somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সন্ত্রাস,চাদাবাজি,মানুষ অপহরণ,খুন শুধু কি ইউপিডিএফ করছে ? অন্য কেউ করছেনা ?..... দীপংকর তালুকদার

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সাক্ষরেরসময়কালের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন- ১৪ এপ্রিল ১৯৯৮ দীর্ঘদিনের উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাংঘর্ষিক সমস্যাটি সমাধানের পর পুরো বৃটেনের সংবাদপত্রে যে ছবি প্রকাশ পেয়েছিলো তাতে একপাশে ছিলেন টনি ব্লেয়ার,আরেক পাশে ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা উইলিয়াম হেগ। আর মাঝখানে ছিলেন বিদ্রোহীদের নেতা জেরি এডামস। তাদের হাস্যজ্জ্বল চেহারা বিপরীতে আমাদের দেশে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় কি আমরা এইরকম একটি দৃশ্য দেখতে পেয়েছি ? বরং আমাদের বিরোধীদলের চূড়ান্ত বিরোধীতার মুখে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিলো। সুতরাং এই যে অবস্থাটা, এটা ১৪ বছরেও আমরা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারি নাই।’
সম্প্রতি রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পার্বত্য চুক্তির ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে তিনি এইসব কথা বলেন।

তিনি বলেন-‘অনেকেই বলবেন ১৪ বছরেও শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে ধীরগতি। এই প্রসঙ্গে আমি বলতে চাই চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিলো ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭,এবং শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয় ৯৯ সালের ২৫ মে। ২০০১ সালে জুলাই মাসে আমরা ক্ষমতা তত্বাবধায়কের হাতে দেই। কিন্তু এরপর বিএনপি-জামাতের ৫ বছর আর তত্বাবধায়কের ২ বছর মিলিয়ে সাতবছরে শান্তিচুক্তি নিয়ে আর কোন কাজ হয়নাই,কার্যক্রম একচুলও অগ্রসর হয় নাই। আমি দুটি উদাহরন দেই, আঞ্চলিক পরিষদের প্রবিধানমালা চুক্তি সাক্ষরের পরপরই হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো কিন্তু মাত্র গত বছর আমরা এই বিধিমালা ঠিক করেছি। পরিষদ সদস্যদের বেতনভাতা চুক্তি সাক্ষরের পরপরই নিষ্পত্তি হওয়ার কথা কিন্তু গত বছরই এটা আমরা স্থির করতে পেরেছি। এই যে ধীরগতি,এটার খুব ভিতরে না গিয়েও আমি বলব- এটা আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। এই প্রেক্ষিতেই আমাদের শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক বিচার বিশ্লেষন করলেই অনেক কিছুর উত্তর পাওয়া যাবে।’

পার্বত্য শান্তিচুক্তির সাথে উত্তর আয়ারল্যান্ডের শান্তিচুক্তির তুলনামূলক বিশ্লেষন করে দীপংকর বলেন- আমার সাথে কিছুদিন আগে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত উইলিয়াম হান্নার দেখা হলে আমি তার কাছে জানতে চেয়েছি আপনাদের শান্তিচুক্তির কি অবস্থা ? বাস্তবায়নের অবস্থা বা অগ্রগতি কি ? কারণ আমাদের চুক্তির জন্য আমরা পেয়েছি ইউনেস্কো পুরষ্কার আর আপনারা পেয়েছেন নোবেল পুরষ্কার। তখন তিনি স্বীকার করলেন-শান্তিচুক্তির অনেককিছুই সেখানে অবাস্তবায়িত আছে। তবে তিনি তিনি বললেন-শান্তিচুক্তির কারণে সেখানকার মানুষের মধ্যে উদ্যম,উদ্যোগ,সাহস এবং ইতিবাচক চিন্তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এটাকেই তিনি বললেন- একটা উল্লেখযোগ্য দিক। একইভাবে আমাদের এখানেও চুক্তি সাক্ষরের পর আঞ্চলিক পরিষদ গঠন,জেলা পরিষদ গঠন,পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠন,ভারত প্রত্যাগত ১২,২২২ পরিবারকে নিজ নিজ ভূমিতে পূনবার্সন,১৯২৬ জনসংহতি সদস্যকে পূণবার্সন করা,তাদের সকল মামলা নিষ্পত্তি করা এবং প্রত্যাহার করা,যারা চাকুরীতে ছিলো তাদের চাকুরীতে পূনর্বাহল করা, চাকুরীতে কোটা সংরক্ষণ,জনসংহতির সদস্যদের চাকুরী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি,চাকুরীতে কোটা সবকিছুতেই তাদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। আজ (২৫ নভেম্বর) পিপি রফিক ( রাঙামাটির পাবলিক প্রসিকিউটর) আমাকে নিশ্চিত করেছে সব মামলা প্রত্যাহার করা শেষ হয়েছে। অনেকে ভারত থেকেই যে পরীক্ষা দিয়ে এসেছে সেটাকে আমরা সেটার মান বহাল রেখেই তাদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করেছি।

