ঢাকা - চট্টগ্রাম সড়ক
কোথায় কোথায় জ্যাম পাবেন বলে দিচ্ছি:-
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যদি আপনার রু্ট হয়, তা হলে
১। কাঁচপুর বৃজ
২। মেঘনা বৃজ এর প্রবেশ পথে
৩। দাউদকান্দি বৃজের শুরুতে
৪। গৌরিপুর ক্রসিং এ
৫। চাঁদপুর - কুমিল্লা নির্মানাধীন রেলওয়ে ফ্লাইওভার এ
৬। চৌদ্দগ্রাম উপজিলা বাইপাস এ
৭। ফেনী ঢুকতে নির্মানাধীন রেলওয়ে ফ্লাইওভার এ
৮্। ফেনী - মহিপাল নির্মানাধীন ফ্লাইওভার এ
৯। বারোইয়াহাট এ
১০। মিরসরাই এ
১১। সিতাকুন্ড বাইপাস এ
১২। চিলিমপুর চট্টগ্রাম এর নিকটে
১৩। চট্টগ্রাম গেইট এ
১৪। এ কে খান বা অলংকার মোড় এসুতরা
সবচেয়ে দীর্ঘায়িত জ্যম পাবেন গুলো পাবেন বোল্ড করা সংখ্যাগুলো স্থানে।
প্রতি বোল্ড করা স্থানগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে ১০ থেকে ২০ মিনিট জ্যম সহ ট্রাক বাস ও মাইক্রোবাসের এলোপাথারি চালানো সহ্য করতে হবে।
অন্যান্য স্থানে ৫ থেকে ১০ মিনিট নুন্যতম।
১০ মিনিট নুন্যতম হলে স্বাভাবিক সময়ে ১৪ স্থান গুনন ১০ = ১৪০মিনিট দেরি হবে এবং এলোপাথারি যানবাহনের চলাচলের নিদর্শন ও যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে।
সুতরাং বাস এর গতি ৮০কিমি প্রতি ঘন্টা যদি ধরা হয় কোন জ্যাম না থাকলে (স্বাভাবিক ট্র্যফিক হলে অর্থাৎ রাতের সময়) জ্যম সময় = ১৪০ মিনিট + যাত্রা সময় ২০০মিনিট = ৩৪০মিনিট লাগবে = ৫ঘন্টা ৪০মিনিট।
আার যদি আপনি অস্বাভাবিক সময় যাত্রা করেন তা'হলে জ্যাম এর সময় নুন্যতম দিগুন ধরে নিতে হবে। তথা ২ঘন্টা ২০ মিনিট আরও যোগ করতে হবে।
অস্বাভাবিক সময়গুলো প্রতিদিন দাপ্তরিক সময়ের শুরু ও শেষ এর ২ঘনটা আগে ও পরে গুনতে হবে।
সুতরাং ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বা চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যে ভাবে ভ্রমন করুন না কেন, আপনি ৭ থেকে ৮ ঘন্টার পূর্বে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন না।
সরকার ঢাকা - চট্টগ্রাম চার লেন এ উন্নিত ঘোষনা করলেও বাস্তবে মেঘনা বৃজ ও দাউদকান্দি বৃজ দুই লেন থেকে যাওয়ায়, এসব স্থানে যানবাহনের এলোপাথারি চলাচলের কারনে, অতি নিকটতম সময়ে ঢাকা - চট্টগ্রাম ভ্রমনের ভোগান্তি লাঘব হবে বলে মনে হয় না।
নতুন চার লেন বা ৬লেন এর বৃজ এই দু স্থান এ আজকে নির্মান কাজ শুরু করলে তা চালু করতে আরও ৪ থেকে ৫ বছর লাগবে।
শুধু সেতু উদ্বোধনের পাথরে উদ্বোধনী ঘোষনা থাকলেই বৃজ নির্মান করা যায় না।
একটি বৃজ করতে অনেক (১০০বছরের) নদীর ঐতিহাসিক উপাত্ত্ব নিয়ে বৃজ প্রকৌশলীরা কাজ করেন।
সাময়িক সমাধান হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এই দুই বৃজে ট্রাক এর জন্য পুনরায়ঃ ফেরী ব্যবস্থা চালু করে নতুন চার লেন বৃজ চালু না হওয়া পর্যন্ত এই ফেরী ব্যবস্থা চালু রাখা উচিত।
ঢাকা - চট্টগ্রাম সড়ক কে হাইওয়ে বলা যাবে না কারন আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা অনুসারে সড়কে বাজার - দোকান থাকলে ও লো স্পীড (৩০ থেকে ৪০ কিমির গতি সম্পন্ন ) যান চলাচল করে, এমন সড়ককে হাইওয়ে বলা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