somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কষ্ট

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দৈনিক পত্রিকায় আমার প্রথম কবিতা, ২০০৫ দৈনিক যুগের আলো জি,এল,রায় রোড রংপুর থেকে প্রকাশিত।
লেখা লেখির শুরুটা ২০০০ সাল থেকে প্রথম পড়া বই ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে পুলিৎজার পুরষ্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করা প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের- দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি। তারপর হাতে পাই তিন খন্ডের শরৎ সমগ্র, শরৎচন্দ্র পড়ে আমি অনেক কেদেছি। তারপর জীবনানন্দ, জীবনানন্দ পড়ার পর থেকেই মনে লেখার ইচ্ছেটা উকি দেয়।
এই ছোট্র কবিতাটির সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কবিতাটি প্রকাশের কয়েকদিন আগে আব্বা আমার সমস্ত বই খাতা পুড়িয়ে দিয়ে ছিলেন। ঐ সময়টায় আমি প্রচুর রাত জেগে বই পরতাম কুপির তেল শেষ হলে মমবাতি জ্বালিয়ে পড়তাম। আমার ঐ বয়সটায় এভাবে রাত জাগাটা বাবা মা দু’জনের কেউ পছন্দ করতেন না। তার মধ্যে আমার পরিচিত একজন আব্বাকে বুঝিয়ে ছিলেন ছেলে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারপর একদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গার আগে সব শেষ। কবিতাটি প্রকাশের পর আব্বাকে দেখিয়ে ছিলাম আমার মনে আছে আব্বা মৃধু হেসে খুব নরম শুরে কিছু একটা বলে ছিলেন কথাটা এখন আর মনে পড়ে না। তবে তারপর থেকে আমার বই পড়া-লেখা নিয়ে আর কোনদিন কিছু বলেন নাই কিন্তু রাত জাগার ব্যপারে এখনো বলেন। সেই পরিচিত মানুষটাকে এখন আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে বই পড়লে মানুষ খারাপ হয় না, আমাকে এখন যারা যতটুকু ভালো যানেন তার পিছনে বইয়ের অবদান অনেক বেশি। আমার ছোট ভাই ক্লাস নাইনে পড়ছে বাড়িতে আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশন পাবলিক লাইব্রেরী নামে ছোট্র একটা লাইব্রেরী আছে সেটা ঐ দেখা শোনা করে। ইদানিং আমাদের উপজেলা থেকে প্রকাশিত একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকায় লিখছে। আমার কয়েকটা স্বপ্নের মধ্যে লাইব্রেরীটা একটা, ইচ্ছে আছে আরো বড় পরিসরে আনার ঠিক আমার স্বপ্নের মত।

কষ্ট সইতে সইতে
মনটা হয়েছে পাথর,
বিরহ ব্যাথা বইতে বইতে
হৃদয়টা হয়েছে কাতর।

আমি কোন লিপি’তে লিখব
এই পাথর হৃদয়ের স্মৃতি কথা?
কষ্টের পাহাড় থেকে মরণ এসে
হাতছানি দিয়ে ডাকে-

আয় কাছে আয়
ভুলিয়ে দিব সব দুঃখ ব্যথা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×