ভূমি বিরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন-আমাদের মূল যে সমস্যা সেটা হলো ভূমি সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে আমরা ভূমি কমিশন গঠন করেছি,দীর্ঘদিন এই কমিশন এর কোন কার্যক্রম ছিলোনা। আমরা আসার পর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভূমি কশিমনের কাজ করা যেতো,তারপরও ভূমি কমিশনের অধিকাংশ সদস্যদের মতামত নিয়ে কিভাবে কমিশনের কাজ আরো মসৃন এবং সুন্দর করা যায় সেই জন্য আমরা ভূমি কমিশনের কতিপয় আইনের ধারা পরিবর্তনের প্রয়োজন অনুভব করি এবং সেই মোতাবেক আমরা পদক্ষেপও নিয়েছি। আমরা আশা করছি আগামী অধিবেশনে আমরা এটা উপস্থাপন করতে পারব।

পার্বত্য কমিশনের সফর প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন-আমরা খুশি হয়েছি পার্বত্য কমিশন এখানে সফরে এসেছেন। কমিশনের কো-চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেছেন-২/৩ দিনের সফরে এখানে তারা অস্বাভাবিক কিছু দেখেন নাই। আমরা মনে করি অস্বাভাবিক কিছু যে দেখেন নাই এটাই সরকারের সাফল্য। এটার সঙ্গে আরেকটা বিষয় তারা বলেছে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণেই এখানে সাংঘর্ষিক অবস্থা চলছে। আমরা এর সাথে দ্বিমত পোষন করি। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে কিছু দ্বন্ধ থাকতে পারে,কিছু অসন্তোষ থাকতে পারে কিন্তু সাংঘর্ষিক অবস্থা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে হয়েছে,এটার সাথে আমরা দ্বিমত পোষন করি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন-যে সংঘর্ষ পার্বত্য চট্টগ্রামে হচ্ছে,রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ,মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এর নিন্দা জানাই। এইরকম ঘটনা ঘটা উচিত নয়। তারপরও বলব-এই ঘটনাগুলো শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কিংবা বাস্তবায়ন না হওয়ার সাথে জড়িত নয় বলেই আমরা মনে করি। আমরা মনে করি এখানে চাঁদাবাজির এলাকা বিস্তৃত করার জন্য অবৈধ অস্ত্রধারীরা এই সংঘাত চালাচ্ছে। সুতরায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন বা অন্যান্য কমিশন যারা এখানে মানবাধিকারের কথা বলে,যারা এখানে গনতন্ত্রের কথা বলে,তাদের কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা-এখনো পর্যন্ত আপনাদের মুখে যে অবৈধ অস্ত্র আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের জনজীবনে হুমকী সৃষ্টি করেছে,জনজীবনে প্রানহানি ঘটাচ্ছে,এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আপনারা কোনকিছু বলছেন না কেনো ??
আমরা এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে,আমরা এটাকে আরো বেশি জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি এবং নিঃসেন্দহে এটা আরো বেশি জোরদার করা হবে।

চুক্তির অবাস্তবায়িত যেসব অংশ রয়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমি সমস্যা,ভূমি সমস্যা সমাধান করতে পারলে আমরা মনে করি চুক্তির একটি বড় উল্লেখযোগ্য দিক আমরা সমাধান করতে পারব এবং আমরা চেষ্টা করছি। অন্যান্য সমস্যাগুলোও সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে,এর কিছু ভূমি সমস্যার সাথে সম্পর্কিত,যেমন উপজাতীয় শরনার্থী এবং আভ্যন্তরীন উদ্বাস্তুদের আমরা নিজের জায়গায় পাঠাতে পারছিনা ভূমি সমস্যার কারণে। ভূমি সমস্যাটাই মূল সমস্যা। ভূমি সমস্যা ছাড়া চুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে।
ভূমি কমিশন আইন নিয়ে আঞ্চলিক পরিষদের প্রস্তাবনা তাদের সাথে,ভূমি ও আইন মন্ত্রনালয় সহ সবার সাথে আলোচনা করেই খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটার উপরই কাজ চলছে। কাজ চলছে বলবনা,কাজ প্রায় শেষ।

পাহাড়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন-আমি সবসময় ঘুমানোর সময় দরজা জানালা খোলা রেখে নাম ডেকে ঘুমাবো,আমার ঘর আমি পাহারা দেবনা,আর পুলিশকে বলব পুলিশ আমার ঘরবাড়ী রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে,এই যুক্তির সঙ্গে আমরা একমত নই। ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধে সচেতনতা দরকার, মিলিটারি বা পুলিশ বা সরকার দিয়ে কি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করা যায় ?

‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে নিজেদের কাজ শেষ করেছে এখন বাকী দায়িত্ব সরকারের’ সন্তু লারমার এমন মন্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন-এটা ওনার ব্যক্তিগত মন্তব্য। নেতৃত্বের আসল গুন হলো নিজে সব যন্ত্রনা কষ্ট সহ্য করে নিয়ে আশার আলো জ্বালানো,হতাশগ্রস্ত মানুষ কাউকে আলো দেখাতে পারেনা। হতাশগ্রস্ততা নিয়ে আমরা কোথাও এগুতেও পারিনা। শান্তিচুক্তি এটা কারোর নয়,আমরা শান্তিচুক্তির সকল পক্ষের শক্তি,এটা আমাদের সন্তান। সুতরাং শান্তিচুক্তির গতি প্রত্যাশিত হচ্ছেনা বলে আমাদের কষ্ট জ্বালা কম নয়। কিন্তু আমরা হতাশগ্রস্ত নই।

তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন-আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে একটা রীট মামলা চলছে।

জেএসএস নেতাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন-আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গনতন্ত্রের একটি শিক্ষা হচ্ছে, লেট আজ এগ্রি টু ডিজএগ্রি। গনতন্ত্রে সমালোচনা হবে,গনতন্ত্রে একমত দুইমত হতেই পারে। আমরা খুব শক্তভাবে গনতন্ত্রে বিশ্বাসী। সহ্যশক্তি থাকতে হয়। কারা কি বলছে না বলছে এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। সমালোচনা করার অধিকার সবাইকে দিতে হবে।

চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন-এই চুক্তির জন্য আমি জননেত্রী শেখহাসিনা,আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ,সন্তু লারমা সবাইকে ধণ্যবাদ দেই। আর যেদিন আমাদের নেত্রী এই চুক্তির জন্য ইউনেস্কো শান্তি পুরষ্কার পেয়েছেন,সেইদিন এটা আর আওয়ামী লীগ,জেএসএস বা বাংলাদেশের সম্পত্তি নয়,এই চুক্তির মালিক সারাবিশ্বের শান্তিকামী মানুষ। সুতরাং এই চুক্তি করার কৃতিতত্ব একা কারো নয়,শান্তির জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের সম্মিলিত।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কোন বিশেষ অভিযানের পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-আমরা সবসময় চেষ্টা করি স্বাভাবিক আইনে সবকিছুর নিরসন করতে। জাতির জনক হত্যার বিচারও আমরা স্বাভাবিক আইনে সম্পাদন করেছি। সেখানেও রায় কার্যকরে আমরা বিশেষ ট্রাইবুনাল করি নাই। সুতরাং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দেশের প্রচলিত আইনই যথেষ্ট। শুধুমাত্র এটাকে আরেকটু বেশি জোরদার করতে হবে। আর আরো বেশি জোরদার করতে গেলে আমরা আহ্বান রাখবো সকল রাজনৈতিক দল যেনো এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সর্বতোভাবে সহযোগিতা ও সমর্থন করে। অবৈধ অস্ত্রধারী যে দলের বা যেই হোকনা কেনো তাকে আইনের মাধ্যমে বিচার করা একণ প্রত্যেক নাগরিকের চাওয়া। সুতরাং আমি মনে করি এই ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকলের ঐকুন্ঠ সমর্থন থাকা দরকার।

