somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বালিকা বিলাস

১৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদের এই আনন্দ মুখর সময়ে আজ কিছু স্মৃতিগুচ্ছ লইয়া উপস্থিত হইয়াছি। মনে হইতেছে যেন সুখের স্মৃতি ভাগ বাটোয়ারা করিতে কলম ধরিয়াছি। বস্তুত তাহা নহে, এক অম্ল-মধুর কষ্টের স্মৃতি ভাগ করিতেছে যাতে সেই কষ্টের ভার খানিক লাঘব হয়। আবার এককালের কষ্ট কালের প্রলেপ মাখিয়া সুখকর স্মৃতিতে পরিণত হয়।

মনুষ্যজীবন এক বিচিত্র পুস্তিকা বটে। জীবনের নানান ঘটনাপ্রবাহ যেন বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভক্ত হইয়া থাকে। চমকপ্রদ হইলেও সত্যি প্রতিটি অধ্যায় পরিবর্তনের কালে আকস্মিক কিছু নাটিকার আবির্ভাবের কারণেই জীবনপ্রবাহ জীবন থাকে। তেমনি এক অধ্যায় পরিবর্তনের প্রবাহকালে কিছু ঘটনার ঘনঘটা জীবনে স্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে।

সেই সময়টা ছিল কৈশোর হইতে তারুণ্যের স্রোতে ভেলা ভিড়াইবার। সদ্য এস এস সি পরীক্ষা পাশ করিয়াছি বিজ্ঞান বিভাগ হইতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে - অতি অল্প কয়েকটি নম্বরের অভাবে শহরের অভিজাত কলেজগুলিতে বিজ্ঞান বিভাগে স্থান পাইলাম না। বড়ই কষ্টকর দিনগুলি অতিবাহিত হইতেছিল। বন্ধুদের সাফল্যে তখন কাষ্টহাসি ঝুলাইয়া রাখিতাম সম্মুখে - আড়ালে ছিল কষ্ট এবং ঈর্ষা। দাঁতমুখ খিঁচিয়া দিবারাত্রি বিগত বছরগুলির ফাঁকিবাজির ফাঁকফোকর ঘুচাইয়া অবশেষে সিটি কলেজে সেই বিজ্ঞান বিভাগেই ভর্তি হইলাম।

চমৎকার এক সকালে প্রথম ক্লাস করিবার তাগিদে ঘর হইতে বাহির হইতেছি। বাবা ডাক দিয়া কহিল রাজনীতির ধারে কাছে দিয়া গমন করিলে পশ্চাদ্দেশের ভৌগলিক অবস্থান পরিবর্তন হইয়া যাইবে। বোনেরা কহিল কোন মেয়ের পাল্লায় যেন পড়িয়া ভারী করিয়া না ফেলি নতুবা সেই ভার বহন করিতে ছত্রছান হইয়া যাইতে হইবে। মাথা নাড়াইয়া তাহাদের পরামর্শে সায় দিয়া বাহির হইলাম। এই প্রথম লক্ষ্য করিলাম বিদ্যালয় জীবন হইতে কলেজের চৌহদ্দিতে প্রবেশের পূর্ব হইতেই আদেশসমুহ ক্রমে ক্রমে পরামর্শে পরিণত হইতেছে। অতি উৎফুল্ল চিত্তে দ্বিচক্রযানে চড়িয়া বসিলাম। কাচা মিষ্টি রোদে প্রফুল্ল হৃদয়ে “মন শুধু মন ছুঁয়েছে” গুনগুন করিতেছিলাম - কিন্তু মন দিয়া মন ছুঁইবার জাদুকরী বিদ্যা বিষয়ক জ্ঞানের কোঠা যে একেবারে শুন্য ছিল। তবু গানের বাণী না বুঝিলেও সুরের মাধুর্যে তাহা অতি উপাদেয় লাগিতেছিল।

