্রাসীর পেছনে রয়েছে অনেক নারী ও পুরুষ, যাদের সাহায্য ছাড়া তিনি সন্ত্রাসবাদে যুক্ত হতে পারেন না। তাদের সবাইকে শত্রুপক্ষীয় যোদ্ধা হিসেবে গণ্য করতে হবে। তাদের মধ্যে রয়েছে সেই সব নিহত সন্তানদের মায়েরাও, যারা তাদের সন্তানদের ফুল ও চুমু দিয়ে নরকে পাঠায়। তাদেরও তাদের সন্তানদের পরিণতি বরণ করা উচিত। এর চেয়ে ন্যায়বিচার আর কিছু নেই। ধ্বসে পড়া বাড়িগুলোর মতো তাদেরও ধ্বংস হওয়া উচিত। সেই বাড়িগুলো, যেখানে তারা ‘সাপ’ লালন-পালন করেছে। তা না হলে আরও ‘বাচ্চা সাপ’ সেখানে লালিত-পালিত হবে।” যে জাতির নারীরা এই ভাষায় ভেতরের উন্মাদ হিংস্ররতা উগরে দিতে পারে, সেই জাতির মানবিক অধঃপতনের মাত্রা বুঝতে কষ্ট হয় না। আলিয়াত শেকাদ এখানে অন্য ইজরাইলি নারীদের প্রতিনিধি। যাদের বেশিরভাগ তার মত করেই ভাবেন। ফিলিস্তিনি নারীদেরও মরতে হবে কারণ তারা নিজের পিতৃভিটার জন্য লড়াই করা ফিলিস্তিনি যুবকদের মা! এভাবে পুরো ইজরাইলি জাতি, অন্য কথায় পুরো ইহুদি জাতি জঘন্য ও ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধে সম্মিলিত ভাবে শরিক হয়ে, জাতিগত ভাবে হিংস্রতাকে লালন করে, নৃশংসতার অনুশীলন করে জাতিগত ভাবেই মানুষরূপী পিশাচে পরিণত হচ্ছে। সভ্য পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য অনুপযোগী করে তুলছে নিজেদেরকে। বিশ্বশান্তির পূর্বশর্ত হিসেবে এই অভিশপ্ত জাতিটি নিজেরাই নিজেদের উপর একটি ‘সর্বাত্মক নির্মূল অভিযান’কে আবশ্যক করে তুলছে। পদে পদে আকাশের নির্ধারিত অনিবার্য পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইহুদি জাতি।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×