ফ্লাই ওভার তথা উড়াল সেতুতে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ও সহায়তাহীন যানজট হবে, তা অনুমান করে পরিচিত মহলে বহু পূর্ব থেকেই আলাপ আলোচনা করতাম, তা সত্যিতে পরিনিত হতে এক বছরও পার হতে হোল না।
ঢাকায় ফিরছি - চট্যগ্রাম থেকে, সুন্দর চলে এলাম ৬ঘন্টায় --- যাত্রা বাড়ীতে। নয়নাভিরাম "মেয়র হানিফ" ঊড়াল সেতুতে প্রায় উড়াল দিয়েই কয়েক কিমি গেলাম মনে হোল, কিন্তু ঊড়াল থেকে মাটিতে নামিলাম, যখন দেখলাম গুলিস্থান বহির্গমন গেটে বাসটি আর বের হতে পারছেনা।
বহির্গমন এই যানজট সময় নিল ৪৫মিনিট।
যাত্রীরা বলাবলি শুরু করলি " এঈ যানজট যদি উড়াল সেতুতেই হয়, তা হলে উড়াল সেতু। বানিয়ে কি লাভ হোল?"
নিচে থাকলে অন্তত পানি, ঝালমুড়ি, আমড়া, শষা ইত্যাদি পাওয়া যেত, উড়াল সেতুর যানজটে তো কিছুই পাব না"
চাঁদপুর থেকে ফিরছি, আবারো খুব সাবলীল গতিতে "হানিফ উড়াল চলে আসি আড়াই ঘন্টায়, অতি স্বাচ্ছন্দে মেডিকেল দিয়ে বেরুব আশা করে নিজের গাড়ি করে এগুলাম। আর আধা ঘন্টায় ঢাকার জেলখানা ফ্ল্যাটে ফিরব। না আবার সেই চিরাচরিত যানজট।
এবারের কারন, দানবীয় উড়াল সেতুতে একসিডেন্ট; এক্টা গাড়ি ধাক্কা খেয়ে রেলিং এ অরধেক উঠে আছে, ভাগ্যিস নিচে পরে যায় নি। পুলিশ এক লেন বন্ধ করে যানজটের "আয়ু" বাড়াল। পুলিশের কারনে দীর্ঘ এক ঘন্টা আটকে থেকে বেরুতে পারলাম।
কর্তৃপক্ষ
উড়াল সেতু বানিয়ে অদুর ভবিষ্যতে ঢাকা বাসি আরো কঠিন যানজট সমস্যায় ভুগবে।
এখন ও সময় আছে ডাকা শহরে আর উড়াল সেতু না বানিয়ে দ্রুত "মেট্রো রেল" প্রকল্প বাস্তবায়ন করুন এবং ঢাকা বাসিকে উড়াল সেতুর অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