ইতোমধ্যে রিক্সা হইতে নামিয়া কলেজের প্রবেশদ্বারে কেবলমাত্র দাঁড়াইয়াছি আর অমনি বুকের মধ্যে যেন হাতুড়ি দিয়া কেহ ঘা মারিয়া চলিতেছে এমন বোধ হইল। অনুসন্ধান করিয়া দেখিলাম আমার চক্ষুদ্বয় - একমাত্রিক অভ্যস্থতা হইতে হঠাৎ দ্বিমাত্রিক রঙের মোচড়ে অন্তরপটে চিত্রাংকন শুরু করিয়াছে আর তাহাতেই হৃদযন্ত্র বিক্ষোভ শুরু করিয়া দিয়াছে । ছাত্র ছাত্রীর একত্রে মুখর সে চত্বর আমাকে আপ্লুত করিয়া রাখিয়াছিল যেন। খানিক ধাতস্থ হইয়া কলেজের চত্বর পার হইয়া লাজুক লাজুক দৃষ্টিতে অবলোকন করিতেছিলাম বৈচিত্রময় দৃশ্য। এক পুরানো বন্ধুর সাথে দেখা হইয়া গেল সৌভাগ্যক্রমে। এইবার জোরে নিঃশ্বাস লইয়া বুক ফুলাইয়া কৃত্রিম একখানা ভাব লইলাম - ভাবখানা এমন যে বড় হইয়া গিয়াছি। কলেজে পড়িতেছি - মুক্তবিহঙ হইয়া কেবল উড়িয়া উড়িয়া বেড়াইব। বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করিলাম শ্রেণীকক্ষের অবস্থান - সে আমাকে চারিতলার সর্বপশ্চিমের কক্ষটি দেখাইয়া দিয়া বিদায় নিয়া নিল। সে যাইবে কলাবিভাগের ক্লাসে। সিড়ি দিয়া উঠিতেছি আর নতুন ক্লাস কেমন হইবে সেই চিন্তায় নিমগ্ন থাকিয়া রোমাঞ্চিত হইতেছিলাম।

