somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুর্নীতিসহ সকল অপরাধের একমাত্র সমাধান

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘ইলম হচ্ছে আমল উনার ইমাম।’
পবিত্র ইসলামী শিক্ষা বা পবিত্র দ্বীনি ইলম না থাকার কারণেই দুর্নীতি, নারী টিজিং, মজুদদারিসহ হাজারো অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে।
তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন সম্মানিত ইসলাম উনার দেশের সরকার এবং ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে,
দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখা। এর অন্যথা ৯৭ ভাগ মুসলমান কখনো মেনে নিবে না।
উল্লেখ্য, প্রকৃত ইলমে দ্বীন শিক্ষাদানের মাধ্যমেই সর্বপ্রকার দুর্নীতি ও অপরাধ থেকে দেশকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
মানুষ দুর্নীতি, নারী টিজিং, মজুদদারিসহ হাজারও অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে পবিত্র ইসলামী শিক্ষা উনার অভাব। অর্থাৎ পবিত্র দ্বীনি ইলম বা দ্বীনি ইসলামী শিক্ষা না থাকার কারণে মানুষ এসব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। কেননা দুর্নীতি, নারী টিজিং, মজুদদারির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কি হুকুম রয়েছে তা অনেকেরই জানা নেই। জানা থাকলে হয়তো অনেকেই এসবে জড়িত হতো না। তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ইলম হচ্ছে আমল উনার ইমাম।

সরকার দেশ থেকে দুর্নীতি, নারী টিজিং, মজুদদারিসহ সকল অপরাধ নির্মূল করতে চায়। অথচ এদেশের শিক্ষানীতিতে পবিত্র ইসলামী শিক্ষা প্রায় সম্পূর্ণই অনুপস্থিত। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে ভালো কিছু আশা করা বোকামী বৈ কিছুই নয়। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলামের দেশের সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পবিত্র ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখা।

তাছাড়া কমপক্ষে জরুরত আন্দাজ পবিত্র দ্বীনি ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ফরযে আইন। তাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অসংখ্য স্থানে দ্বীনি ইলম অর্জন করার নির্দেশ, উৎসাহ ও ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা বলো অর্থাৎ আমার নিকট দোয়া করো- হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।’

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অন্বেষণ করো।’

মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা উনাদের জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।”

(বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, আশয়াতুল লুময়াত শরীফ, লুময়াত শরীফ, মুযাহেরে হক্ব শরীফ, মিরআতুল মানাজীহ শরীফ, তা’লীকুছ ছবীহ শরীফ, ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন শরীফ, আরবাঈন শরীফ)

আর এ ইলম হলো দু’প্রকার। যেটা অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, “ইলম দু’প্রকার- (১) ক্বলবী ইলম অর্থাৎ ইলমে তাসাউফ যা উপকারী ইলম। (২) লিসানী ইলম অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ, যা বনী আদমের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে দলীল স্বরূপ।”
(দারেমী শরীফ, তারগীব শরীফ, তারীখ শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, আব্দুল বার শরীফ, দায়লামী, শরহুত ত্বীবী শরীফ, তা’লীকুছ ছবীহ শরীফ)

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘মিশকাত শরীফ’ উনার বিখ্যাত শরাহ “মিরকাত শরীফ” উনার মধ্যে উল্লেখ করেন যে, মালিকী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো, কিন্তু ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করলো না, সে ফাসিক। আর যে ব্যক্তি ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করলো কিন্তু ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো না, সে যিন্দিক (কাফির)। আর যে ব্যক্তি উভয়টি শিক্ষা করলো, সে মুহাক্কিক তথা হক্কানী আলিম।”
অর্থাৎ যে ইলমে ফিক্বাহ শিখলো, কিন্তু ইলমে তাছাউফ শিখলোনা, সে হচ্ছে ফাসিক। আর যে মা’রিফাত বা ইলমে তাছাউফ স্বীকার করে; কিন্তু শরীয়ত বা ফিক্বাহ স্বীকার করেনা, সে হচ্ছে যিন্দিক। আর যিনি উভয়টাই শিক্ষা করলেন, তিনি হচ্ছেন মুহাক্কিক অর্থাৎ হাক্বীক্বী আলিম।

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এ কথাই সাবিত হয় যে,
সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলার জন্য ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফ শিক্ষা করা ফরয। ফতওয়া দেয়া হয়েছে যে, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাছাউফে দক্ষতা অর্জন করা ফরযে কিফায়ার অন্তর্ভুক্ত। এ ফরযে কিফায়া যদি আদায় না করা হয়, তাহলে সকলেই ফরয তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “কেনো তাদের প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায় থেকে একটি দল বের হয়না এজন্য যে, তারা দ্বীনি ইলমে দক্ষতা অর্জন করবে এবং তাদের ক্বওমকে ভয় প্রদর্শন করবে, যখন তারা তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। আশা করা যায়, তারা বাঁচতে পারবে।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১২২) অতএব, কিছু লোককে অবশ্যই দ্বীনি ইলমে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নচেৎ সকলকেই ফরয তরকের গুনাহে গুনাহগার হতে হবে। (তাফসীরে মাযহারী শরীফ, রুহুল মায়ানী শরীফ, রুহুল বয়ান শরীফ, ফতহুল ক্বাদীর শরীফ, হাশিয়ায়ে সাবী শরীফ, খাযেন শরীফ, বাগবী শরীফ, কবীর শরীফ, ইবনে কাছীর শরীফ, যা’দুল মাছীর শরীফ, বয়ানুল কুরআন শরীফ।)

পবিত্র ইসলামী শিক্ষা বা দ্বীনি ইলম না থাকার কারণেই দুর্নীতি, নারী টিজিং, মজুদদারিসহ হাজারো অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন সম্মানিত ইসলাম উনার দেশের সরকার এবং ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোন আইন পাস হবে না’ এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য অর্থাৎ ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা বাধ্যতামুলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখা। এর অন্যথা ৯৭ ভাগ মুসলমান কখনো মেনে নিবে না।
উল্লেখ্য, প্রকৃত ইলমে দ্বীন শিক্ষা দানের মাধ্যমেই সর্বপ্রকার দুর্নীতি ও অপরাধ থেকে দেশকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×