somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রিক মিথ - প্রমীথিউসের আগুন চুরি ও প্রথম রমনী প্যানডোরার আগমন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যেখানে দেবতা সেখানেই দানব, যেখানে নর যেখানেই নারী। দেবতাদের কথা বললে তাই দানবরাও এসে যায়। তো প্রমীথিউস ছিলো এক দানব পুত্র, তবে সে ছিলো খুবই বুদ্ধিমান ও চালাক। দেবতা জিউস দুই ভাই প্রমীথিউস ও ইপিমীথিউসকে পৃথিবী ভরিয়ে তোলতে বিভিন্ন প্রাণী বানানোর নির্দেশ দিলো। ইপিমীথিউস বিভিন্ন ধরণের প্রাণী বানালো আর তাতে জিউসের বরাদ্দকৃত উপহারগুলো জুড়ে দিলো; যেমন - নরম লোম, নখরযুক্ত পা, পাখা, ডানা, শিং প্রভৃতি। এই উপহারগুলো বন্টনের দায়িত্ব ছিলো প্রমীথিউসের কাঁধে। কিন্তু ধূর্ত, ফাঁকিবাজ, দেবতার আদেশ অমান্যকারী প্রমীথিউস সে সময় নিজ কাজ ছেড়ে ব্যস্ত ছিলো অন্য কিছু বানাতে। প্রমীথিউস মাটি ও পানি দিয়ে আপন মনে অন্য এক প্রাণী বানালো। দেবতার আদলে সে বানালো নর, জীবন দিলো তাতে।



ভাইয়ের কাজগুলোও করে দিতে ইতোমধ্যে সমস্ত উপহার শেষ করে ফেলেছে ইপিমীথিউস, তাই মানবকে দেয়ার মতো জিউসের উপহারগুলোর কিছুই পেলো না প্রমীথিউস। কিছু সময় পর মানব স্রষ্টা মানবদেরকে নির্বোধ ও বিরক্তিকর মনে করতে শুরু করলো। সে মানুষকে আরো আকর্ষনীয় ও হৃদয়গ্রাহী করতে তাদের আগুন উপহার দিতে চাইলো। কিন্তু প্রমীথিউস দেবতা জিউসকে জিজ্ঞেস করলে জিউস মানুষকে আগুন না দিতে কড়া হুশিয়ারি দিলো। প্রমীথিউস চেয়েছিলো আগুনের মাধ্যমে মানুষকে আলো, সাহস, যন্ত্রপাতি, উন্নত খাদ্য, আরাম ও সমৃদ্ধি দিতে। পক্ষান্তরে জিউস বললো যে মানুষ আগুন পেলে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি দেবতাদের পূজাও ছেড়ে দিতে পারে।



মানবের প্রতি প্রমীথিউসের ছিলো পরম ভালোবাসা; সে শীতে কম্পনরত, অন্ধকার রাত্রিতে ভীত ও কাঁচা খাদ্য গ্রহীতা মানবের জন্য দুঃখী হয়ে উঠলো। গমন করলো অলিম্পাস পাহাড়ে, দেবতা জিউসের প্রাসাদ থেকে কাঠকয়লার এক মশালে করে আগুন চুরি করলো।



তারপর সে আগুন নিয়ে গেলো মানবদের কাছে, দেখিয়ে দিলো আগুন ধরানোর কৌশল। প্রমীথিউসের সে বিশেষ উপহার মানুষের কষ্ট লাঘব করলো, উন্নত করলো জীবনযাপন।



জিউসের রাগ প্রশমিত করতে প্রমীথিউস মানবকে প্রাণী পুড়ানোর প্রস্তাব করলো। এ উপলক্ষে সে একটি বৃহৎ ষাড় পুড়ালো। যখন জিউস রান্নার ঘ্রাণ পেলো আর অন্ধকারে আলো দেখলো, তখন সে বুঝতে পারলো এ কাজ প্রমীথিউসের। পশু বিসর্জন ও মানবের পূজা পেয়ে সাময়িকভাবে রাগ দমন করলো জিউস। কিন্তু মানব জাতিকে শায়েস্তা করতে ক্ষিপ্ত জিউস, দেবতা হিফেসটাসকে কাদা-জলে একজন মানবীর ছাঁচ তৈরী করতে বললেন। সে সিদ্ধান্ত নিলো ঐ নারীকে দিয়েই প্রমীথিউসের সৃষ্ট নরদের শাস্তি দিবে।



