"দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পুর্ব দিক থেকে ঘন্টায় -- কিমি বেগে দমকা হওয়া বয়ে যাবে, হালকা অথবা ভারী বৃষ্টি অথবা বজ্র সহ বৃষ্টি হবে। এসব এলাকার নদী বন্দর গুলোকে ১ থেকে ৩ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে " মডেলের পুর্ভাবাস আমাদের কৃষি ও মৎস্য শ্রমিকের কাছে অর্থ হীন। এই সব ফালতু সতর্কতায় অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটে না।
আবহাওয়ার পুর্বাভাস এমন হওয়া দরকার যাতে তা অর্থনৈতিক ভাবে ফলপ্রসূ হবে! দরকার টেকসই আবহাওয়ার পুর্বাভাস মডেল।
১। জলবায়ু পরিবর্তন মেজারমেন্ট প্ল্যান-
ক। সরকারকে জলবায়ু পরিবর্তন মেজারমেন্ট প্ল্যান এবং মেজারমেন্ট টুলস ডেভেলপ করা বা এতদসংক্রান্ত কারিগরি সক্ষমতা আয়ত্ত্ব করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে এবং সেগুলোকে ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানে এ সমন্বিত করা।
খ। সরকারকে ক্লাইমেট ফ্রুফিং মেজার এবং টুলস বাবদ দুর্নীতি মুক্ত মানসম্পন্ন খরচ এর তরে ফাইনান্সিয়াল সাপোর্ট দিতে হবে।
গ। ডিজাইন স্টেইজ এই এন্ড টু এন্ড ইকোনোমিক রিস্ক এসেস্মেন্ট, বিভিন্ন অবকাঠামোর এডাপ্টেশন মেজার (বিশেষ করে রাস্তা , বাঁধ, জলাবদ্ধতা এবং ড্রেনেইজ অবকাঠামো, বাঁধের ক্ষয় রোধ) নেবার উপর জোর দিতে হবে।
২। কৃষি আবহাওয়া মেজারমেন্ট প্ল্যান-
বিশ্বের সবচাইতে বেশি বৃষ্টিপাতের অঞ্চল ভারতীয় সেভেন সিস্টার্স এর রেইনফল থেকে (বিশেষ করে মেঘালয়) যে সম্ভাব্য ও বিপুল পরিমাণ পানি আসবে, কিংবা গঙ্গা যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের উজানের বেসিন থেকে মৌসুমে কি পর্যায়ের জলধারা বাহিত হয়ে আসবে তার ফোরকাস্ট সঠিক সময়েই বাংলাদেশেই করা চাই। এতে করে কৃষক তার ধান কাটার সময়, বীজ বপনের সময়, জমি তৈরির সময় এডজাস্ট করে নিয়ে কৃষি শ্রম ব্যবস্থাপনা, স্টোরেইজ ইত্যাদি ইফিশিয়েন্ট এবং সাশ্রয়ী করতে পারবেন।
ওয়েদার ফোরকাস্ট বেশ আগে থেকে জেনে আগাম ঘুর্ণিঝড়, বৃষ্টি ও বন্যা, শৈত্য প্রবাহ সতর্কতা জারি এবং সেই সাথে কৃষি ও মৎস্য ব্যবস্থাপনার ক্ষতি কামোনোর প্রোগ্রাম ডেভেলপ করতে হবে।
আমাদের একটি বন্যা ও জলাবদ্ধতা ভিত্তিক হাওড় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাও দরকার।
বাংলাদেশের মেটেরিওলোজি বিভাগে উচ্চ মান টুলস না (সেটা অবিশ্বাস্য, তবে চুরির কারণে অতি উচ্চ দামে কিনা অতি নিন্ম মানের টুলস কাজ করে না) থেকে থাকে, তাইলে অনলাইন টুলস ও সফটওয়্যার, ফ্রি ওয়েদার রিলেটেড এপস অথবা স্যাটেলাইট ইমেজ এনালাইসিস থেকে রেইনফল সামারি দেখেই টের পাওয়া যায় সম্ভাব্য বৃষ্টিপাত এবং ধেয়ে আসা পানির ভলিউম কেমন হবে। ভারত বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানির আঁধার করে না, ফলে এই পানি ভাটিতেই আসবে তা ধর্তব্য!
অবিরাম বৃষ্টির পরে পানি বান ও ঢলের পানি ধেয়ে আসার ঠিক দুই দিন আগে পুর্ভাবাস দেয়ার বর্তমান পদ্ধতি অগ্রহণযোগ্য। এটাকে পুর্ভাবাস বা সতর্কতা জারি বলা যায় না।
৩। মৎস্য শ্রমিকের জন্য সঠিক সতর্কতা ব্যবস্থা দরকার। এটা রেডিও কিংবা সাধারণ এস এম এস ভিত্তিক করেও লাভ হবে না। বরং করতে হবে জিপিএস ভিত্তিক এবং মোবাইল ফোনে ইন্টিগ্রেটেড সেল এলার্ট ভিত্তিক। যাতে প্রাণ ও সম্পদের সুরক্ষা সেন্সিবল হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫৪