somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দালাল আইন (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ

০৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দালাল আইন (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশ
Bangladesh Collaborators (Special Tribunals) Order, 1972 (দালাল আইন) ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির ঘোষণা দ্বারা আইনটির প্রয়োগ শুরু হয়। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি আইনটির আদেশ জারি হলেও পরবর্তীতে একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি, ১ জুন এবং ২৯ আগস্ট তারিখে তিন দফা সংশোধনীর মাধ্যমে আইনটি চূড়ান্ত হয়। পরবর্তীতে দালাল আইনের অধীনে ৩৭ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিভিন্ন আদালতে তাদের বিচার আরম্ভ হয়। এর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কর্মরতদের কেউ দালালি এবং যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না তা যাচাই করার জন্য ১৯৭২ সালের ১৩ জুন একটি আদেশ জারি করে যা তখন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর দালাল আইনে আটক যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই তাদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক ৩৭ হাজারের অধিক ব্যক্তির ভেতর থেকে প্রায় ২৬ হাজার ছাড়া পায়। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ৫ নং ধারায় বলা হয়Ñ
‘যারা বর্ণিত আদেশের নিচের বর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব ক’টি অভিযোগ থাকবে। ১. ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো অথবা চালানোর চেষ্টা), ২. ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র), ৩. ১২৮ ক (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), ৪. ৩০২ (হত্যা), ৫. ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা), ৬. ৩৬৩ (অপহরণ), ৭. ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ) ৮. ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৯. ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা), ১০. ৩৭৬ (ধর্ষণ), ১১. ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি), ১২. ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তিকালে আঘাত), ১৩. ৩৯৫ (ডাকাতি), ১৪. ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি), ১৫. ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি), ১৬. ৪৩৫ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন), ১৭. ৪৩৬ (বাড়িঘর ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার), ১৮. ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে কোন জলযানের ক্ষতিসাধন) অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান। এসব অপরাধী কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নন।’
আমার প্রশ্ন, এই আইনের কোথায় যুদ্ধাপরাধীদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়? ফ্যাক্ট হলো, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে যাননি, পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। আর কারা সেটা করেছেন সেটা সেই শাসনামলের কর্ণধারদের চিনলেই বুঝতে কষ্ট হবে না।
http://www.shaptahik.com/v2/?DetailsId=3022
-----------------------------------------
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[সম্পাদনা] পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ

১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে বাংলার বাণী পত্রিকার একটি খবরের শিরোনাম "দালাল মন্ত্রী ইসহাকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড"। চারদলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের একাংশের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক সেই ‘দালাল মন্ত্রী’। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত ডা. মালিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতার পর ওই মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রায়ের প্রায় ১০ মাস পর ’৭৩-এর ৫ ডিসেম্বর তিনি মুক্তি পান। মুক্তিযুদ্ধের পর সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ২৪ মাস কারাগারে ছিলেন।

মালিক মন্ত্রিসভায় জামায়াতে ইসলামীর দুজন সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দলের বর্তমান জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ অর্থমন্ত্রী এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর তাঁরা দুজনই গ্রেপ্তার হন। একাত্তরের ১৪ আগস্ট ‘আজাদী দিবসে’ জয়পুরহাটে রাজাকার ও পুলিশ বাহিনীর সম্মিলিত কুচকাওয়াজে সভাপতির ভাষণে প্রয়াত আব্বাস আলী খান বলেছিলেন, ‘রাজাকাররা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমূলে ধ্বংস করে দিতে জান কোরবান করতে বদ্ধপরিকর।’

আবুল কালাম ইউসুফ ’৭১ সালের মে মাসে খুলনার খানজাহান আলী সড়কের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াতকর্মী নিয়ে প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। দৈনিক সংগ্রামসহ সে সময়ের সংবাদপত্রগুলোতে এ খবর ছাপা হয়।

১৯৭৩ সালের ৩০ নভেম্বর সাধারণ ক্ষমাসংক্রান্ত প্রেসনোটে বলা হয়,

‘ধর্ষণ, খুন, খুনের চেষ্টা, ঘরবাড়ি অথবা জাহাজে অগ্নিসংযোগের দায়ে দন্ডিত ও অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন প্রযোজ্য হইবে না।’