তৃতীয় তলা হইতে উপরের দিকে উঠিয়া সিড়িঘরের মাঝপ্রান্ত ঘুরিয়া সবেমাত্র শেষ সিড়িগুচ্ছের প্রথম ধাপে পদাস্থাপন করিয়াছি। হঠাৎ বিস্ময়ে আমার চক্ষুদ্বয় বিস্ফারিত হইয়া হৃদযন্ত্রে বার্তা পাঠাইয়াছে যাহার তথ্যের উদযাপন করিতে হৃদযন্ত্রের চারিটি প্রকোষ্ঠ নাচিয়া উঠিয়াছে এবং সেই শব্দের ঢাকতাল আমার কর্ণকুহরে পর্যন্ত প্রবেশ করিয়াছে। আহা সে কি দৃশ্য!! একটি মাঝারী উচ্চতার বালিকার মুখমন্ডল এতখানি মায়ার আধার হইতে পারে তাহা আমার কল্পনার অতীত ছিল। আমার চারিপাশ হইতে যেন আমি হারাইয়া গেলাম। কর্ণদ্বয়ে হৃদয় বুদবুদের দ্রিম দ্রিম শব্দ ভিন্ন আর কিছুই প্রবেশ করিতেছিলোনা, চক্ষুদ্বয় যেন শুধুমাত্র তাহাকেই অবলোকন করিতেছিল - আশেপাশের কিছুই গোচরীভূত হইতেছিলোনা। দেখিতেছিলাম মধুমাখিয়া অধরে হাসি ফুটাইয়াছে যেন পুস্পবাগে গোলাপ ফুটিয়া রহিয়াছে । হাওয়ার কোমল স্পর্শে চুলের এক লহর সম্মুখে আসিয়া কপোল স্পর্শ করিবার আস্পর্ধা দেখাইতেছিল এবং তাহা ফু দিয়া উড়াতে উড়াইতে নামিয়া যাইতেছিল - সিড়ি দিয়া নামিবার ছন্দে ছন্দে আমার মনে তখন কিশোর কুমার গান ধরিয়া ফেলিয়াছেন - আহ হা!!! কি দারুন দেখতে, চোখদুটো টানা টানা যেন শুধু কাছে বলে আসতে। কাছে যাইবার কথা ভাবিতে গিয়া আচমকা নিজেকে আবিস্কার করিলাম ঠায় সেই একই ধাপে দাঁড়াইয়া রহিয়াছি এবং সেই মায়াবতী হারাইয়া গিয়াছে। চকিতে চারিদিকে দেখিয়া কেহ যাতে বুঝিতে না পারে মুখে ভাব করিলাম কিছু ভুলিয়া ফেলিয়া আসিয়াছি এবং সেই সিড়িতে আমার পদযুগল বার কয়েক এদিক ওদিক করিতেছিলো। কিন্তু তাহাকে আর দেখিতে পাইলাম না। সিড়িতে খানিকক্ষন অতিবাহিত করিয়া ভগ্ন হৃদয়ে শ্রেণী কক্ষে আসিয়া আসনে বসিলাম। ভাবিতেছিলাম সে নিশ্চই দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী হইয়া থাকিবে - এরূপ মনকে নানা প্রকারে ভাবিতে নিরুৎসাহিত করিতেছিলাম - কিন্তু হৃদয়ের পর্দা বলিয়া যে কোন এক বস্তু রহিয়াছে এবং তাহাতে ছায়াছবির মত খানিক আগের দৃশ্য পুনঃ পুনঃ প্রদর্শিত হইতে পারে তাহা আমার কল্পলোকেও কল্পনা করি নাই - একেবারে বাকহীন করিয়া ছাড়িয়া দিলো। ক্লাস শুরু হইবার উপক্রম হইতেই দেখি কিছু সংখ্যক মেয়ে শিক্ষকের পিছু লইয়া শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করিতেছে। সবার শেষে দেখি সেই মায়াবতী বালিকা !!! এমন হঠাৎ সুখের পরশে যেন স্থবির হইয়া পড়িলাম। আবারো সেই ত্রিশঙ্কু অবস্থা - না শুনিতেছিলাম শিক্ষকের ভাষ্য না শুনিতেছিলাম আর কারো। খানিকপর সম্বিত ফিরিয়া পাইয়া দেখি শিক্ষক মহাশয় ক্রমিক নম্বর ধরিয়া ডাকিতেছে আর নাম জিজ্ঞাসা করিতেছে। আমার পালা আসিলো এবং এর খানিকপরেই তাহার ক্রমিক নং এবং যথারীতি তাহার নাম উচ্চারিত হইতেছে। সেই নাম এবং ক্রমিক নং আর ভোলা হয় নাই কিংবা বলা যায় ভোলা যায় নাই।