প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন-নদীর এপারে আমরা করতে চেয়েছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদীর ওইপারে করতে চান। ওনি অনেক দুরদর্শী। ওনার একটা যুক্তি হচ্ছে, ভবিষ্যতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং এলাকার উন্নয়নের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। সুতরাং আমরা ওই পাড়ে কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করে দিয়েছি, এখন ওগুলোর পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে।

মেডিকেল কলেজ স্থাপনের কার্যক্রম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন-মেডিকেল কলেজের ভূমি অধিগ্রহন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে,তাই আমরা কাছাকাছি কোথাও দেখছি। স্থান নির্ধারন করে মানচিত্রও করা হয়েছে। এখন বোধহয় স্থানটি দেখার জন্য লোক আসবে। রাঙামাটি সদর হাসপালের করোনারি ইউনিটে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করার একটি প্রস্তাবনাও আছে। করোনারি ইউনিটে মেশিনারিজ না পাওয়ায় চালু হতে দেরি হচ্ছে। যদি মেশিনারিজ পাওয়া যায় তাহলে সেখানে সেটাই থাকবে আর যদি পাওয়া না যায় তবে মেডিকেল কলেজের প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হবে।

সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির দাবী প্রসঙ্গে তিনি বলেন-আমি যেটা মনে করি,সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদিবাসী নেই। এখন আদিবাসী আছে কি নেই এই সিদ্ধান্তের ফলে আদিবাসী নিয়ে গবেষনা তো বন্ধ হবেনা। ভবিষ্যতে যদি তথ্য প্রমাণ দিয়ে এটা স্থাপিত করা যায়,এরা এরা আদিবাসী,তখন সংবিধানে আদিবাসী শব্দটি স্থাপন করা যেতেই পারে। এটা তো কোরান শরীফ বা গীতা নয়। দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমাদের জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি দিতে হবে এটার জন্য ছিলো লড়াই,তো জাতিসত্তার স্বীকৃতি তো দেয়া হয়েছে। সংবিধানে প্রথমবারের মতো জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং ‘জাতিসত্ত্বার স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই’আদিবাসী স্বীকৃতি নাই’লড়াই সংগ্রাম করতে হবে’-আমার মনে হয়না,এইসব বক্তব্য যুক্তিতে টিকে।

চুক্তি বাস্তবায়নে ধীরগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন- সাতটা বছর ২০০১-২০০৭ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। শান্তিচুক্তির প্রত্যেকটা জায়গায় স্থবিরতা ছিলো। সুতরাং এই স্থবিরতা কাটাতে আমাদের সময় লেগেছে। বিগত বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলেও ২/১টি বিভাগ হস্তান্তরিত হয়েছে,জরুরী অবস্থার সময়ও ১ টি বিভাগ হস্তান্তর হয়েছে। আমাদের সময়ে এখনো হয়নাই,এটা নিয়ে আমাদের কষ্ট বা মনোবেদনা নেই তা নয়,তবে অল্পকিছুদিনের মধ্যে খাগড়াছড়িতে যুব উন্নয়ন,টিটিসি এবং স্থানীয় পর্যটন হস্তান্তর করতে পারব। আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এগুলোর হস্তান্তর করব।

ইউপিডিএফ এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সন্তু লারমার দাবী প্রসঙ্গে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন-আমি যাকে বলছি এর সব কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করতে হবে,আবার যে ব্যক্তি বলছে একই কাজ যদি সেই আমি করি আমার উপর কেনো নিষেধাজ্ঞা আসবেনা কেনো ? পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন- আজকে কি শুধুই ইউপিডিএফ করছে সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড? সন্ত্রাস,চাদাবাজি,মানুষ অপহরণ,খুন শুধু কি ইউপিডিএফ করছে ? অন্য কেউ করছেনা ? আগে আমি নুন খাওয়া বন্ধ করতে হবে, পরে আমি বলব যে ভাই নুন খাবেননা। আমি নিজে নুন খাবো অন্যকে খেতে মানা করবো,এটা নীতি না।
পার্বত্য এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন-আপনারা প্রায়ই দেখেন,প্রায় প্রতিদিনই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং আটক করা হচ্ছে,এটা স্বাভাবিক আইনেই করা হচ্ছে এবং এটা চলমান প্রক্রিয়া। তবে উত্তরবঙ্গের সাথে এখানে পার্থক্য হলো-এটা একটি স্পর্শকাতর এলাকা। সুতরাং আমরা একটু সতর্কতার সঙ্গে এগোতে চাই। কিন্তু আমরা এই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে থেমে নেই।


















০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×