১১ জানুয়ারি, ১৯৭২ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরে ১০ জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বক্তৃতায় শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবন্দী ও দালালদের বিচারের ঘোষণা দেন।

১ এপ্রিল ১৯৭২, দৈনিক পূর্বদেশ অনুযায়ী, পরে খুলনায় এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন, কেউ দালালদের জন্য সুপারিশ করলে তাকেও দালাল সাব্যস্ত করা হবে।

১০ এপ্রিল ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে বিবৃতি দেওয়া এবং পাকিস্তান সরকারে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের ২৩ জনকে বহিষ্ককার করেন।

৩০ নভেম্বর, ১৯৭৩ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আগে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রেপ্তার ছিল মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ জন। তাদের দ্রুত বিচারের জন্য সরকার সারা দেশে ৭৩টি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ’৭৩-এর অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার ৮৮৪টি মামলা নিষ্কপত্তি হয়।

বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর প্রায় ২৫ হাজার ৭১৯ জন আসামি ছাড়া পায়। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আটক থাকা প্রায় ১১ হাজার আসামির বিচার চলছিল। এ ছাড়া ৭৫২ জনের সাজাও হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদন্ড হয়েছিল। বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড হয়েছিল।

পরে ’৭৫-এর ৩১ ডিসেম্বর জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় চারটি সুনির্দিষ্ট অপরাধে কারাগারে আটক ১১ হাজার আসামি, এমনকি সাজাপ্রাপ্তরাও জেল থেকে ছাড়া পায়।

১৪ মার্চ, ১৯৭৩ তারিখে দৈনিক পূর্বদেশ-এ প্রকাশিত খবরের শিরোনাম ছিল

দালাল আইনে সা’দ আহমদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

খবরে বলা হয়, কুষ্টিয়া সেশন জজ-৩-এর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সদস্য আর কে বিশ্বাস কুষ্টিয়া শান্তি কমিটির সদস্য সা’দ আহমদকে পাক বাহিনীকে সহযোগিতা, অপহরণ ও নরহত্যার অভিযোগে এবং কুষ্টিয়া-১১ আসনে সাজানো উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন।

রায়ে আদালত বলেন, ‘অভিযুক্তের আরও বেশি শাস্তি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই জেলার একজন সফল আইনজীবী হিসেবে অতীতের কাজের জন্য তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হলো।’

১১ জুন, ১৯৭২ তারিখে দৈনিক বাংলায় প্রধান শিরোনাম ছিল−‘দালালির দায়ে মৃত্যুদন্ড’। কুষ্টিয়ার দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালের সদস্য রবীন্দ্র কুমার বিশ্বাস ৮ জুন রাজাকার চিকন আলীর বিরুদ্ধে এ রায় দেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর গ্রামের চিকন আলীর বিরুদ্ধে ’৭১ সালের ১৯ অক্টোবর একই গ্রামের ইয়াজউদ্দিনকে গুলি করে মারার অভিযোগ ছিল। পরে উচ্চ আদালত সাজা কমিয়ে চিকন আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। আট বছর চার মাস জেল খাটার পর দালাল আইন বাতিলের সুযোগে চিকন আলী ছাড়া পান।

৬ অক্টোবর, ১৯৭২ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, প্রখ্যাত শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ হত্যার অভিযোগে ১৯৭২ এর ৫ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালের জজ সৈয়দ সিরাজউদ্দীন হোসেন আইয়ুব আলী, মকবুল হোসেন ও যোবায়ের নামের তিন আলবদর সদস্যকে মৃত্যুদন্ড দেন। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আজিমপুরের দায়রা শরিফের বাসভবন থেকে ড. আজাদকে অপহরণ করে আলবদররা।

দালাল আইনে সবচেয়ে বেশি কারাদন্ড হয় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের দালাল আবদুল হাফিজের। হত্যা, লুট ও দালালি মামলায় বিভিন্ন ধারায় তাঁকে আদালত ৪১ বছরের দন্ড দেন। ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল বাংলার বাণী পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মামলার বিবরণে দেখা যায়, ’৭১-এর ১৫ অক্টোবর রাতে আবদুল হাফিজ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নিজ গ্রামের ইয়াসিন মিয়ার বাড়িতে ঢুকে তাঁর ভাগ্নে শাহ আলমকে হত্যা এবং ইয়াসিন মিয়ার বাবাকে অপহরণ করেন। ইয়াসিন মিয়া বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে দুই হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাঁর বাবাকে মুক্ত করেন তিনি।

১৯৭২ সালের জুলাই মাসে বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রামের আয়েজ মন্ডলের তিন ছেলেকে দন্ড দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে মফিজুর রহমান ওরফে চান মিয়াকে মৃত্যুদন্ড, মোখলেছুর রহমান ওরফে খোকা মিয়া ও মশিউর রহমান ওরফে লাল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। ধুনট উপজেলার নান্দিয়ারপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।

উচ্চ আদালত পরে চান মিয়াকে মৃত্যুদন্ডের বদলে ২০ বছর সাজা দেন। অপর দুই ভাইয়ের সাজাও কমিয়ে প্রত্যেককে ১০ বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চর শিলমন্দি (এখন পূর্ব শিলমন্দি) গ্রামের মাতবর কেরামত আলী কাজীর বিরুদ্ধে দুটি মামলায় মোট আট বছর কারাদন্ড হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ান্তি কমিটিতে যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে দড়ি চর শিলমন্দি গ্রামের সামসুদ্দিন মাস্টার ও সিরাজ নামের দুই মুক্তিযোদ্ধা মামলা করেন। উভয় মামলায় কেরামত আলীর সাজা হয়। কেরামত কাজী ১৯৯০ সালে মারা যান।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে রাজাকার ইজহার আহমেদের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই এলাকায় অনেক হত্যাকান্ড ঘটে বলে অভিযোগ আছে। স্বাধীনতার পর শহীদ পরিবারের সদস্য প্রভু দয়াল আগারওয়াল ইজহারের বিরুদ্ধে তাঁর বাবা দানবীর শহীদ তুলসীরাম আগারওয়ালকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন। ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল রংপুরের নিসবেতগঞ্জের বধ্যভুমিতে তুলসীরামকে হত্যা করা হয়।

১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালের দৈনিক পত্রিকাগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কয়েক দিন পরপরই তখনকার পত্রিকায় দালাল আইনে সাজা হওয়ার খবর প্রকাশিত হতো।

দৈনিক বাংলার ৭ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সংখ্যায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, ঢাকার বিশেষ আদালত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তিন সহযোগী ময়মনসিংহের মকবুল হোসেন, আইয়ুব আলী ও ঢাকার আতিয়ার রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। ’৭১-এর ১৫ ডিসেম্বর অভিযুক্ত এই তিনজন ঢাকার আজিমপুর থেকে ধরে নিয়ে মন্টুকে হত্যা করেন।

১৯৭২ সালের ৯ জানুয়ারি আজাদ পত্রিকার খবরে বলা হয়, ডা. মালিকের মন্ত্রিসভার পূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীকে যুদ্ধ পরিচালনায় সহায়তার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত এক সংবাদে দেখা যায়, ঢাকার বিশেষ আদালত পূর্ব পাকিস্তান বিবিসির সংবাদদাতা নিজামউদ্দীনের অপহরণের সঙ্গে জড়িত আলবদর সিদ্দিকুর রহমান ও মোহাম্মদ গালিবকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। ১৯৭১-এর ১২ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজামউদ্দীনের ঢাকার তৎকালীন রোকনপুর হাউস থেকে অন্য আলবদরদের সহায়তায় অপহরণ করেন।

১৯৭৩ সালের ১২ জুলাই দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত এক সংবাদে দেখা যায়, রাজশাহীর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শ্রী কান্তি দাস হাওলাদারকে হত্যার অভিপ্রায়ে অপহরণ করায় মুজিবুর রহমান নামে এক রাজাকারকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।

১৯৭৩ সালের ১৪ এপ্রিল তৎকালীন পূর্বদেশ পত্রিকায় একটি খবর ছিল, পাক বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ এবং তিন পল্লীবধুর শ্লীলতাহানির অভিযোগে মৌলভীবাজারের দীরুল আজীর আসিফ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়।

১৯৭৩ সালের ২০ এপ্রিল দৈনিক সংবাদ-এর একটি খবরে দেখা যায়, কুমিল্লায় বিশেষ আদালত আবদুল হামিদ ও আজিজউল্লাহ্ নামের দুই দালালকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। রফিক উদ্দিন নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেওয়ার অপরাধে তাঁদের সাজা দেন আদালত।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×