নাস্তিকতা বলতে সাধারন ভাবে যা বুঝায় তা হলো, আল্লাহ পাকের অস্তিত্ত্বে অস্বীকার করা।
কিন্তু বর্তমানে আমরা দেখতে পাই, যে বা যারা নিজেদের নাস্তিক বলে দাবী করে তারা তাদের লেখা লেখির মধ্যে শুধু ইসলাম বিদ্বেষ ঢেলে দেয়।
শুধু কি তাই?
ইসলামের বিরুদ্ধে এদের প্রোপাগান্ডা, বিদ্বেষ, বিরোধীতা এত নিকৃষ্ট এবং এত ভয়ংকর তা পৃথিবীর ইতিহাসে এ পর্যন্ত কেউ করার সাহস পায়নি।
নাস্তিকরা তো কোন ধর্মেরই অস্তিত্বকে স্বীকার করবে না। এটা নাস্তিকদের জন্য স্বাভাবিক।
কিন্তু বর্তমান সময়ের নাস্তিকদাবীকারীদের লেখায় শুধু মাত্র ইসলাম নিয়ে গালা-গালি, অশ্লীল, বিকৃত উপস্থাপন যা যেকোন সুস্থ মস্তিষ্কের লোককে ভাবিয়ে তুলবে, অস্থির করে তুলবে এ চিন্তায় যে; এটা কি কোন মানুষের কান্ড নাকি অন্য কোন জন্তু করেছে?
নাস্তিকদের লেখা সাইটগুলো যেমন, মুক্ত-মনা, ধর্মকারী ইত্যাদিতে যত লিখা রয়েছে তার ৯৯% ই ইসলামের বিরুদ্ধে। এবং তাদের বড় একটা অংশ বিশেষ ধর্মের অনুসারী, যা তাদের পরিচয় থেকেই বুঝা যায়।
তাহলে এটা কি চিন্তা করা যায় না যে, কোন বিশেষ মহল নাস্তিকতার মুখোশ পরে ইসলাম বিদ্বেষসহ নোংরামীগুলো করে যাচ্ছে?
উল্লেখ্য, ধর্মকারী সাইট ইতিপূর্বে বি, টি, আর , সি ব্লক করলেও তার ডট নেট নামে আবার খুলেছে। আরেকটা বিষয় হলো প্রক্সি ব্যবহার করে ঠিকই তার প্রচার করে যাচ্ছে। সম্প্রতি মুক্ত-মনা সাইট বন্ধ করলেও তারা সাব ফোল্ডারে একই URL দিয়ে আবার সাইট চালু করেছে। ওটার সাথে কারা জড়িত এটা সরকারসহ সকলেই জানে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ধারনা করি যারা মুক্ত-মনা সাইটের সাথে জড়িত এদের মূল অনেকেই ধর্মকারীর সাথেও জড়িত।
আমার জানামতে, বছর খানেক পূর্বে হাইকোর্ট থেকে ধর্মকারী ও কিছু ফেইসবুক বন্ধের জন্য রিট করা হয়েছিলো। উক্ত রিটের রায়ে লিংকগুলো বন্ধ করা সহ পুলিশ ও র্যাবের প্রতি এরকম একটা নির্দেশ ছিলো যে, ইসলাম সহ ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ এবং অশ্লীল অশালীন বিদ্বেষ ছড়ানোর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
কিন্তু কোন লোককে উক্ত কার্যক্রমের জন্য শাস্তি দেয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। যা হাইকোর্টের রায়ের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছে বলে আমার মনে হয় না।
আমাদের সরকার সংশ্লিষ্ট লোকদের সম্পর্কে ব্যঙ্গ করার জন্য যদি গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব সম্পর্কে ব্যঙ্গ এবং ইতিহাসের নিকৃষ্টতম অশ্লীল কথা লিখলে তার জন্য কি করতে হবে তা আমি সরকারের বিবেকের উপর ছেড়ে দিচ্ছি।
সরকারের গুটিকয়েক ব্যক্তিবাদে সকলেই মুসলিম বলে দাবী করেন। তাহলে ধর্মদ্রোহীতা, ধর্মের বিরুদ্ধে নজির বিহীন প্রোপাগান্ডা, খোদ আল্লাহ ও হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে নজির বিহীন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম ব্যঙ্গ ও অশ্লীল অপবাদ, কটুক্তির বিরুদ্ধে সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কি করবেন? তা আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন।
আমরা যারা ধর্মপ্রান আছি, আমরা কিয়ামতের মাঠে আল্লাহপাক উনার কাছে, হুযূরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে বলতে পারবো আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আমরা লেখা লেখি করে প্রতিবাদ করেছি, আমরা দোয়া-মুনাজাত করেছি। এছাড়া আপাতদৃষ্টিতে আমাদের সাধ্যের মধ্যে কিছুই ছিলো না।