somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারকে শিক্ষায় বরাদ্দ এবং অংশগ্রহণ দুটোই অনেক বেশি বাড়াতে হবে।

১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৯৯১ এর পরে শিক্ষা উপবৃত্তি চালু হলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা এবং নারী শিক্ষা বিশেষ গতি লাভ করে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে ছেলেদের জন্য অষ্টম এবং মেয়েদের জন্য দ্বাদশ পর্যন্ত উপবৃত্তি বর্ধিত করা হয়। কিন্তু বিগত ১ দশকে শিক্ষা সম্প্রসারণে নতুন কোন প্রণোদনা নেই। উল্টো আছে ফাঁস চর্চাকে প্রতিষ্ঠিত করে শিক্ষা হীনতার কূটচাল।

ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে শিক্ষা উপবৃত্তি অন্তত দ্বাদশ পর্যন্ত বাধ্যতামুলক করুণ। শিক্ষা উপবৃত্তির সাথে সাথে সকল পাবলিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি মৌকুফ করতে হবে। নাগরিকের শিক্ষার সাধারণ স্তর নিশ্চিত করতে সব দায়িত্ব এবং খরচ সরকারকে বহন করতে হবে যে কোন ধরণের এক্সকিউজ ছাড়া। একই সাথে বছরে অন্তত একটি স্কুল ড্রেস, এক জোড়া জুতা এবং ১টি স্কুল ব্যাগ দিতে হবে।

রাষ্ট্র হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক বেইল আউট দিয়ে ঋণ জালিয়াতির নামে কৌশলে পলিটিক্যালি মটিভেটেড বাজেট লুটপাট অব্যহত রাখে অথচ উন্নত শিক্ষা ও মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাপনা বরাদ্দের ব্যাপার আসলে আর্থিক অজুহাত দেখিয়ে জনস্বার্থ্য সংশ্লিষ্ট খরচ থেকে দূরে থাকে। এই দুর্বিত্তপনার অবসান চাই। শিক্ষার সাথে প্রযুক্তি মিলিয়ে দেশের শিক্ষা বাজেট বেশি দেখানোর যে দুর্বিত্তপণা তাকে বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্র নিজেকে মধ্যবিত্ত হয়ে উঠার রাজনৈতিক দম্ভ অহংকার দেখায়, তা আচরণে না হয়ে নাগরিক সেবায় চর্চিত ও প্রতিফলিত হোক।

এখনও দেশে স্কুল ড্রেসের অভাবে বাচ্ছারা স্কুলে যেতে অনীহা দেখায়, অবিভাবকদের ড্রেস বানিয়ে দিবার সাধ্য হয়না। এখনও রেজিস্ট্রেশন ফির অভাবে ছাত্র ছাত্রীদের পাবলিক পরীক্ষা দেয়া মুশকিল হয়, এর জন্য ধার দেনা করতে হয়। এমনকি পরিবার গুলো উচ্চ সুদে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে পাবলিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফি জোগায়। এর বাইরে রেজিস্ট্রেশন ফির নাম করে স্কুল গুলো বর্ধিত ফি নেয়, এই ফি সম্পূর্ণ রূপে তুলে দেয়া হোক।

নির্দিষ্ট পরিমান ভূমি নাই এইধরনের কৃষক, সম্পূর্ণ ভূমি হীন কৃষক, বস্তি বাসী, রিক্সা অয়ালা, ভাসমান শ্রমিক, ভুমি হীন উপজাতি ইত্যাদি এবং বিশেষ ভাবে গার্মেন্টস পরিবারের জন্য কৃষি ও শিল্পে শিশু শ্রমের ইকুইভালেন্ট মানে উপবৃত্তি সহ উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা উপকরন দেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। সেই সাথে এই ধরণের গরীব শ্রমজীবি ও কৃষি পরিবার যাতে বাচ্ছাদের স্কুলে পাঠায় এবং সন্তানের শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হয় তার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থাও তৈরি করতে হবে। আমাদের সমাজ শিক্ষায় যথেষ্ট পশ্চাৎপদ, এর উত্তোরণ জরুরী।


ফ্রি প্রাথমিক, ফ্রি মাধ্যমিক, ফ্রি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা, সেই সাথে ফ্রি শিক্ষা উপকরনের বন্দোবস্ত করতে হবে। শিক্ষা উপকরন হিসেবে বই, নির্দিষ্ট সংখ্যক খাতা-কলম-পেন্সিল, বছরে একটি স্কুল ব্যাগ , একটি স্কুল ইউনিফর্ম এবং একজোড়া জুতা প্রদানকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর মধ্যে প্রতিটি শিক্ষার্থী কে একটি জ্যামিতি বক্স ফ্রি দেয়া যেতে পারে। এটি ক্লাস সিক্স এ উঠলেই ফ্রি বই বিতরনের সময় দেয়া যেতে পারে।

ফ্রি শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থী দের বাড়তি অনুপ্রেরণা দিবে, শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থী ও শ্রমঘন পরিবারগুলোর বাড়তি মটিভেশন আনবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×