সেইদিন হইতেই শিরা উপশিরাসমুহ বিক্ষোভ মিছিল বাহির করিয়া হৃদযন্ত্রে কড়া নাড়িয়া কহিয়া যাইতেছিলো - ওহে উপায় বাহির কর , উহাকে আমার চাই। যথারীতি গবেষণায় লিপ্ত হইলাম - কিসে বালিকাদের মন পাওয়া যায় - মন দিয়া মন ছুঁইয়া দেয়া যাইতে পারে। সাহস যে একেবারেই নাই বার্তালাপের!! কি করিয়া আকর্ষন করিব আর কি করিয়াই বা তাহাকে পাইব এই লইয়া বিচিত্র অনুভূতির এক অনুসন্ধানের রত ছিলাম -এইসমস্তক্ষেত্রে বন্ধুদের মধ্যে সর্বদাই দেখিয়াছি কেউ না কেউ অভিজ্ঞতাপূর্ণ হইয়া থাকে। এক প্রেমিকপ্রবর বন্ধু কহিল - পুরুষ হইয়া উঠিতে হইবে। বালিকারা পুরুষ পছন্দ করিয়া থাকে - বালকসুলভ অভ্যাস পরিহার করিতে হইবে অতি অবশ্যই। প্রথম ধাপ, পুরুষ হইবার অভিপ্রায়ে যে আমি সবসময়ই বিদ্যালয়ের বখে যাওয়া বন্ধুদিগকে ধুম্রপানে বারণ তথা তাহাদিগকে রীতিমত ভর্ৎসনা করিয়াছি, সেই আমি গোল্ড লীগ নামক একটি ধুম্রশলাকা লইয়া নিউমার্কেটের মোড়ের নার্সারীর পুস্পবাগে বসিয়া তাহা প্রজ্জলিত করিয়াছি। প্রথম টানেই তীব্র কাশিতে দম বন্ধ হইবার উপক্রম হইয়াছিল। তীব্র শ্লেষাত্নক বাক্য ব্যয় করিবো বলিয়া উদ্যত হইতেছিলাম বন্ধু গরম তৈলে যেন আগুন ধরাইয়া কহিল - এই তোর প্রেম!!! সামান্য ধুম্রপান করিতে পারিতেছিসনা। এই দেখ বলিয়া ধুম্রপানের বিশদ কলাকৌশল শিখাইতে ব্যস্ত হইয়া পড়িল। আর আমি সেই বালিকাকে পাইবার অনল অভিপ্রায়ে একেবারে চাতক পাখির ন্যায় উৎসুক হইয়া শিক্ষাগ্রহনে মনসংযোগ করিলাম।। সেইদিন সন্ধ্যায় ধুম্রপানের বীরত্ব অভ্যাস করিবার তরে সগর্বে সংগীতসহকারে ডিসি হিলের পাশ ধরিয়া হাটিয়া চলিতেছিলাম আর মনের পর্দায় সেই দৃশ্যমালা একের পর এক প্রদর্শিত হইতেছিল -কন্ঠে ছিল - আমি দুর হতে তোমারেই দেখেছি আর মুগ্ধ হয়ে চোখে চেয়ে থেকেছি। পরেরদিন গিয়াছি বন্ধুর মীর মঈনের বাসায় - বন্ধু কহিল তোকে আজ কিছু উত্তম মধ্যমের ভাগীদার হইতে হইবে নতুবা জরিমানা প্রদান করিতে হইবে। আমি সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকাইতেই কহিল - বাবা আমারে ধরিয়া তীব্র বাক্যব্যয় করিয়াছে তোর কারনে এবং যথারীতি সন্দেহবশতঃ একপ্রস্থ কাপড়ের ময়লা ঝাড়িয়াছে , গতকল্য তুই নাকি ধুম্রশলাকার ফুৎকারে উড়িয়া চলিয়া একেবারে আমার বাপের মুখে ধুম্রকুন্ডলী নিক্ষেপ করিয়াছিলি। সেইযাত্রায় কোনক্রমে জরিমানা সহকারে মুক্ত হইলাম বটে কিন্তু ক্রমাগত ব্যর্থতায় বড়ই চিন্তাযুক্ত হইয়া পড়িতেছিলাম।

প্রতিদিন ক্লাসে গমণ করিয়া যাইতেছি আর তাকাইয়া থাকি সেই মায়াবতীর দিকে। যেইদিন সে অনুপস্থিত থাকে সেই দিনকে আর দিন মনে হয় না - সব কেমন নিস্প্রাণ হইয়া থাকে। ইহার মাঝে আরো পরামর্শক জুটিয়া গেল - লিটন নামের এক বন্ধু কহিল - আরে এতো একেবারে সোজা - চক্ষুদ্বয় ব্যবহার কর সেই গানের মত - আমি দুর হতে ……। আমি ভড়কাইয়া তাহাকে প্রশ্ন করিলাম চক্ষুদিয়া কি করিয়া কি করিব? সে কহিল - আরে চোখে একেবারে আঠা লাগাইয়া তাকাইয়া থাকবি সাথে স্মিত হাসি। তোর প্রেম সত্য হইলে আঁখিই বার্তা পৌঁছাইয়া দিবে আঁখির নিকটে। অতএব গুরুর বানী অমোঘ ধরিয়া অনবরত তাহার আঁখিপাতে আঁখি সাঁটাইয়া রাখিয়া চলিতেছিলাম। প্রত্যহই ভাবিতেছিলাম বুঝি আজই সমুখে আসিয়া শুধাইবে - অমন করে চেয়ে থাকো কেন। কিন্তু সে আশায় যথারীতি গুড়ে বালি। ইতোমধ্যে আমরা দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইলাম। নতুন ছাত্রছাত্রী একাদশ শ্রেণীতে যাতায়ত শুরু করিয়া দিয়াছে। বন্ধুদের কেহ কেহ রণে ভঙ্গ দিবার উপদেশ দিয়া কহিল - এইগুলি বড়দের খাবার তোমার প্রয়োজন একাদশী বালিকা। কিন্তু ততদিনে যে আমার আঁখি বার্তা পৌঁছাইয়া দিয়াছে এবং আমিও হৃদয়পাতে তাহাকে আসন দিয়া দিয়াছি এবং ইহার শেষ না দেখিয়া অন্য প্রকল্পে হাতই বা কেমনে দেই। এক হৃদয় তো আর চতুর্মুখী বিলাইবার বস্তু নহে - এমন ধারণা তখন ছিল বটে যাহা কালক্রমে ভুল বলিয়া অনেক বন্ধু প্রমাণ করিয়া চলিতেছেন।