হিফেসটাস ছিলো জিউস ও হেরার সন্তান। দেবতাদের ভেতর একমাত্র হিফেসটাসই ভীষণ কুৎসিত ছিলো, তাই তাকে দেবী হেরা অলিম্পাস পাহাড় থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে। এতে পা খোঁড়া হয়ে যায় হিফেসটাসের। সে ছিলো আগুন ও কামারশালার দেবতা; কামারশালার জন্য সে ব্যবহার করতো জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি, নিয়ন্ত্রণ করতো উত্তপ্ত লাভা। দেবী আফ্রোদিতিকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েছিলো হিফেসটাস; মতান্তরে দেবী আগলাইয়া।





কারিগর দেবতা হিফেসটাস পানি ও মাটি দিতে তৈরী করলো এক মানবী। বিভিন্ন দেবতা সে নারীকে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিভা দান করলো। যেমন আফ্রোদিতি তাকে রূপ দিলো, আপোলো দিলো সঙ্গীত, হার্মেস দিলো বোধ বা প্রত্যয়, দেবী এথেনা দিলো মেয়েলী চাতুরী এবং অন্য দেব-দেবীরাও দিলো অনেক কিছু। এভাবে উপহারের সমষ্টি পৃথিবীর প্রথম মানবী হয়ে উঠলো প্যানডোরা।





দেবতা জিউস প্রমীথিউসকে বললো প্যানডোরাকে বিয়ে করতে। এটা জিউসের কোন কূট চাল মনে করে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালো প্রমীথিউস। অতঃপর জিউস প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে বজ্র কন্ঠে বললো - 'প্রমীথিউস, তোমার কত বড় সাহস যে আমার নির্দেশ অমান্য করো? আমি অবশ্যই তোমাকে এর শাস্তি দেবো'। তারপর জিউস বিশাল এক পাহাড়ে প্রমীথিউসকে পাথরের সাথে শেকলে বেঁধে রাখলো। প্রতিদিন ইথোন নামের একটি ঈগল পাখি সেখানে আসতো, পাখিটি প্রমীথিউসের যকৃত বা কলিজা ছিঁড়ে খেতো। আর প্রতি রাতে প্রমীথিউসের যকৃত নতুন করে জন্ম নিতো। আবার সকালে আলো ফোঁটলে কলিজা খেতে চলে আসতো পাখিটি। জীবন-মৃত্যুর এক শোচনীয় অবস্থার ভেতর তার দিন কাটতে থাকলো।







এরপর জিউস নতুন এক বুদ্ধি আঁটলো, দেবতা হার্মেসকে দিয়ে মানবী প্যানডোরাকে উপহার হিসেবে পাঠালো প্রমীথিউসের ভাই ইপিমীথিউসের কাছে।



হার্মেস হলো দেব-দেবীদের বার্তা ও বস্তু বাহক দেবতা; উড়ে চলতো প্রচন্ড বেগে দেব-দেবীদের কথা মতো অলিম্পাস-আকাশ-পাতাল-সমুদ্রতল - সমগ্র জগৎ।





আর এ কাজে দেবতা হার্মেস সাহায্য পেতো রংধনুর সুন্দরী দেবী আইরিসের।



আইরিসও বাতাসের বেগে মেঘে মেঘে আকাশ, পাতাল, সাগরতল চষে বেড়াতো।







যদিও প্রমীথিউস তার ভাইকে সতর্ক করেছিলো দেব-দেবীর কাছ থেকে কোন উপহার না নিতে, কিন্তু প্রচন্ড আবেদনময়ী প্যানডোরাকে সে গ্রহণ করে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে করে ফেললো।



নতুন দম্পতিকে দেবতা জিউস একটি রহস্যাবৃত বাক্স উপহার দিলো, যার ভেতর লোকানো আছে মানব জাতির জন্য সমস্ত কল্যাণ। কিন্তু শর্ত থাকলো - কিছুতেই কোন অবস্থাতেই খোলা যাবে না সে বাক্স।



ইপিমীথিউস সে বাক্স রক্ষার ভার প্যানডোরাকে দিয়ে কখনো বাক্স না খোলার আদেশ দিলো।





তারপর একদিন বাক্স হাতে নিয়ে প্যানডোরা প্ররোচিত হলো তার স্বাভাবিক ঔৎসুক প্রবণতায়। দেখতে চাইলো কি আছে বাক্সের ভেতর, খোলে ফেললো সে বাক্স। পরিণামে বাক্স থেকে বেরিয়ে আসতে থাকলো শয়তানেরা, সেগুলো সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলো। প্যানডোরা তার ভুল ও নির্বুদ্ধিতা বুঝতে পারলো আর দ্রুত বন্ধ করতে চেষ্টা করলো সে বাক্স। কিন্তু ততক্ষণে বাক্সের ভেতরের সকল কিছু পাখা মেলে পালিয়ে গেলো। শুধু এক কোনায় পড়ে থাকলো সবচেয়ে কম পাপিষ্ট একটি বস্তু - আসন্ন বিপদের অনুভূতি বা পূর্বানুভব। প্যানডোরা শুধু পূর্বানুভবকেই আটকাতে সক্ষম হলো।





