দৈনিক পত্রিকায় আমার প্রথম কবিতা, ২০০৫ দৈনিক যুগের আলো জি,এল,রায় রোড রংপুর থেকে প্রকাশিত।
লেখা লেখির শুরুটা ২০০০ সাল থেকে প্রথম পড়া বই ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে পুলিৎজার পুরষ্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরষ্কার লাভ করা প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ের- দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি। তারপর হাতে পাই তিন খন্ডের শরৎ সমগ্র, শরৎচন্দ্র পড়ে আমি অনেক কেদেছি। তারপর জীবনানন্দ, জীবনানন্দ পড়ার পর থেকেই মনে লেখার ইচ্ছেটা উকি দেয়।
এই ছোট্র কবিতাটির সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। কবিতাটি প্রকাশের কয়েকদিন আগে আব্বা আমার সমস্ত বই খাতা পুড়িয়ে দিয়ে ছিলেন। ঐ সময়টায় আমি প্রচুর রাত জেগে বই পরতাম কুপির তেল শেষ হলে মমবাতি জ্বালিয়ে পড়তাম। আমার ঐ বয়সটায় এভাবে রাত জাগাটা বাবা মা দু’জনের কেউ পছন্দ করতেন না। তার মধ্যে আমার পরিচিত একজন আব্বাকে বুঝিয়ে ছিলেন ছেলে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারপর একদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গার আগে সব শেষ। কবিতাটি প্রকাশের পর আব্বাকে দেখিয়ে ছিলাম আমার মনে আছে আব্বা মৃধু হেসে খুব নরম শুরে কিছু একটা বলে ছিলেন কথাটা এখন আর মনে পড়ে না। তবে তারপর থেকে আমার বই পড়া-লেখা নিয়ে আর কোনদিন কিছু বলেন নাই কিন্তু রাত জাগার ব্যপারে এখনো বলেন। সেই পরিচিত মানুষটাকে এখন আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে বই পড়লে মানুষ খারাপ হয় না, আমাকে এখন যারা যতটুকু ভালো যানেন তার পিছনে বইয়ের অবদান অনেক বেশি। আমার ছোট ভাই ক্লাস নাইনে পড়ছে বাড়িতে আদর্শ আহ্ছানিয়া মিশন পাবলিক লাইব্রেরী নামে ছোট্র একটা লাইব্রেরী আছে সেটা ঐ দেখা শোনা করে। ইদানিং আমাদের উপজেলা থেকে প্রকাশিত একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকায় লিখছে। আমার কয়েকটা স্বপ্নের মধ্যে লাইব্রেরীটা একটা, ইচ্ছে আছে আরো বড় পরিসরে আনার ঠিক আমার স্বপ্নের মত।
কষ্ট সইতে সইতে
মনটা হয়েছে পাথর,
বিরহ ব্যাথা বইতে বইতে
হৃদয়টা হয়েছে কাতর।
আমি কোন লিপি’তে লিখব
এই পাথর হৃদয়ের স্মৃতি কথা?
কষ্টের পাহাড় থেকে মরণ এসে
হাতছানি দিয়ে ডাকে-
আয় কাছে আয়
ভুলিয়ে দিব সব দুঃখ ব্যথা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৩