একাদশ শ্রেণীতে এক আত্মীয়া ভর্তি হইলো। অতি চঞ্চলা সেই আত্মীয়াটি প্রায়ই খোঁচাইয়া চলিত । একদিন কহিল আরে তোমার সেই বালিকাকে কি আমি তোমার প্রস্তাব প্রদান করিব? যেন হঠাৎ দ্বার খুলিয়া গেল অসীম সম্ভাবনার। কহিলাম তুমি আমাকে কিনিয়া লইয়াছো। যাহা চাহিবা তাহাই পাইবা। অতঃপর এক মাহেন্দ্রক্ষণে বালিকাকে প্রস্তাব প্রদান করা হইলো - অতি বিনয়ের সহিত কহিলো - সে ইতোমধ্যে গাঁটছাড়া বাঁধিয়াছে এক বড় ভাইয়ের সাথে। ভাবখানা এমন যদি সে আঁটঘাট বাঁধা না থাকিতো তবে আমার বাহুডোরে আবদ্ধ হইতে তাহার বিন্দুমাত্র অসুবিধা হইতো না।

এই তীব্র মর্মস্পর্শী ঘটনার পরে লিটনকে পাকড়াও করিয়া ধরিলাম। কহিলাম - কি টোটকা দিয়াছিস - তোর টোটকায় মান ইজ্জতের বেড়া ভাঙ্গিয়া চক্ষুপ্রয়াস করিয়াছি বিনিময়ে কোমল প্রেমকাজল চক্ষুশোভা পাইবো বলিয়া। এখন পাইলাম বিদ্রুপের দৃষ্টি। বন্ধু লিটন কহিলো - সে কি??? ছায়াছবিতে তো হরহামেশা দেখি নায়ক চোখাচোখি করিলেই প্রেম হইয়া যায়!!! অভিজ্ঞ প্রেমিক বন্ধুদের অভিজ্ঞতা ভাগের উপর সেই হইতে বিশ্বাসই উঠিয়া গেল - সেই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বইয়ের এসো নিজে করি - কেই সম্মুখ পথচলায় ধারণ করিবো বলিয়া দৃঢ় পণ করিয়া লইয়াছিলাম।

বালিকাকে পাইবার মোহ কাটিয়া যাইবার পর আবিস্কার করিতে শুরু করিলাম আশে পাশে উপরে নীচে - সর্বখানে অবিরাম ব্যর্থতার কাহিনী সেই একই বালিকাকে কেন্দ্র করিয়া। কখনো কখনো অপরের ব্যর্থতা কিছু সুখ দিয়া যায় বৈকি - ভাবখানা আমি তো আর একা ধরা খাই নাই। সেই বালিকার মোহে যে কত হৃদয় স্পন্দিত ছিলো - এত বৎসর অতিবাহিত হইবার পরেও তাহা আবিস্কার করিয়া যাইতেছি আর মনে মনে আজ আবার বলিয়া উঠিলাম - বালিকা তুমি মহান, যেখানে থাকো ভালো থাকো - এই চাহে প্রাণ।

—— বালিকার পরিচয় / নাম শুনিতে চাহিয়া কেহ লজ্জা দিবেননা - হাজার হউক সহপাঠী - এবং বান্ধবীও বটে। আবার আমার মতই অনেক বন্ধুর প্রাণকোকিলাও বটে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×