পূর্বানুভবকে আটকানো না গেলে প্রতিদিন প্রতিটি মানুষ বলতে পারতো সেদিন কি কি ঘটবে। এতে করে মানুষের সমস্ত আশা বা প্রত্যাশা শেষ হয়ে যেতো। এভাবে পূর্বানুভবের বাক্সে থেকে যাওয়ায় মানুষের জন্য আশা বেঁচে থাকলো, আর সকল পাপ মানুষের চারপাশ গ্রাস করলো। মানুষও প্রতিটি সূর্যদয়ের সাথে নতুন নতুন আশায় আগের মতোই দিনের কাজ শুরু করলো। বেঁচে থাকলো মানুষ আশায় আশায়।











এদিকে প্রমীথিউসের জন্য বরাদ্দ ত্রিশ হাজার বছরের শাস্তির মধ্যে ৩০ বছর কেটে গেলো। হেরাক্লীস বা হারকিউলিস একদিন সে পথ দিয়ে যাচ্ছিলো, প্রমীথিউসের বুক থেকে কলিজা খাওয়া দেখে তীর ছুড়ে হত্যা করলো সে ঈগল পাখিটিকে। মুক্তিপ্রাপ্ত প্রমীথিউস ক্রীতদাস হয়ে থাকলো হেরাক্লীসের। মুক্তির এ ঘটনায় জিউস কিছু মনে করলো না, কারণ বিষয়টি হেরাক্লীসকে গৌরব এনে দিয়েছিলো। আর জিউসের অনেক আদরের পু্ত্র ছিলো হেরাক্লীস। প্রমীথিউসকে পুনরায় অলিম্পাসে জায়গা দেয়া হলো, যদিও তাকে বহন করতে হতো সে পাথরটি যাতে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিলো। আগুনের উপস্থাপক ও প্রথম পশু বিসর্জনের প্রচলনকারী হিসেবে প্রমীথিউসকে দেখা হয় মানব সভ্যতার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে।






প্রমীথিউসকে নিয়ে Lord Byron (George Gordon) এর লেখা একটি বিখ্যাত কবিতা -

Prometheus (1816) - Lord Byron
Titan! to whose immortal eyes
The sufferings of mortality,
Seen in their sad reality,
Were not as things that gods despise;
What was thy pity's recompense?
A silent suffering, and intense;
The rock, the vulture, and the chain,
All that the proud can feel of pain,
The agony they do not show,
The suffocating sense of woe,
Which speaks but in its loneliness,
And then is jealous lest the sky
Should have a listener, nor will sigh
Until its voice is echoless.

Titan! to thee the strife was given
Between the suffering and the will,
Which torture where they cannot kill;
And the inexorable Heaven,
And the deaf tyranny of Fate,
The ruling principle of Hate,
Which for its pleasure doth create
The things it may annihilate,
Refus'd thee even the boon to die:
The wretched gift Eternity
Was thine—and thou hast borne it well.
All that the Thunderer wrung from thee
Was but the menace which flung back
On him the torments of thy rack;
The fate thou didst so well foresee,
But would not to appease him tell;
And in thy Silence was his Sentence,
And in his Soul a vain repentance,
And evil dread so ill dissembled,
That in his hand the lightnings trembled.

Thy Godlike crime was to be kind,
To render with thy precepts less
The sum of human wretchedness,
And strengthen Man with his own mind;
But baffled as thou wert from high,
Still in thy patient energy,
In the endurance, and repulse
Of thine impenetrable Spirit,
Which Earth and Heaven could not convulse,
A mighty lesson we inherit:
Thou art a symbol and a sign
To Mortals of their fate and force;
Like thee, Man is in part divine,
A troubled stream from a pure source;
And Man in portions can foresee
His own funereal destiny;
His wretchedness, and his resistance,
And his sad unallied existence:
To which his Spirit may oppose
Itself—and equal to all woes,
And a firm will, and a deep sense,
Which even in torture can descry
Its own concenter'd recompense,
Triumphant where it dares defy,
And making Death a Victory.




উৎসর্গ: রহস্য প্রিয় ও বিজ্ঞ *কুনোব্যাঙ* ভাইকে।


গ্রিক মিথ নিয়ে আগের তৃতীয় পোস্টের লিঙ্ক:অপহরণের গ্রীক মিথ - পাতাল দেবতা হেডেজ ও দেবী পার্সেফোন। ১৮+
৬৭টি মন্তব্য ৬৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×